মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ভারত সফরের প্রতিবাদে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় বিক্ষোভ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ‘সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন’-এর পক্ষ থেকে মধ্য কলকাতার গান্ধীমূর্তির সামনে ওই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভকারীরা ‘নেতানিয়াহু গো ব্যাক’, ‘নেতানিয়াহু ভারত ছাড়’, ‘বিশ্বসন্ত্রাসের নায়ক মুর্দাবাদ’ প্রভৃতি ¯েøাগান দেন। তারা নেতানিয়াহুকে আমন্ত্রণ জানিয়ে সম্মানিত করায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরূদ্ধেও ¯েøাগান দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিক্ষোভকারীরা ‘শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ শয়তান ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ভারত থেকে ফিরে যাও’, ‘ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অপরাধী’, ‘অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল’ প্রভৃতি প্ল্যাকার্ড বহন করেন। পরে তারা ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পাশাপাশি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভকারীরা নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের ছবিতে কালি মাখিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ প্রসঙ্গে সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘ছয় দিনের ভারত সফরে এসেছেন নেতানিয়াহু। আমরা এই শতাব্দীর সেরা শয়তান নেতানিয়াহুর ভারত সফরের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের পক্ষ থেকে কোলকাতার প্রাণকেন্দ্র গান্ধী মূর্তির সামনে প্রতিবাদ সভা করেছি।’ তিনি বলেন, ‘ভারত স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এদেশের জাতীয়তাবাদী নেতারা ইসরাইলের বিরোধিতা করেছেন। তারা ইসরাইলকে কখনো একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেননি। এরকম একটা অবৈধ রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে লাল কার্পেট বিছিয়ে সম্মান জানানো ভারতের অহিংস মতাদর্শের বিরোধী। এরফলে ভারতের চিরাচরিত বৈদেশিক নীতিকে জলাঞ্জলি দিয়ে সর্বনাশ করা হয়েছে। ভারতের যিনি জাতির জনক, যিনি ইসরাইলকে কখনো সম্মান বা স্বীকৃতি দেননি সেই তারই স্মৃতিবিজড়িত স্থান সবরমতী আশ্রমে ইসরাইলের খুনি প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানানো হয়েছে। এরফলে গান্ধীজির মতাদর্শের অসম্মান করা হয়েছে। তার অহিংস আদর্শকে কালিমালিপ্ত করা হয়েছে।’ মুহাম্মদ কামরূজ্জামান বলেন, ‘গোটা বিশ্ব জানে নেতানিয়াহু এমন এক দেশের প্রধানমন্ত্রী যে দেশে প্রতিনিয়ত ফিলিস্তিনের নিরীহ নারী, শিশু থেকে যুবকদের উপরে আক্রমণ চালানো হচ্ছে। প্রতিনিয়ত যাদের আক্রমণে ফিলিস্তিনি নিরীহ মানুষদের মৃত্যু মিছিল বেরোচ্ছে, যে ইসরাইল আমাদের তৃতীয় ধর্মীয়স্থান বায়তুল মুকাদ্দাসকে অপবিত্র করতে চাচ্ছে, জেরূজালেমের দখল নিতে চাচ্ছে, সেই ইসরাইলকে ভারতে স্থান দেয়া হবে, ভারত সরকার তাদের সম্মান জানাবে এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রশ্ন- একদিকে ভারত সরকার ইসরাইলের রাজধানী তেলআবিব থেকে সরিয়ে জেরূজালেমে করার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে। অন্যদিকে সেদশেরই প্রধানমন্ত্রীকে ভারতে এনে লাল কার্পেট বিছিয়ে সম্মান জানানো হচ্ছে- এটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পররাষ্ট্রনীতির দ্বিচারিতা। ১২৫ কোটি মানুষের জন্য ওই দ্বিমুখী সিদ্ধান্ত অত্যন্ত লজ্জাজনক! আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি, নিন্দা জানাচ্ছি। এরকম একজন সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক নেতানিয়াহুকে ভারত সফর করানোর জন্য অবিলম্বে আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’ ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে ভারতের কোনোপ্রকার কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক না রাখার জন্যও দাবি জানানো হয়েছে বলে মুহাম্মদ কামরূজ্জামান জানান। এবিপি, জি নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।