মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : পারমাণবিক অস্ত্র বহন ক্ষমতা সম্পন্ন এক আন্তঃ মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। গত বৃহস্পতিবার উড়িষ্যা রাজ্যের অন্তর্গত বঙ্গোপসাগরের এক দ্বীপ থেকে অগ্নি-৫ নামক ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়। স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ৫ হাজার কিলোমিটার লক্ষ্যমাত্রায় আঘাত হানতে সক্ষম এ ক্ষেপণাস্ত্র। এবারের উৎক্ষেপণের সঙ্গে আগের উৎক্ষেপণগুলোর পার্থক্য রয়েছে। এর আগের চার বারের উৎক্ষেপণ ছিল ‘এক্সপেরিমেন্টাল টেস্ট’ অর্থাৎ পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ। নির্মাতা সংস্থা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) সূত্রের খবর, সেই পর্যায় পেরিয়ে গিয়েছে অগ্নি-৫। এবারের উৎক্ষেপণ ছিল ‘ইউজার ট্রায়াল’। অর্থাৎ পরীক্ষা-নিরীক্ষার স্তর পেরিয়ে এসে স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কম্যান্ডের (এসএফসি) নিয়ন্ত্রণাধীন পরমাণু অস্ত্রাগারে মোতায়েন হওয়ার দিকে অগ্নি-৫ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। অগ্নি-৫ হল ভারতের হাতে থাকা একমাত্র ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল (আইসিবিএম)। ৫,৫০০ কিলোমিটার বা তার চেয়েও বেশি দূরবর্তী স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম যে সব ক্ষেপণাস্ত্র, সেগুলিকেই আইসিবিএম গোত্রে ফেলা হয়। ৫০ টন ওজনের এই ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি ১৫০০ কিলোগ্রাম ওজনের পরমাণু অস্ত্র বহন করতে পারে। অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা কত, সে নিয়ে অবশ্য চীনের দাবি অন্য রকম। এর আগে যখনই অগ্নি-৫-এর পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয়েছে, তখনই তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে চীন। দক্ষিণ এশিয়া শক্তির ভারসাম্য নষ্ট করছে ভারতের এই ক্ষেপণাস্ত্র, বার বার বেইজিংয়ের তরফ থেকে এমন মন্তব্য করা হয়েছে। বেইজিংয়ের দাবি, ৫ হাজার ৮০০ কিলোমিটার নয়, অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের আসল পাল্লা ৮ হাজার কিলোমিটার। আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার কথা মাথায় রেখে ভারত ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা কমিয়ে দেখাচ্ছে। ২০১২-র এপ্রিলে প্রথম বার অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয়েছিল। ২০১৩-র সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় বার। ২০১৫-র জানুয়ারিতে হয় তৃতীয় উৎক্ষেপণ। চতুর্থটি হয় ২০১৬-র ডিসেম্বরে। ক্ষেপণাস্ত্রটির ওই চারটি উৎক্ষেপণ ছিল ‘এক্সপেরিমেন্টাল টেস্ট’ বা পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ। ২০১৬-র ডিসেম্বরে চতুর্থ বার ক্ষেপণাস্ত্রটি সফল ভাবে ছুড়েই ডিআরডিও জানিয়ে দিয়েছিল, এ বার ক্ষেপণাস্ত্রটি তুলে দেওয়া হবে তিন বাহিনীর হয়ে যৌথ ভাবে পরমাণু অস্ত্রাগারের দায়িত্বে থাকা এসএফসি-র হাতে। কয়েক বার ‘ইউজার ট্রায়াল’-এর পরে ক্ষেপণাস্ত্রটি বাহিনীতে মোতায়েন করবে এসএফসি। বৃহস্পতিবারের উৎক্ষেপণ ছিল অগ্নি-৫-এর প্রথম ‘ইউজার ট্রায়াল’। অগ্নি-৫-এর সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রকে ট্রান্সপোর্ট ইরেক্টর লঞ্চার বা টিইএল (ট্রাকের মতো দেখতে যে সামরিক যান ক্ষেপণাস্ত্রকে বয়ে নিয়ে যেতে পারে এবং ছুড়তেও পারে) থেকে ছোড়া যায়। ছোড়া যায় রেল মোবাইল লঞ্চার (ওয়াগনের মতো দেখতে যে সামরিক যান রেল ট্র্যাকের মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্রকে বয়ে নিয়ে যেতে পারে এবং ছুড়তেও পারে) থেকেও। ফলে ভারতের স্থলভাগের যে কোনও প্রান্ত থেকে অগ্নি-৫ নিক্ষেপ করা সম্ভব। এই সুবিধার কারণেই অগ্নি-৫-এর পাল্লার মধ্যে এসে গিয়েছে প্রায় গোটা এশিয়া মহাদেশ (সম্পূর্ণ চীন, রাশিয়ার ৯০ শতাংশ এলাকা), ইউরোপের সিংহভাগ, আফ্রিকার বিরাট অংশ। এসেছে ভারত মহাসাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগরের বিশাল বিস্তারও। এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।