শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
মাওলানা জালাল উদ্দীন রূমী রহ.
কাব্যানুবাদ : রূহুল আমীন খান
৪৪১. অবশেষে বিজ্ঞ হাকিম আরয করেন : হে রাজন!
স্বর্ণকারের নিকট করুন ওই দাসীকে সমপর্ণ।
৪৪২. বাঁদীর প্রাণে জ্বলছে সদা ধিকিধিকি যেই অনল
পরস্পরের মধুমিলন সেই অনলে ঢালবে জল।
৪৪৩. চন্দ্রাননা বাঁদীকে তায় দিলেন সপে বাদশাবর
আশেক-মাশুক বুকে বুকে মিলল দু’জন পরস্পর।
৪৪৪. থাকল দু’জন ছ’মাস মজে মৌতাতে বেশ মৌবনে
বাঁদীর পুনঃ ঢেউ জাগিল রূপ লাবনি যৌবনে।
৪৪৫. এবার হাকিম মিশান ওষুধ স্বর্ণকারের শরবেতে
পান করে তা’ শীর্ণক্ষীণ হয় সে ক্রমে সেই হতে।
৪৪৬. হারিয়ে গেল রূপ মাধুরী হারাল তার আকর্ষণ
দেখে এ হাল কানিজেরও১ তাহার থেকে ফিরল মন।
৪৪৭. স্বর্ণকারের রূপ-জোয়ানী যখন হলো সব নিঃশেষ
বাঁদীর প্রেম ও মোহব্বতও তখন হলো নিরুদ্দেশ।
৪৪৮. দেহজ প্রেম, রূপের মোহ, প্রেম কভু নয়, সব অসার
কেলেঙ্কারি লাজ অনুতাপ শেষ পরিণাম কেবল তার।
৪৪৯. পূর্ব থেকেই এই সোনারু হতো যদি কুদর্শন
আসতনা তার ওপর তবে এই মুসিবত কাল-শমন।
স্বর্ণকারের দুর্দশা ও আক্ষেপ
৪৫০. বইল চোখে স্বর্ণকারের ঝর্ণাধারায় রক্তধার
‘নিজ চেহারা শত্রæ হলো নিজেরই’ সে দুর্ভাগার।
৪৫১. ময়ূর-পালক-পুচ্ছ-শোভা ঘাতক স্বয়ং ময়ূরদের
জাঁকজমকই পতন-কারণ অনেক শা’ ও সুলতানের।
বুঝতে পেরে সব ছলনা স্বর্ণকারের দগ্ধমন
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।