মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ক্ষমতা গ্রহণের এক বছর পূর্তিতে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাজেট বাড়ানো সংক্রান্ত একটি বিলে সিনেটররা একমত হতে না পারায় স্থগিত হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কার্যক্রম। স্থানীয় সময় শুক্রবার মধ্যরাতের মধ্যেই বিলটি সিনেটে পাসের বাধ্যবাধকতা ছিল। তবে শেষ মুহূর্তেও এ নিয়ে দুই বড় দলের সিনেটররা বিষয়টিতে একমত হতে পারেননি। বিলটি পাসের জন্য সিনেটে এ সংক্রান্ত ভোটাভুটিতে ৬০টি ভোট প্রয়োজন ছিল। স্থানীয় সময় শুক্রবার মধ্যরাতের ভোটাভুটিতে পক্ষে বা বিপক্ষে কতটি ভোট পড়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। তবে সিএনএন-এর খবরে বলা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে সরকারি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। তবে জাতীয় নিরাপত্তা, পোস্ট, বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ, হাসপাতাল, দুর্যোগ সহায়তা, কারাগার, আয়কর ও বিদুৎ উৎপাদনের মতো অত্যাবশ্যকীয় সেবা খাতগুলো চালু থাকবে। মার্কিন সিনেটে বিলটি পাস করানোর মতো পর্যাপ্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টির। দলটির হাতে আছে ৫১টি আসন। ফলে বিলটি নিয়ে তাদের ডেমোক্র্যাটদের দ্বারস্থ হতে হয়। কিন্তু ডেমোক্র্যাট শিবিরে এ নিয়ে বিভক্তি রয়েছে। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সিনেট অধিবেশনের কয়েক ঘণ্টা আগেও মনে হচ্ছিল সিনেটররা প্রস্তাবিত ওই বিলে একমত হতে পারবেন না। ফলে সরকারি কার্যক্রম স্থগিত হওয়ার বিষয়টি অনেকটা অবশ্যম্ভাবী ছিল। সর্বশেষ ২০১৩ সালে টানা ১৬ দিনের জন্য এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বিবিসি জানায়, আগামী ১৬ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত সরকারের বাজেট বাড়ানো নিয়ে প্রস্তাবিত ওই বিল সিনেটে প্রয়োজনীয় ৬০ ভোট পায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম হোয়াইট হাউজ ও কংগ্রেস একই দলে নিয়ন্ত্রণে থাকার পরও সরকারের বাজেট বাড়ানোর বিল অনুমোদন পেতে ব্যর্থ হলো। এজন্য ডেমক্রেটদের দায়ী করে হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা তাদের বেপরোয়া দাবির নিচে বৈধ নাগরিকদের জিম্মি করে রেখেছে। মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স আরও বলেন, তারা রাজনীতিকে সব কিছুর উপরে রাখেছে। তারা জাতীয় নিরাপত্তা, সামরিক ব্যবস্থা, অরক্ষিত শিশু এবং দেশকে তার সব নাগরিকের সেবা করতে সক্ষম রাখার বিষয়গুলোকে অবহেলা করেছে। অন্যদিকে সিনেটে ডেমক্রেটিক নেতা চাক স্চুমার বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিলটি মেনে নিতে কংগ্রেসে তার দলকে ‘প্রভাবিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন’। আগামী মাস পর্যন্ত সরকারের বাজেট বাড়ানোর বিল পাসের শেষ সময় ছিল শুক্রবার মধ্যরাত। কিন্তু শেষ মুহূর্তেও বিলের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে রিপাবলিকান ও ডেমক্রেট সিনেটরদের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ থাকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিক সিনেটরদের নেতা মিচ ম্যাককনেল ভোটের সিদ্ধান্ত নেন। তবে কিভাবে ভোট গ্রহণ চলছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার রাতে বিলটি হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে ২৩০-১৯৭ ভোট পাস হয়। কিন্তু সিনেটে সেটি ৫০-৪৯ ভোট পেয়েছে। পাঁচ জন রিপাবলিক সিনেটর বিলটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন বলে জানায় বিবিসি। যদিও পাঁচ ডেমক্রেট সিনেটর বিলে সমর্থন দিতে র্যাঙ্ক ভেঙ্গেছেন। এর আগে ২০১৩ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে সিনেটরদের মতবিরোধে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের তহবিল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবং ১৬ দিন পর্যন্ত ওই অচলাবস্থা ছিল। বিবিসি, রয়টার্স, আল-জাজিরা, সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।