শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
মাওলানা জালাল উদ্দীন রূমী রহ.
কাব্যানুবাদ : রূহুল আমীন খান
৩২৯. খোদায়ী হাকীমের সাথে বাদশার মোলাকাত
৩৩০. হাকিমবরে জড়িয়ে ধরেন বাড়িয়ে রাজা হস্তদ্বয়
প্রেমের আসন দিলেন তাঁকে আবেগভরে নিজ হৃদয়।
৩৩১. চুমোয় চুমোয় ভরে দিলেন হস্ত এবং ললাট তার
কোথায় বাড়ি, কেমনে এলেন ? শুধান তাঁকে বারম্বার।
৩৩২. নিয়ে গেলেন খাস মহলে ধারণ করে হস্ত তার
বলেন সবর-ফলে আমি পেলাম রতন-মনির হার।
৩৩৩. ধৈর্য-সবর তিক্ত বটে তবে ইহার ফল-আখের
সুমিষ্ট ও উপাদেয়, প্রশান্তিকর তন্্-মনের।
৩৩৪. বলেন রাজা, দুঃক্ষুনাশি বন্ধু, হে মর্দেখোদা
‘সবর হলো মুক্তি-চাবি’ তুমিই সে মোর কুঞ্জিকা।
৩৩৫. সব সোয়ালের জবাব তুমি, প্রমাণ তোমার এ সাক্ষাৎ
তোমার হাতের মুঠোয় আছে এ মুস্কিলের ঠিক নাজাত।
৩৩৬. স্বাগত হে মহাসাধক, প্রিয়ভাজন হে আল্লা’র
তোমায় ছাড়া আমার মরণ, ভ‚বনটাই অন্ধকার।
৩৩৭. রহস্যময় সব আঁধারের তুমি আলোক, ভাষ্যকার
কর্দমে যার আটকেছে পা’ তুমি শরণ-সহায় তার।
৩৩৮. অভিভাবক তুমি জাতির, নেতা! তোমায় চায়না যেই
তওবা যদি না করে সে, অবশ্য তার রক্ষে নেই।
৩৩৯. সাঙ্গ করে কার্য রাজা ভোজসভা ও দরবারের
অন্তপুরে নিয়ে গেলেন হস্তধরে দরবেশের।
৩৪০. একে একে বলেন রাজা বাঁদির হালত নিজ মুখে
অবশেষে হাকিম কে তার বেিসয় দিলেন সম্মুখে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।