রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে: এক বছর দুই বছর নয়, দীর্ঘ উনিশ বছর নতুন নেতৃত্বের দেখা নেই কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবলীগে। একুশ বছর আগে দুই বছরের জন্য দক্ষিণ জেলা যুবলীগের কমিটি হয়েছিল। মেয়াদ শেষের উনিশ বছরেও নতুন নেতৃত্ব হাল ধরতে পারেনি জেলা যুবলীগের। এছাড়াও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন হওয়ার পর গত ছয় বছর ধরে নগর রাজনীতি গতিশীল হওয়া সত্তে¡ও মহানগরে যুবলীগের কমিটি গঠন হচ্ছেনা।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগি সংগঠন যুবলীগের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগরে নতুন কমিটি হওয়ায় ইঙ্গিত আসলেও নানা কারণে তা বাস্তবায়িত হচ্ছেনা। তবে বিভিন্ন সূত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের দায়িত্বশীল কয়েক নেতার মনোভাবে ভিন্নতা থাকায় যুবলীগের কমিটি অনুমোদনের বিষয়টি সিদ্ধান্তহীনতায় ঝুলছে। প্রায় বিশ বছর আগে ১৯৯৭ সালে শাহিনুল ইসলাম শাহীনকে সভাপতি ও মঞ্জুর মোর্শেদকে সাধারণ সম্পাদক করে ৬৭ সদস্য বিশিষ্ট কুমিল্লা (দক্ষিণ) জেলা যুবলীগের দুই বছর মেয়াদের কমিটি গঠন করা হয়। ২০১২ সালের ১৭জুন ওই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এরপর আর কমিটি হয়নি। যুবলীগের নতুন কমিটিতে থাকার আশায় বছরের পর বছর যারা ক্যালেন্ডারের পাতা ছিড়েছেন, শেষ পর্যন্ত তাদের অনেকেই দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগ এবং উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগের কমিটিতে স্থান করে নিয়েছেন। আর দক্ষিণ জেলা যুবলীগের নেতৃত্ব প্রত্যাশিরা এখনো লবিং অব্যাহত রেখেছেন। জেলা যুবলীগের এসব নেতাদের মধ্যে সভাপতি পদে কামরুল হাসান শাহিন, শাহজালাল মজুমদার চেয়ারম্যান এবং সাধারণ সম্পাদক পদে আকবর হোসেন ভূইয়া, মোতালেব হোসেন ও আবদুস সোবহান খন্দকার সেলিম লবিং করে যাচ্ছেন।
এদিকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠন হওয়ার পর প্রায় ছয় বছর অতিবাহিত হলেও মহানগর কমিটি হচ্ছেনা যুবলীগের। কুমিল্লা সদরের এমপি ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার মহানগর যুবলীগের একটি আহŸায়ক কমিটির তালিকা বেশ আগেই কেন্দ্রে জমা দিয়েছেন। মহানগর যুবলীগের প্রথম নতুন কমিটির দায়িত্বশীল পদে আসার জন্য ছয় বছর ধরে লবিং তদবির করে যাচ্ছেন এমপি হাজী বাহার অনুসারিদের মধ্যে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক জিএস ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ, শেখ রাসেল ম্মৃতি সংসদের সভাপতি বোরহান মাহমুদ কামরুল, কুসিক কাউন্সিলর হাবিবুর আলআমিন সাদী, অজিতগুহ কলেজের সাবেক জিএস সঞ্জয় রায়, কুমিল্লা পলিটেকনিকের সাবেক ভিপি জহিরুল ইসলাম রিন্টু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রোকন উদ্দিন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন আহমেদ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন ভূইয়া প্রমুখ। মহানগর যুবলীগের সভাপতি পদ প্রত্যাশি আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ জানান, ‘মহানগরে যুবলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম আমরা বেগবান রেখেছি। গণমানুষের নেতা এমপি আকম বাহাউদ্দিন বাহার ভাইয়ের দিক নির্দেশনায় মহানগরে যুবলীগ নেতাকর্মীরা সুসংগঠিত হয়ে কর্মকান্ড করে যাচ্ছে। তবে কমিটি ঘোষণা করা হলে কার্যক্রম আরো বেগবান হবে।’ মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশি তৃণমূল নেতা বোরহান মাহমুদ কামরুল জানান, ছাত্র রাজনীতির সময়ে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলাম। জামায়াত-শিবির ও বিএনপির নির্যাতনেও মাঠ ছাড়িনি। আমাদের নেতা এমপি আকম বাহাউদ্দিন বাহার ভাইয়ের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব আমাদেরকে সাহস যুগিয়েছে। আজকে ওনার দিক নির্দেশনায় যুবলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছি।’
অন্যদিকে রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক অনুসারিদের মধ্যে মহানগর যুবলীগের দায়িত্বশীল পদে থাকতে লবিং করে যাচ্ছেন জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক তারিকুল হক তারেক, কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক জি.এস আতিকুর রহমান পিন্টু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মীর ছাব্বির আহমেদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী নাহিদুল ইসলাম নাহিদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দেলু, শহর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমন দাস ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জসিম খান প্রমুখ। কুমিল্লা যুবলীগের জেলা ও মহানগর কমিটিতে যাতে সৎ ও ত্যাগীজনরা যোগ্যতা অনুযায়ি পদপদবী পায় এমন প্রত্যাশা করছেন যুবলীগের সাবেক নেতা ও তৃণমূল কর্মীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।