নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সাফ অনুর্ধ্ব-১৫ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের লাইনআপ নির্ধারণ হয়েছে দ’ুদিন আগেই। টুর্নামেন্টে নিজেদের দু’টি করে ম্যাচ জিতে স্বাগতিক বাংলাদেশ ও শিরোপা প্রত্যাশি ভারত ইতোমধ্যে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। তবে আজ টুর্নামেন্টে লিগ পদ্ধতির শেষ ম্যাচে এ দু’দল পরষ্পরের মুখোমুখী হচ্ছে। বলা যায়, ফাইনালের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের ফুটবলাররা। সকাল সাড়ে ১১টায় কমলাপুরস্থ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচটি। বেলা আড়াইটায় একই স্টেডিয়ামে দিনের অন্য ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভুটান ও নেপাল।
পাঁচ দিনের ব্যবধানে তিনটি ম্যাচ খেলছেন বাংলাদেশের তহুরা, মারিয়া,আখিঁরা। বলা যায় এখন অনেকটাই ক্লান্ত তারা। আগের ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষেতো মাঠ থেকে ওঠিয়ে নেয়া হয় প্রথম ম্যাচের হ্যাটট্রিক কণ্যা তহুরা খাতুনকে। জানা গেছে ইনজুরিতে রয়েছেন তিনি। তবে ভারতের বিপক্ষেও যথারীতি জয় চান বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। গতকাল তিনি বলেন, ‘আমার দলের নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় তহুরার গ্রোইংয়ে ব্যথা রয়েছে। তাই তাকে ভারত ম্যাচে নামানো হচ্ছে না।’ ছোটন যোগ করেন,‘আসলে তিন দিনে দু’টি ম্যাচ খেলেছে মেয়েরা। তারা অনেকটাই ক্লান্ত। বিশ্রামের প্রয়োজন তাদের। তাছাড়া আমরা ফাইনাল নিশ্চিত করেছি। শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচটিও আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভারতের বিপক্ষে আগের একাদশের বেশ ক’জনের পরিবর্তে সাইডবেঞ্চের মেয়েদেরকে সুযোগ দিতে চাই আমি। তবে অবশ্যই আমরা ম্যাচ জিততে চাই। আমার সাইডবেঞ্চের খেলোয়াড়রাও একাদশের মতো শক্তিশালী।’
লিগ ম্যাচে নেপালকে ৬-০ এবং ভুটানকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। অন্যদিকে ভুটানকে ৩-০ এবং নেপালকে ১০-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে স্বাগতিকদের সঙ্গী হয় ভারত। বলা যায় প্রায় সমমানেরই এ দু’দল। তবে ভারত ম্যাচে নিজের দলকেই এগিয়ে রাখলেন আগের ম্যাচে জোড়া গোল করা বাংলাদেশ ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন। তিনি বলেন, ‘ভারতের বিপক্ষে আমরা আমাদের সেরাটা দিয়েই লড়বো। আমাদের লক্ষ্য থাকবে অবশ্যই জয় তুলে নেয়া। জয় ছাড়া আমরা অন্য কিছু ভাবছি না আমরা। যদিও জানি ভারত শক্তিশালী। তারপরও বলবো ওদের হারানোর যোগ্যতা আমাদের রয়েছে।’
ইনজুরিতে থাকা তহুরা বলেন, ‘এই ম্যাচে আমি বিশ্রাম নিচ্ছি। পায়ের গ্রোইংয়ে ব্যথা পেয়েছি। তবে আশাকরি ফাইনালে খেলতে পারবো। ওই ম্যাচে আমি দলকে জেতাবো ইনশাল্লাহ। আশাকরি লিগের শেষ ম্যাচে আমার দল জয় পাবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।