শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
মাওলানা জালাল উদ্দীন রূমী রহ.
কাব্যানুবাদ : রূহুল আমীন খান
৩৪১. শুনেন হাকিম মন লাগিয়ে সকল উপসর্গ আর
রঙ চেহারা, পেশাবাদি, নাড়ির গতি দেখেন তার।
৩৪২. বলেন, ওসব চিকিৎসকের ওষুধ গেছে রসাতল
লাভ কিছুই হয়নি তাতে, ফলছে বরং উল্টো ফল।
৩৪৩. বুঝতে তারা পারেনি এই দাসীর হালত অন্তরের
মুক্তি মাগি ইলাজ থেকে এমন নাদান ভিষকদের।
৩৪৪. বিজ্ঞ হাকিম ধরতে পারেন সত্যিকারের রোগটি এর
তবু তিনি রাখেন গোপন, নিকট থেকে সুলতানের।
৩৪৫. অ¤øপিত্ত রোগ এতো নয়, বৃথা এলাজ তার খোঁজা
জ্বালানী কাঠ কোন্্ জাতীয়Ñ ধূম্র থেকেই যায় বোঝা।
৩৪৬. বুঝেন হাকিম ধরণ দেখে বুক ফাটা এ ক্রন্দনের
এই যে পীড়া নয় শারীরিক, এই পীড়া তার অন্তরের।
৩৪৭. ক্রন্দনেই মূর্ত্ত হয়ে উঠছে প্রেমের আর্তি তার
মনের রোগের চেয়ে কঠিন রোগ কোথাও নেই যে আর।
৩৪৮. অন্য ব্যারাম-পীড়া থেকে প্রেম-ব্যারামের ভিন্নরূপ
খোদার লীলাখেলা দেখার প্রেমই মহাটেলিস্কোপ।
৩৪৯. এদিক কি বা ওদিক থেকে, হোক যেদিকেই প্রেম শুরু
অবশেষে ওই দিকেই পৌঁছিয়ে দেয় প্রেম-গুরু।
৩৫০. যতই করি প্রেমের বাখান যখন আসি নিকট তার
লজ্জাবতী লতার লাজে নেতিয়ে পড়ে শির আমার।
৩৫১. সব কিছুই বয়ান করে, ব্যাখ্যা করে প্রেম-ভাষা
ভাষা বিহীন হলেই তখন প্রেমকে বোঝা যায় খাসা।
৩৫২. এতোক্ষণ তো কলম আমার লিখছিলো যা ভাবছি তাই
প্রেমের কথা লিখতে গিয়ে ভেঙে গেল কলমটাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।