Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাখাইনে সেনাগাড়িতে অতর্কিত হামলা

সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ায় শান রাজ্যের গ্রামবাসী পালাচ্ছে

| প্রকাশের সময় : ৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : রাখাইন প্রদেশে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা। এতে অন্তত ছয় সেনাসদস্য আহত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ও মিয়ানমারের সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, সেনাবাহিনীর গাড়িতে অতর্কিত হামলা হয়েছে। স্থল মাইনের বিস্ফোরণ ঘটানোর পর বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীর ওই গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে। শুক্রবার সকালে রাখাইনের মংডু শহরের প্রত্যন্ত একটি গ্রামের সড়কে ওই হামলা হয়েছে। সেনাবাহিনীর ওপর বিরল এ হামলার দায় স্বীকার করেছে বিদ্রোহীরা। মিয়ানমার সেনাবাহিনী বলছে, চরমপন্থী বাঙালি সন্ত্রাসীদের সংগঠন আরসার সদস্যরা সেনাবাহিনীর ট্রাকে শুক্রবারের হামলা চালিয়েছে। এতে আহত একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মিয়ানমার সরকার বলছে, একটি গাড়িতে...ক্ষুদে অস্ত্র ও বাড়িতে তৈরি মাইনের বিস্ফোরণের পর প্রায় ২০ বিদ্রোহী হামলা করেছে। সেনাবাহিনী বলছে, অন্তত ১০ জন হামলায় অংশ নিয়েছে। এদিকে, আরসা একজন মুখপাত্র ক্ষুদে বার্তায় রয়টার্সকে বলেছেন, তার সংগঠনের সদস্যরা ওই হামলা চালিয়েছে। ‘হ্যাঁ, সেনাবাহিনীর গাড়িতে সর্বশেষ হামলার দায় নিচ্ছে আরসা।’হামলার ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য আরো পরে প্রকাশ করা হবে বলে তিনি জানান। অন্যদিকে, কোনো জঙ্গিাগোষ্ঠীর সঙ্গে আরসার সম্পর্ক থাকার দাবি নাকচ করে দিয়েছেন তিনি। আরসার এ মুখপাত্র বলেছেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চলমান নিপীড়নের অবসানের লক্ষ্যে তারা লড়াই করছেন। ইয়াঙ্গুনভিত্তিক মিয়ানমারের ম্যাগাজিন ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমার স্থানীয় এক বাসিন্দার বরাত দিয়ে বলছে, গাড়িতে অতর্কিত হামলার সময় গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। মিয়ানমারের সরকারি অপর এক দৈনিকের খবরে বলা হয়েছে, গাড়িতে হামলার ঘটনার পর মংডু থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরের তারেইন গ্রামে এখনো গোলাগুলি চলছে। অপর এক খবরে বলা হয়, মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও শান রাজ্যের জাতিগত বিদ্রোহী গ্রুপ তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ)’র মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ায় ওই এলাকা থেকে শত শত গ্রামবাসী পালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় এক স্বেচ্ছাবেসী সংগঠন গত বুধবার সংবাদ মাধ্যমকে এ কথা জানায়। সোশ্যাল রেসকিউ এসোসিয়েশন নামক একটি সংগঠনের সদস্য উ তিন মং থিয়েন জানান, প্রায় এক হাজার গ্রামবাসী কাইয়ুকমি শহরের প্যাগোডাগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। নামশান টাউনশিপের কাছে কিয়াং তাইং গ্রাম থেকে এসব উদ্বাস্তু আসছে। থিয়েন বলেন, সংঘর্ষের খবর পাওয়া না গেলেও জীবনের ভয়ে লোকজন পালিয়ে যাচ্ছে। কারণ, দুই পক্ষের সৈন্যরা গ্রামের কাছাকাছি অবস্থান গ্রহণ করেছে। ওই অঞ্চল থেকে আরো অনেকে পালিয়ে যাবে বলে থিয়েন উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, পলায়নপর গ্রামবাসীকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে আমাদের টিম সেখানে গিয়েছে। কত মানুষ এ পর্যন্ত গৃহহীন হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান এখনো বলা যাচ্ছে না। মিয়ানমার সেনাবাহিনী ২ জানুয়ারি টিএনএলএ’র সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িত হওয়ার কথা স্বীকার করে। একই দিন কাচির রাজ্যে কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি (কেআইএ)’র সঙ্গেও সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানায়। সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয় যে কাচিন রাজ্যের হাপকান এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর চৌকিতে গত মাসে কেআইএ হামলা চালায়। যুদ্ধে টিএনএলএ এবং কেআইএ ভারি অস্ত্র ও ল্যান্ডমাইন ব্যবহার করছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। রয়টার্স, দ্য ইরাবতি, মিয়ানমার টাইমস, এসএএম।



 

Show all comments
  • শুকুর আলী ৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ১:০৩ পিএম says : 0
    আরসা জিন্দাবাদ
    Total Reply(0) Reply
  • আমিন ৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ১:০৪ পিএম says : 0
    এভাবেই প্রতিরোধ করতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • সুমন ৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ১:০৪ পিএম says : 0
    প্রতিরোধ ছাড়া রোহিঙ্গাদের সামনে কোনো উপায় নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • জুয়েল ৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ১:০৫ পিএম says : 0
    আবার নামবে রোহিঙ্গাদের ঢল।
    Total Reply(0) Reply
  • করিম ৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ১:০৫ পিএম says : 0
    এরকম ছোটখাট আক্রমণ মূলত রোহিঙ্গাদের আরো বিপদে ফেলে।
    Total Reply(0) Reply
  • নাসির ৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ১:০৬ পিএম says : 0
    আরসা বর্মী আর্মির দালাল, আইএসআই যেমন ইসরাইলের।
    Total Reply(0) Reply
  • ফারুক ৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ৫:৩৮ পিএম says : 0
    মিয়ানমার সেনাবাহিনী যে আসলেই সৈরাচারী তা গোটা দেশজুড়ে জন্ম নেওয়া বিদ্রোহী দল গুলোর দিকে তাকালে প্রকাশ পায়। এই বিদ্রোহীদের হাতেই শেষ হবে এই নোংরা শাসন পদ্ধতি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ