Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শৈলকূপার ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ৬:৪৮ পিএম

ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার কচুয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক ইলিয়াস মোল্লাসহ ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে নালিশী মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নং শৈলকূপা পিটিশন ০৭/১৮। শৈলকূপার হামদামপুর গ্রামের গোলাম শেখ বাদী হয়ে মঙ্গলবার শৈলকূপার আমলী আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আশরাফুজ্জামানের আদালতে এই মামলা করেন। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, কচুয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই রাকিব, সিপাহী মোঃ রেজানুরসহ ৫ জন এবং হামদামপুর গ্রামের মামুনুর রশিদ। আদালত বাদীর নালিশী পিটিশন আমলে নিয়ে ঝিনাইদহ পিবিআইকে আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য কিনা তা তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি মামলার বাদী ও ৬ জন সাক্ষীকে বিশেষ নিরাপত্তা দিতে শৈলকূপা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন। ঝিনাইদহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির সোহেল রানা মঙ্গলবার বিকালে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। বাদী মোঃ গোলাম শেখ আদালতে অভিযোগ করেন শৈলকূপার ২৩ নং হামদামপুর মৌজার ৯৩ দাগের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ১৭ শতক জমির উপর ঘর বেঁধে বসবাস করছেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি মামলার ৪ নং আসামী হামদামপুর গ্রামের মোন্তাজ শেখের ছেলে মামুনুর রশিদ পুলিশ নিয়ে আমাকে ভিটে থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করে। আসামীরা এ সময় বাড়িতে প্রবেশ করে ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে ঘরের টিন খুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বাদীর স্ত্রী বাধা প্রদান করলে তাকে কিল ঘুষি মেরে ও পরনের কাপড় টেনে বেআব্রু করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। পরে স্থানীয় জনগনের বাধার মুখে ঘরের টিন রেখে যেতে বাধ্য হলেও ১ নং আসামী পরিদর্শক ইলিয়াস মোল্লা এক লাখ টাকা চাঁদ দাবী করেন। চাঁদা না দিলে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী ও ডাকাতি মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। গত ১০ ফেব্রুয়ারি আসামীগন আবারো চাঁদার টাকার জন্য হুমকি দিয়ে যায় বলে নালিশী অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শৈলকূপা থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, আমি কিছুদিন বাইরে ছিলাম। সোমবার স্টেশনে এসেছি। বিষয়টি সাংবাদিকদের মুখেই প্রথম শুনলাম। তিনি বলেন আমি বাইরে থাকার সময় এ ঘটনা ঘটেছে। তবে এ সম্পর্কে আদালতের কোন আদেশ আমার জানা নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পুলিশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ