বিএনপি নেতা সাজুর তত্ত্বাবধানে বিজয় দিবস র্যালিতে বিপুল নেতাকর্মীর অংশগ্রহন
ঢাকা-১৪ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দারুসসালাম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস
গত ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর হাইকোর্টের সামনে হামলা চালিয়ে বিএনপির দুই নেতাকে পুলিশের প্রিজন ভ্যান থেকে ছিনিয়ে নেয়ার মাস্টার মাইন্ড বিএনপির নেতারা বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ওয়েস্টার্ন ব্রিজ ইম্প্রুভমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় রংপুর জোনের ১৯ টি এবং রাজশাহী জোনের ১৬ টি ব্রিজের নির্মাণ কাজের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফুটেজ আছে। এ হামলার ফুটেজ কিন্তু মুছে যায়নি। এ হামলা কিভাবে হয়েছে তা দিবালোকের মত পরিষ্কার। এটা অনুপ্রবেশ নয়, এটা পূর্ব পরিকল্পিত জঙ্গি স্টাইলে হামলা। এ হামলার মাস্টার মাইন্ড হচ্ছে বিএনপির নেতৃত্ব, তারাই এ হামলা করিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সেদিন হাইকোর্টের সামনে যে ধরণের হামলা হয়েছে, তাতে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার না করে কি করবো? কারা কারা ওখানে ছিলো ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখানে বিএনপিকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য গ্রেপ্তার হয়নি। এ হামলায় পুলিশকে দোষ দিতে পারবে না, কারণ হামলার উস্কানি তারাই দিয়েছে, তারাই ঘটনা সাজিয়েছে এবং প্রকাশ্য ঘটিয়েছে।’
খালেদা জিয়া আদালত থেকে ফেরার পথে হাইকোর্টের সামনে পুলিশের ওপর যারা হামলা করেছে, তাদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলে দাবি করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা কি মানুষের জানমাল রক্ষায় এ ধরনের ঘটনায় বিনা বিচারে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিবো? এ ধরনের ঘটনাকে আস্কারা দিলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে এবং সেই কারণে সরকার এখানে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারে না।’
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ কি কোনো কর্মসূচি দিবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কোনো কর্মসূচির প্রয়োজন নেই। আমাদের পক্ষ থেকে উস্কানিমূলক কিছুই হবে না। আমরা সরকারে আছি, দেশের শান্তি বজায় রাখার দায় আছে আমাদের। আমরা সতর্ক থাকবো, যাতে কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করা হয়।’
এ সময় উস্কানিমূলক নাশকতার আশঙ্কা থাকলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতির সমুচিত জবাব দেয়া হবে বলেও জানান সেতুমন্ত্রী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।