Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আরসা’র হুমকি দূর হয়নি, বললেন রাখাইনের মুখ্যমন্ত্রী

অপরাধের দায় এড়ানোর কৌশল মিয়ানমার আর্মির

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ জানুয়ারি, ২০১৮, ৮:৫৫ পিএম

আরসা গণকবরের ১০ রোহিঙ্গা বিদ্রোহী ছিল না


মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকা নিয়ে দেশটির সেনাবাহিনীর স্বীকারোক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)। তবে, এই স্বীকারোক্তির মাধ্যমে সেনারা তাদের অপরাধের দায় এড়ানোর কৌশল অবলম্বন করেছে বলে সংগঠনটি মনে করছে। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আরসা বলেছে, বার্মার সন্ত্রাসী আর্মি যে স্বীকারোক্তি দিয়েছে তার মাধ্যমে তাদের সন্ত্রাস, যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ প্রমাণ হয়েছে। বার্মিজ উপনিবেশবাদের ইতিহাসে এই প্রথম এমন স্বীকৃতি দেয়া হলো। এদিকে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে একটি গণকবর থেকে পাওয়া ১০ রোহিঙ্গার লাশ বেসামরিক নাগরিকের বলে দাবি করেছে আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)। গতকাল শনিবার টুইটারে দেওয়া এক বিবৃতিতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি এ দাবি করেছে। গত ১৮ ডিসেম্বর মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনের রাজধানী সিতউই থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার উত্তরে উপকূলীয় ইন দীন গ্রামে একটি গণকবরে ১০ জনের লাশ পাওয়ার কথা জানায়। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মিয়ানমার আর্মির পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা সেপ্টেম্বর মাসে আরাকান রাজ্যের মংডু শহরের পাশের ইন ডিন গ্রামে নিরপরাধ ১০ রোহিঙ্গাকে হত্যা করে এক সঙ্গে কবর দেয়। ওই স্বীকারোক্তির পরিপ্রেক্ষিতেই এই বিবৃতি দেয়া হলো। আরসা প্রধান আতাউল্লাহ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা বলতে চাই, ইন ডিন গ্রামে যে ১০ রোহিঙ্গাকে নির্মমভাবে হত্যা করে গণকবর দেয়া হয়েছে, তারা আরসার সদস্য নয় কিংবা তাদের সঙ্গে আরসার কোনো ধরনের যোগসূত্র নেই। বিবৃতিতে বলা হয়, বার্মিজ আর্মি যা স্বীকার করেছে তা যে উপরে উল্লিখিত আন্তর্জাতিক অপরাধ তা স্পষ্ট। কিন্তু তারা সামান্য এই স্বীকারোক্তির মাধ্যমে যে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে তা যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য নয়। অপরদিকে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উ নাই পু দাবি করেছেন যে অশান্ত এই রাজ্য থেকে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)’র হুমকি দূর হয়নি। ১০ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আরসার ৩০ জনের মতো সদস্য রাখাইন রাজ্যের তিনটি এলাকায় অনুপ্রবেশ করেছে। এদের মোকাবেলায় আঞ্চলিক সরকার প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। আরসা’র বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বরং মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সরকারের উচিত ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন কিংবা অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে বিনা শর্তে আক্রান্ত এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া, যাতে তারা ঘটনাটি সঠিকভাবে তদন্ত করে দেখতে পারেন যে, বার্মিজ সন্ত্রাসী আর্মির দাবি ঠিক কি না। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, বরাবরের মতো এই কৌশল অবলম্বন করে বার্মিজ সন্ত্রাসী আর্মি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতাকে উপহাস করছে। সত্যিকার অর্থে ইন ডিন গ্রামে তারা যে অপরাধ করেছে তার দায় এড়াতেই এই কৌশল অবলম্বন করছে মিয়ানমার আর্মি। তবে, বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা এই আন্তর্জাতিক অপরাধের ব্যাপারে আমাদের নিজস্ব তদন্ত পরিচালনা করব এবং সত্যিকার অর্থেই সেখানে কী হয়েছিল তা যথাসময়ে প্রকাশ করব। এসএএম, ইরাবতী, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাখাইন

১৮ অক্টোবর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ