পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মাঝে মাঝে ভাবতে কষ্ট হয় বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসতে চায়। দলটির মনে রাখা উচিত এ দেশে হারানো ক্ষমতা ফিরে পাওয়া কঠিন। গতকাল রোববার ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত শান্তি সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শান্তি সমাবেশটি রাজধানীর কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরে আবারও গোলমাল পাকানোর চেষ্টা হচ্ছে। এসব আমরা জানি। চক্রান্ত করে ক্ষমতার মঞ্চ থেকে শেখ হাসিনাকে হটাবেন? মনে রাখবেন মির্জা ফখরুল সাহেব, ১৯৭৫ আর ২০২৩ সাল এক নয়। ২০২৩ আর ২০০১ এক নয়। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল অস্বাভাবিক সরকার।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান উপদেষ্টা বঙ্গভবনে শপথ নিয়েই নিয়মের তোয়াক্কা না করে ১৩ জন সচিবকে বরখাস্ত করেছিল। বাংলার মানুষ এমন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় না। সেই দিনই সাইকেল ফেডারেশন ভেঙে দিল, সাইকেল ফেডারেশনের সঙ্গে নির্বাচনের কী সম্পর্ক। মনে আছে? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন। আর কারো আমলে তা হয়নি। শেখ হাসিনাই প্রথম শান্তিপূর্ণ উপায়ে বঙ্গভবনে ক্ষমতা দিয়ে বাসায় ফিরে দেখেন গণভবনে বিদ্যুতের লাইন কাটা। পানির লাইন কাটা। টেলিফোনের লাইন কাটা।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি না আসলে জোর করে আনা হবে না জানিয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার নির্বাচনে না এলে বিএনপি আইসিইউতে চলে যাবে। নির্বাচন হতে দেবেন না? কীভাবে হতে দেবেন না? কত ধানে কত চাল আমরাও দেখে নেব। ১০ ডিসেম্বর পল্টন থেকে গোলাপবাগে ভুয়া, কী হলো ২৭ দফা? কী হলো ১০ দফা? কী হলো ১২ দলের? কী হলো ২২ দলের? দল আর দল। ডামে বামে একাকার। অতি বাম অতি ডান। তাদের যে ঐক্যজোট, এ জোট টিকবে? টেকার কোনো কারণ আছে? ভেতরে ভেতরে বাইরে যেতে চাও। দেখেন না কয় দিন টেকে। ভাঙনের সুর বেঁজে উঠেছে। মির্জা ফখরুল সাহেব, আপনাদের দল আমরা ভাঙব না, জোটও আমরা ভাঙব না। বলতে চাই, আপনারা যে সংকটে আছেন আপনাদের জোট তাসের ঘরের মতো আপনারাই ভেঙে দেবেন। এই জোট বাংলাদেশে ঠিকে না, ঠিকতে পারে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি খেলতে না পারলে কী করব। নির্বাচন যারা প্রতিহত করতে আসবে তাদের সঙ্গে হবে খেলা, হবে মোকাবিলা। প্রস্তুত আছেন? দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে। ভোট চুরির বিরুদ্ধে খেলা হবে। অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে। চক্রান্তের রাজনীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নৌকার বিজয়ী হবে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ওপর গুরুত্বারোপ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, বাংলার মাটিতে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না, হবে না। আগামী নির্বাচনে বাছুর নয়, সিংহের সঙ্গে লড়াই হবে। নির্বাচনে না এলে অস্তিত্ব হারাবে বিএনপি। বিএনপি নির্বাচনে তামাশা করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বিএনপি তামাশা না করলে আরও বেশি আসন পেত।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান পনির। এ সময় কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তৃতা করেন। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।