পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সময় আর নাই পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে মন্তব্য করে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সোজা হয়ে দাঁড়ান, দেশটাকে বাঁচান। আর কোন উপায় নাই। নেত্রী আপনার আর পাওয়ার কিছু নাই। দেশ আপনাকে অনেক কিছু দিয়েছে। এখন দেশকে গণতন্ত্র দিয়ে যান। দেশের মানুষকে স্বাধীনতা দিয়ে যান। গতকাল (রোববার) মুক্তিযোদ্ধা দলের কাউন্সিল ও মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। কর্ণেল (অব.) অলি বলেন, বিএনপিকে দেখলে বড় কষ্ট লাগে। আমার বয়স এখন ৮০ বছর। দুই বছর আগেও মিছিলে আমি ছিলাম। আমাদের অনেকে মিছিলে এসে ছবি তোলার পর আর মিছিলে থাকেন না। তাই শুধু শ্লোগান দিলে হবে না, মিটিং করতে দিবে না মিটিং করবো। এটা কারও বাপের দেশ না। পিছনে হাটা ধরলে হবে না। আর সময় নাই, এখন পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে।
জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি পাশে বসা ছিলাম, কারো কাছে সত্যায়ন করতে হবে না। সেখান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এটা ঐতিহাসিক সত্য। মনে মনে অনেকেই স্বাধীনতার ঘোষণা করতে পারেন। এর ঐতিহাসিক প্রমাণের কথা উল্লেখ করে এলডিপি চেয়ারম্যান বলেন, ভারতের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সঞ্জিব রেডি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে ভারতের প্রেসিডেন্ট ভবনে নৈশ্যভোজে আমন্ত্রণ করে বলেন, আই এম হ্যাপি টু রিসিভ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, হু ডিকলেয়ার্ড ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফার্স্ট ফর হিজ কান্ট্রি বাংলাদেশ (বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম ঘোষক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে অভ্যর্থনা জানাতে পেরে আমি খুব খুশি)। তিনি প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলবো প্রধানমন্ত্রী আপনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মাধ্যমে ভারত থেকে এই কাগজটা নেন। মিথ্যা কথা বলে লাভ নাই। আমরা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করি না। আপনারও একইভাবে জিয়াউর রহমানকে স্বীকার করেন। আমরা বলি বঙ্গবন্ধু দেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। জিয়াউর রহমান যুদ্ধ ও স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন।
অলি আহমদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের ২৫ মার্চ রাতে যখন পাকিস্তানিরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকা শহরে হত্যাযজ্ঞ শুরু করলো, তখন অনেকেই বলে বিডিআরের মাধ্যমে তারা চট্টগ্রামে ম্যাসেজ পাঠিয়েছে। কিন্তু এটা মিথ্যা কথা। একটা সামরিক বাহিনী যখন বিদ্রোহ করে সর্ব প্রথম গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। দুপুর ১টার মধ্যেই পাকিস্তানিরা ইপিআর হেড কোয়ার্টার ও রাজারবাগ পাকিস্তানীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। রেডিও স্টেশন তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ফলে চট্টগ্রামে তাদের ম্যাসেজ দেওয়ার কোন সুযোগ ছিল না। এখন অনেকে এমপি-মন্ত্রী হওয়ার লোভে মিথ্যা বক্তব্য দেয়। যারা তখন একটা গুলিও করেনি যুদ্ধ দেখেনি শরনার্থী কেন্দ্রে ছিল, তারা এখন বই লেখেন। বাংলাদেশে যারা কখনই যুদ্ধ করেনি তারাই যুদ্ধ সম্বন্ধে কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২৫ মার্চ হানাদার বাহিনী আক্রমনের সময় আমরা আশা করেছিলাম মেজর সফিউল্লাহ বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ হিসেবে ঢাকায় এসে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন। কিন্তু তিনি করেননি। শহীদ জিয়া চট্টগ্রামে অষ্টম বেঙ্গল রেজিমেন্টকে নিয়ে ২৫ মার্চ রাত সাড়ে ১১ টায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। তিনি যদি সেদিন এই সিদ্ধান্ত না নিতেন তাহলে লাঠি, ইট, পাটকেল নিয়ে দেশ স্বাধীন হতো না। তার ঘোষণার কারণে সব জায়গায় এই খবর পায়। আওয়ামী লীগের লোকেরা সেদিন পালিয়ে গেছিলেন। অনেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে, অন্যান্য জায়গায়, কেউ লুঙ্গি পড়ে, দাঁড়ি সেভ করে পালিয়ে গেল। কারণ তারা পাকিস্তান আর্মিকে ভয় করতো। এখন তারা বীর বাহাদুরের মতো কথা বলে। গুলি দেখলে আবার তারা পালাবে। তখন চট্টগ্রামে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম জিয়াকে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। তিনি ঘোষণা না করলে অন্যান্য বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাহিনী যুদ্ধে অংশ নিবে না, পুলিশ-ইপিআর যুদ্ধে অংশ নিবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।