পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলতি ডিসেম্বর ও আগামী নতুন বছরের জানুয়ারিতে প্রশাসনের প্রভাবশালী ছয় সচিবের চাকরি এবং চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। অবসরে তালিকায় রয়েছেন, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব। এছাড়া স্বাভাবিক চাকরির মেয়াদ শেষ হচ্ছে জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে সচিব এবং মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবের।
এদিকে প্রশাসনে এসব মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিব পদে নিয়োগ দেয়া হবে দ্রæত সময়ের মধ্যে। তার পরে আগামী নতুন বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রæয়ারি মাসে প্রশাসনে সচিব পদে রদবদল করার সম্ভনা রয়েছে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিনিয়র সচিব ইনকিলাবকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব পদে দ্রæত নিয়োগ দেয়া হতে পারেন। এখানে সিনিয়রিটি একটি ফ্যাক্টর, রাইটস নয়। মেধাবী ও দক্ষ কর্মকর্তাকেই গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রশাসনে সচিবদের মধ্যে সর্বশেষ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম। তাঁকে সিনিয়র সচিব করার ১৬ দিনের মাথায় এক বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। একই কার্যালয়ের মুখ্য সচিবও চুক্তিতে নিয়োজিত আছেন। গত বছর ২৭ নভেম্বর জনপ্রশাসন সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব পদে বদলি করা হয়। ৩১ ডিসেম্বর তাঁর অবসরে চলে যাওয়ার কথা। তবে আবারো সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীকে ৬ মাসের চুক্তি বৃদ্ধির হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে চুক্তি মেয়াদ বৃদ্ধি না হলে সে ক্ষেত্রে নতুন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব পদে নিয়োগ দেয়া হবে। তথ্যসচিব মরতুজা আহমদ গত বছরের ২২ জানুয়ারি এক বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন (বিশেষ ব্যাচ)। তিনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। তার চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধ করা হচ্ছে না।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী : জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব থেকে ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে ৩৩ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এবং পূর্বে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব/সিনিয়র সচিব, তথ্য মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব¡ পালন করেন। ২০১৪ সালের ইউনেস্কো নির্বাহী বোর্ডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন এবং ২০১৭ সালে তিনি ইউনেস্কো এক্সিকিউটিভ বোর্ডের সম্মেলন এবং প্রস্তাবনার কমিটির চেয়ারম্যানও ছিলেন। দেশের শীর্ষ আমলাদের একজন হওয়ার পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের একজন অগ্রণী কবিও। তিনি মোট ১৮টি বই প্রকাশ করেছেন। এছাড়া দেশের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার জিতেছেন-২০১১ সালে সাহিত্য (কবিতা) জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১৯৮২ ব্যাচের একজন কর্মকর্তা। এছাড়া ২০১১ থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম : প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগমের চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এবারে তার চুক্তি মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে না। সচিব সুরাইয়া বেগম প্রশাসনে দায়িত্ব পালন করেছে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে এর মধ্যে পরিসংখ্যান ও ইনফরম্যাটিক্স বিভাযের সচিব, বাস্তবায়ন নিরীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) এবং সমাজকল্যাণ ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রথম সচিব ও চ্যান্সির প্রধান এবং ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি হাইকমিশনার, বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন ভারতের কলকাতা দায়িত্ব পালন করেছেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খান আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারী অবসরোত্তর ছুটিতে যাচ্ছেন। ২০১৫ সালে অক্টোবর মাসে মো. মাকসুদুল হাসান খানকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়। এর আগে তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন।
জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক : জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালকের চাকরি মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩১ ডিসেম্বর। তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া নাও হতে পারে। কানিজ ফাতেমা এনডিসি জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমিতে ১৬ মে ২০১৬ সালে মহাপরিচালক পদে যোগদান করেন। এ পদে যোগদানের পূর্বে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন। বিসিএস (প্রশাসন) ১৯৮২ নিয়মিত ব্যাচের একজন কর্মকর্তা।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে সচিব : পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে সচিব কে এম মোজাম্মেল হক আগামী বছরের ৩০ শেষ জানুয়ারী মাসে চাকরি মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তাকে নতুন করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে সচিব কে এম মোজাম্মেল হক ১৬ মে ২০১৬ সালে সচিব পদে যোগদান করেন। বিসিএস (ইকনোমিক) ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৮৩ সালের ৪ এপ্রিল সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। এ বিভাগে যোগদানের পূর্বে তিনি ২০১৫ সালে ২ এপ্রিল থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত সচিব পদমর্যাদায় এবং ৩ নভেম্বর একই সালে সচিব হিসেবে পদোন্নতি প্রাপ্ত হয়ে জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ঢাকা অফিসার্স ক্লাবের নির্বাচিত ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ : তথ্যসচিব মরতুজা আহমদ গত বছরের ২২ জানুয়ারি এক বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন (বিশেষ ব্যাচ)। তিনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। তার চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধ করা হচ্ছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।