Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আবারও চ্যাম্পিয়ন খুলনা

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আবারো জাতীয় ক্রিকেট লিগের শিরোপা ঘরে তুলেছে খুলনা বিভাগ। এ নিয়ে টানা তিনবার। গতকাল ঢাকা বিভাগকে ইনিংস ও ৪৯ রানে হারিয়ে হ্যাটট্রিক শিরোপা উল্লাসে মাতে খুলনা। ১০ উইকেট নিয়ে ঢাকাকে গুড়িয়ে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম শ্রেণীর কিকেটে রাজশাহীর সঙ্গে সর্বোচ্চ পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন এখন খুলনাও।
এই হারে দ্বিতীয় স্তরে নেমে গেছে ঢাকা। রংপুরের সঙ্গে ড্র করে প্রথম স্তরেই টিকে গেছে বরিশাল। ১৯তম এই আসরের দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচ দুটিও হয়েছে ড্র। তৃতীয় দিন শেষেই খুলনার ইনিংস ব্যবধানে জয় অনুমিতই ছিল। হয়েছেও তাই। তবে কাল ক্রিকেট ভক্তদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন নাসির হোসেন। সবার মনেই ছিল একটি প্রশ্নÑ ট্রিপল সেঞ্চুরি করতে পারবে তো নাসির?
না, পারেননি। ২৭০ রানে অপরাজিত থেকে দিন শুরু করা নাসির থামেন ত্রিশতক থেকে মাত্র ৫ রান দুরে। তার মানে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে বাংলাদেশের একমাত্র ট্রিপল সেঞ্চুরিয়ান হয়েই থাকলেন রাকিবুল হাসান। ২০০৬-০৭ মৌসুমে বরিশালের হয়ে সিলেটের বিপক্ষে অপরাজিত ৩১৩ রান করেছিলেন মিডিল অর্ডার ব্যাটসম্যান রাকিবুল।
এদিন নাসিরকে থামান অভিষিক্ত লিঙ্কন দে। ৬০৩ মিনিট স্থায়ী ৫১০ বলে খেলা ২৯৫ রানের ইনিংসটি ৩২টি চার ও তিনটি ছক্কা দিয়ে সাজান নাসির। নাসির আউট হতেই ৭ ুইকেটে ৬১০ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে রংপুর। ২৭৯ রানে পিছিয়ে থাকায় হারের শঙ্কা ছিল বরিশালের। কিন্তু টপ অর্ডারদের দায়ীত্বশীল ব্যাটিংয়ে তারা ড্র করতে সক্ষম হয়।
নজরের কেন্দ্রে ছিল মুলত বিকেএসপির মাঠ। জয়ের জন্য শেষ দিনে খূলনার প্রয়োজন ছিল ৬ উইকেট। এজন্য আব্দুর রাজ্জাকের দল সময় নেয় এক সেশনের একটু বেশি। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নেয়া মিরাজ এ পর্বে নেন ৩ উইকেট। ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মত ১০ উইকেট নেন মিরাজ। প্রথম ইনিংসে তার ২৪ রানে নেয়া ৭ উইকেট ছিল ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ও রাজশাহীর মধ্যকার ম্যাচটি হয়েছে নিরুত্তাপ ড্র। ৫ উইকেটে ৬০ রানে শেষ দিন শুরু করা রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে করে ৬৬৮ রান। দুই ওপেনার শান্ত ও মিজানের পর কাল সেঞ্চুরি করেন ফরহাদ রেজা। ১৫১ বলে ১০৬ রান করে আউট হওয়ার আগে শেষ ব্যাটসম্যান শফিউলের সঙ্গে শেষ উইকেটে ১২৩ রানের জুটি গড়েন ফরহাদ রেজা। শফিউল অপরাজিত থাকেন ৫১ রানে। ৬৯ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের শঙ্কায় পড়া মেট্রো ৩১ ওভারে ৫ উইকেটে ১১৮ রান করে ড্র নিশ্চিত করে। ড্র করেও দ্বিতীয় স্তরের চ্যঅম্পিয়ন রাজশাহীই।
দ্বিতীয় স্তরের আরেক ম্যাচে পরাজয়ের দ্বার থেকে ফিরে ড্র করে সিলেট বিভাগও। লক্ষ্য ছিল ৪৫৯ রানের। আগের দিন ২ উইকেটে করে দিন শেষ করা ইমতিয়াজ হোসেনের দল ১৮১ রানে ৬ষ্ঠ উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের শঙ্কায় পড়ে। এরপরই পরাজয়ের শঙ্কায় বাধ দেন অভিজ্ঞ রাজিন সালেহ ও জাকির আলী। শেষ পর্যন্ত আর কেবল রাজিনের উইকেটটি হারিয়ে ৩০৯ রানে ড্র নিশ্চিত করে সিলেট। রাজিন আউট হন সেঞ্চুরি পূর্ণ করে। উইকেটকিপার জাকির অপরাজিত থাকেন ৪৬ রানে।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের
রোল অব অনার
মৌসুম চ্যাম্পিয়ন
১৯৯৯-২০০০* চট্টগ্রাম
২০০০-২০০১ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
২০০১-২০০২ ঢাকা
২০০২-২০০৩ খুলনা
২০০৩-২০০৪ ঢাকা
২০০৪-২০০৫ ঢাকা
২০০৫-২০০৬ রাজশাহী
২০০৬-২০০৭ ঢাকা
২০০৭-২০০৮ খুলনা
২০০৮-২০০৯ রাজশাহী
২০০৯-২০১০ রাজশাহী
২০১০-২০১১ রাজশাহী
২০১১-২০১২ রাজশাহী
২০১২-২০১৩ খুলনা
২০১৩-২০১৪ ঢাকা
২০১৪-২০১৫ রংপুর
২০১৫-২০১৬ খুলনা
২০১৬-১৭ খুলনা
২০১৭-১৮ খুলনা
* প্রথম শ্রেণির মর্যাদা ছিল না

স ং ক্ষি প্ত স্কো র
ঢাকা-খুলনা
ঢাকা : ১১৩ ও (তৃতীয় দিন শেষে ১৬৯/৪) ৯৯.৫ ওভারে ২৯৭ (রকিবুল ৫৮, তাইবুর ৫১, নাদিফ ৪৩, শরীফ ৪৭; মুস্তাফিজ ১/৩৫, মিরাজ ৩/৮৯, রুবেল ৩/৬৪, রাজ্জাক ২/৮৯, মেহেদি ১/১৯)।
খুলনা ১ম ইনিংস : ৪৫৯/৮ ডিক্লে.
ফল : খুলনা ইনিংস ও ৪৯ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা : মেহেদী হাসান মিরাজ (খুলনা)

বরিশাল-রংপুর
বরিশাল : ৩৩৫ ও ৬২.২ ওভারে ২১৭/৪ (রাফসান ৩৫, মাহমুদ ৩৭, সালমান ৬১, মোসাদ্দেক ৫০*; নাঈম ১/২৪, শুভ ১/৬৬, তানবীর ২/৭৭)।
রংপুর ১ম ইনিংস: (তৃতীয় দিন শেষে ৫৭০/৫) ১৭৬.৩ ওভারে ৬১৪/৭ ডিক্লে. (লিটন ৪৩, নাঈম ৫৪, নাসির ২৯৫, আরিফুল ১৬২; রাব্বি ১৩৪/২, লিঙ্কন ১/৩৭, মনির ৩/১৫১)।
ফল : ম্যাচ ড্র, ম্যাচসেরা : নাসির হোসেন (রংপুর)

চট্টগ্রাম-সিলেট
চট্টগ্রাম : ২১৫ ও (দ্বিতীয় দিন শেষে ১৮৯/৫) চট্টগ্রাম : ২১৫ ও ৩৮০/৭ ডিক্লে.
সিলেট : ১৩৭ ও (তৃতীয় দিন শেষে ৭৮/২) ১২৬ ওভারে ৩০৯/৭ (সায়েম ৪৮, রাজিন ১০৪, জাকির ৪৬*; রানা ৩/৬৮, ইফতেখার ৩/১১২)।
ফল : ম্যাচ ড্র, ম্যাচসেরা : রাজিন সালেহ (সিলেট)

ঢাকা মেট্রো-রাজশাহী
ঢাকা মেট্রো : ৩২৮ ও ৩১ ওভারে ১১৮/৫ (মেহরব জুনি. ৩৬*; শফিউল ৩/২১, দেলোয়ার ২/১৯)
রাজশাহী প্রথম ইনিংস : (আগের দিন ৪৬০/৪) ১৫২.৪ ওভারে ৬৬৮ (শান্ত (১৯৫, মিজানুর ১৭৫, ফরহাদ রেজা ১০৬, শফিউল ৫১; নাহিদুজ্জামান ৪/২১৮, তাসকিন ৩/৯৮)।
ফল : ম্যাচ ড্র, ম্যাচসেরা : নাজমুল হোসেন শান্ত (রাজশাহী)



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুলনা


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ