Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রতিরক্ষা নীতিতে বড় পরিবর্তন এনে সামরিক শক্তি বাড়াতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০১৮, ৯:২৯ এএম

যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রস্তাবিত সামরিক নীতি ঘোষণার পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেনারেল ম্যাটিস বলছেন, চীন বা রাশিয়ার মত পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি হতে পারে- তাই তাদের সাথে পাল্লা দিয়ে সামরিক শক্তি বাড়ানো উচিত।
নাইন ইলেভেনের পর থেকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পরিচালিত মার্কিন অভিযানকে আর মূল বিষয় হিসেবে দেখতে চায় না ট্রাম্প প্রশাসন।
নতুন প্রতিরক্ষা নীতি মার্কিন সামরিক নীতিতে বড় ধরণের পরিবর্তন হিসাবে দেখা হচ্ছে।
জেমস ম্যাটিস বলছেন, "আমরা ক্রমেই রাশিয়া এবং চীনের মতো ক্ষমতাধর দেশগুলি থেকে হুমকির মুখোমুখি হচ্ছি। তারা স্বৈরাচারী মডেলের সাথে মিল রেখে একটি বিশ্ব তৈরি করতে চায়, যা কিনা অন্যান্য দেশের অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করবে।"
মার্কিন সামরিক বাহিনীর জন্য আরো বরাদ্দ দেয়া আর অকারণ কাটছাঁট বন্ধের জন্য কংগ্রেসের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ম্যাটিস।
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ বলছেন, ''তাদের এই নীতি স্নায়ুযুদ্ধের সময়কালের মতো। এর ফলে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক থাকবে হয়তো, কিন্তু টানাপড়েন শুরু হবে। একপ্রকার প্রক্সি ওয়ার শুরু হবে। আবার যেসব দেশগুলো সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রয়েছে, তাদের সাথে সম্পর্ক কি হবে, সেটাও প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াবে।''
ওয়াশিংটনের এমন নীতির তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার পরিবর্তে সংঘর্ষের মাধ্যমে বিশ্বে তাদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
চীন একে স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা বলে উল্লেখ করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ