Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিরীয় কুর্দিদের বিরুদ্ধে তুরস্কের সামরিক অভিযান রুশ সম্মতির ওপর নির্ভরশীল

| প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম


এএফপি : সিরিয়ার কুর্দি মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে সীমান্ত পেরিয়ে সিরিয়ার অভ্যন্তরে সামরিক অভিযানের হুমকি জোরদার করেছে তুরস্ক। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়া ও কিছুটা কম পরিমাণে হলেও যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাবের উপর তা নির্ভর করছে।
মানবিজ ও আফরিনসহ সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের গুরুত¦পূর্ণ শহরগুলো কুর্দি পিপলস প্রটকশন ইউনিট (ওয়াইপিজি) মিলিশিয়াদের নিয়ন্ত্রণাধীন। তারা মার্কিন মিত্র। তবে তুরস্ক তাদের সন্ত্রাসী সংগঠন বলে গণ্য করে।
যুক্তরাষ্ট্র উত্তর সিরিয়ায় ৩০ হাজার সদস্যের একটি সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী গঠনের ঘোষণা দেয়ার পর থেকে বিগত দিনগুলোতে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বাহিনীর অধিকাংশ সদস্যই হবে ওয়াইপিজি সদস্য।
এরদোগান এ সপ্তাহে বলেন, প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে যে কোনো মুহূর্তে অভিযান শুরু হতে পারে। তুর্কি সেনাবাহিনী কয়েক ডজন সামরিক যান ও শত শত অতিরিক্ত সৈন্য সীমান্তে পাঠিয়েছে। বাগাড়ম্বর যাই করা হোক না কেন, বাস্তবে অভিযান পরিচালনা, বিশেষ করে আফরিনের মত জনবহুল শহরে , অত্যন্ত কঠিন হতে পারে। গুরুত¦পূর্ণ হচ্ছে রাশিয়ার মনোভাব। গত এক বছর ধরে সিরিয়া ও তুরস্কের সাথে রাশিয়া ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করেছে। এ এলাকায় তাদের সামরিক উপস্থিতি রয়েছে ও ওয়াইপিজির সাথে সহযোগিা করছে। ইস্তাম্বুল পলিসি সেন্টারের নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও আল মনিটর কলামিস্ট মেনি গুরকান বলেন, রাশিয়ার সবুজ সংকেত ছাড়া আংকারা কি আফরিন আক্রমণের সাহস পাবে? এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত যে Ñ না।
তিনি বলেন, এরদোগানের বাগাড়ম্বর সত্তে¡ও কোনো পূর্ণমাত্রার অভিযানের সময় রাশিয়াকে আফরিনের আকাশ উন্মুক্ত করে দিতে হবে ও এলাকা থেকে সৈন্য সরিয়ে নিতে হবে।
মস্কো ও আংকারার মধ্যে গত দিনগুলোতে উ্েজনা বেড়েছে। এ মাসের শেষের দিকে রাশিয়া সিরিয়া বিষয়ে একটি শান্তি সম্মেলন আহবান করেছে। মস্কো চায়, তুরস্ক তাতে যোগ দিক। কিন্তু তুরস্ক বলেছে, ওয়াইপিজি থাকলে সে এতে যোগ দেবে না।
একটি সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত মূলক বৈঠকে তুরস্কের সেনাপ্রধান জেনারেল হুলুসি আকার ও গোয়েন্দা প্রধান হাকান ফিদান বৃহস্পতিবার মস্কোতে তাদের প্রতিপক্ষের সাথে বৈঠকে মিলিত হন।
আটলান্টিক কাউন্সিলের রফিক হারিরি সেন্টারের সিনিয়র ফেলো আরন স্টেইন বলেন, এ পর্যায়ে একমাত্র যে বিদেশী শক্তি তুরস্কের সিরিয়া অভিযান ঠেকাতে পারে সে রাশিয়া। তিনি বলেন, এরদোগান সিরিয়াতে সপ্তাহে একদিন, প্রতি সপ্তাহে অভিযান চালানোর হুমকি দিয়েছেন। এখন যে পার্থক্য তা হচ্ছে এ হুমকি সুনির্দিষ্ট ,তার লক্ষ্য ও বৈরি যুক্তরাষ্ট্র । আমার ধারণা, তিনি এ হুমকি বাস্তবায়ন করবেন , সে অভিযানের মাত্রা কি হবে তা অস্পষ্ট।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভোসগলু বৃহস্পতিবার বলেন, রাশিয়া আফরিন অভিযানের বিরোধিতা করবে না। রুশ পর্যবেক্ষকরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য আংকারা মস্কোর সাথে যোগাযোগ রাখব্।ে
সেঞ্চুরি ফাউন্ডেশনের ফেলো আরন লান্ড বলেন, এরদোগান যে হারে গর্জন বর্ষণ করেছেন তাতে তার জন্য এ অভিযান থেকে পিছিয়ে আসা কঠিন হবে। এটি হবে পুরোমাত্রার যুদ্ধ, লড়াইয়ের বেশিরভাগটাই করবে অপারেশন ইউফ্রেটিস শিল্ডের মত তুর্কি সমর্থিত সিরিয়ার বিদ্রোহী বাহিনী । তবে মনে রাখতে হবে, আফরিন একটি বন্ধুর স্থান ও সুরক্ষিত স্থান এবং ওয়াইপিজি একটি সুশৃঙ্খল ও কার্যকর বাহিনী।
স্টেইন বলেন, ওয়াশিংটনে এ ধারণা রয়েছে যে এটি একটি ‘টার্কিশ শো’ এবং এরদোগান যদি হামলা চালাতে যানই তাকে তা থেকে নিবৃত্ত করার জন্য করার তেমন কিছু থাকবে না।



 

Show all comments
  • Polash ২১ জানুয়ারি, ২০১৮, ১১:৫৩ এএম says : 0
    Russia Krigistan rasogulu akti goenda
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিরীয়


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ