হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির খড়গ : আসামের এনআরসি এবং বাংলাদেশ
কিশোর শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক দাবীর আন্দোলনে ঢাকাসহ সারাদেশে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছিল,
গত রবিবার ১০ ডিসেম্বর সারা বিশ্বে মানবাধিকার দিবস পালিত হয়ে গেল বিভিন্নমুখী কর্মসূচির মাধ্যমে। পৃথিবীর পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিণ, সকল দিকের সকল পর্যায়ের রাষ্ট্র ও দেশ যে ভাবে মহা সমারোহে এই দিবস উদযাপনে উৎসাহ প্রদর্শন করেছে, তাতে মনে হবে যেন আজকের পৃথিবীতে মানবাধিকারের বিরোধী কোন দেশ অথবা রাষ্ট্রই নেই। সে নিরিখে মনে হবে পৃথিবীতে বর্তমানে মানবাধিকার সম্পূর্ণ নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে এবং বর্তমান বিশ্বে মানবাধিকার নিয়ে কোন সমস্যাই নেই।
কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে অবস্থা কি তাই? মানবাধিকার কথাটার অর্থ কি? পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ ও মানবগোষ্ঠীর জন্মগতভাবে স্বাধীনতা ভোগের অধিকারের নামই মানবাধিকার। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যখন এই নিয়ে আলোচনা চলছে, ঠিক সে সময়ই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জেরুযালেমকে মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া হিসাবে পরিচিত অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি ঘোষণা করেন। এই ঘোষণার মাধ্যমে তিনি কী প্রমাণ করেন? তিনি প্রমাণ করেন যে ফিলিস্তিনী জনগণের আদি জন্মভুমি থেকে পশু বলে উৎখাত করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে নিয়ে আসা ইহুদীদের জন্য ইসরাইল নামের অবৈধ রাষ্ট্র গড়ে তোলার পরিকল্পিত চক্রান্ত করে, সে চক্রান্তকে পূর্ণতা দান করতে ট্রাম্প বদ্ধপরিকর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান বর্ণবাদী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই ভূমিকায় সারা বিশ্বব্যাপী যেভাবে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে, তার মাধ্যমে এই সত্যেরই প্রমাণ হয়েছে যে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণাকে পৃথিবীর কোন দেশই স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে পারেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণবাদী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই অন্যায় ঘোষণার বিরুদ্ধে আরব-অনারব, মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে পৃথিবীর তাবৎ জনগোষ্ঠী যেভাবে নিন্দামুখর হয়ে উঠেছে, তাতে এ সত্য প্রমাণিত হয় যে, এ অন্যায়কে পৃথিবীর কোন জনগোষ্ঠীই মেনে নিতে পারছে না। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার এই ঘোষণার ফলে প্রবল চাপের মুখে পড়েছে। তবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও রাষ্ট্রের প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়ার ফলে তার এই অন্যায় অবস্থান থেকে যুক্তরাষ্ট্র যে সরে আসবে তা সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। এর কারণ যুক্তরাষ্ট্র কিছুতেই ভুলতে পারে না যে ইসরাইল নামের এই অবৈধ রাষ্ট্রটির স্বপ্নদ্রষ্টা যুক্তরাষ্ট্র না হলেও তার সক্রিয় উদ্যোগ ছাড়া ইসরাইলের জন্মলাভ সম্ভব হতো না।
এখানে মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া-রূপী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের জন্মের পটভূমি সম্পর্কে কিছুটা আলোকপাত করা যেতে পারে। এতে প্রমাণিত হবে যে, ইসরাইল নামের এই অবৈধ রাষ্ট্রের জন্মের মূলে রয়েছে সা¤্রাজ্যবাদী চক্রান্ত। মুসলিম-বিরোধী এই সা¤্রাজ্যবাদী চক্রান্তের ভিত্তি ছিল কুখ্যাত বেলফুর ঘোষণা। ১৯১৭ সালের ২ নভেম্বর বৃটেনের তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব স্যার বেলফুর প্রখ্যাত বৃটিশ-ইহুদী লর্ড রথচাইল্ডের কাছে ফিলিস্তিনে ইহুদীদের একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে যে চিঠি লেখেন, সেটাই ইতিহাসে ‘বেলফুর ঘোষণা’ নামে-খ্যাত। এই চিঠিতে বৃটিশ সরকারের পক্ষ থেকে স্যার বেলফুর রথচাইল্ডকে জানান যে, বৃটিশ সরকার ইহুদীদের নিজ আবাসভূমির আকাঙ্খাকে সমর্থন করে এবং এই ঘোষণা বৃটিশ মন্ত্রিসভা কর্তৃক অনুমোদিত। এই ঘোষণা বিশ্ব ইহুদী কংগ্রেসের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্যও বেলফুর রথচাইল্ডের কাছে অনুরোধ জানান। এই ঘোষণা প্রকাশিত হবার পূর্বেই এর প্রতি তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্টের অনুমোদন গ্রহণ করা হয়। ফ্রান্স ও ইতালী যথাক্রমে ১৯১৮ সালের ফেব্রæয়ারী ও মে মাসে সরকারীভাবে এই ঘোষণার প্রতি অনুমোদন প্রদান করে।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, যে বৃটেন সারা বিশ্বে গণতন্ত্রের মাতৃভূমি (মাদার অব ডেমোক্রেসী) নামে পরিচিত এবং স্বদেশের শাসনব্যবস্থায় গণতন্ত্রের আদর্শ কার্যকর দেখতে কোন গাফিলতি করে না, সেই বৃটেনই তার পররাষ্ট্রনীতিতে অন্যান্য রাষ্ট্রের নাগরিকদের মানবাধিকার হরন করার লক্ষ্য সা¤্রাজ্যবাদী আগ্রাসন চালাতে কখনও ত্রæটি করে না। অথচ স্বাধীনতা আর গণতন্ত্র তথা মানবাধিকার একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।
যে কোন রাষ্ট্রের জনগণের ব্যক্তি স্বাধীনতাকে যদি গণতান্ত্রিক অধিকার বা মানবাধিকার বলে অভিহিত করা যায়, সেই রাষ্ট্রের অন্তর্গত জনগোষ্ঠীর সামষ্টিক সত্ত¡ার মানবাধিকারের অপর নামই জাতীয় স্বাধীনতা। সে নিরিখে পরাধীন দেশে গণতন্ত্রের পরিপূর্ণ বা অবাধ বিকাশ কখনও সম্ভবপর হতে পারে না। অন্য কথায় গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা পরস্পর অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। গণতন্ত্র ছাড়া স্বাধীনতা মূল্যহীন কারণ অগণতান্ত্রিক স্বাধীন রাষ্ট্রে স্বাধীনতার আনন্দ থেকে জনগণ বঞ্চিত। এরকম রাষ্ট্রে যে কোন উপায়ে যারা ক্ষমতাসীন হয়ে উঠতে পারে, তাদের কাছে বাকী জনগণ জিম্মী হয়ে পড়ে।
আর যেহেতু মানুষ জন্মগতভাবেই স্বাধীনচেতা এধরনের রাষ্ট্রে অধিকাংশ মানুষ রাষ্ট্র পরিচালকদের প্রতি থাকে ক্ষুব্ধ। তাদের এই ক্ষোভ কখনও সীমাহীন হয়ে পড়লে তাদের দ্বারা রাষ্ট্রের শৃংখলা ও সংহতি বিনষ্ট হয়ে উঠতে পারে। সুতরাং রাষ্ট্রের ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থেই দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা জোরদার করে তোলা প্রয়োজন।
আমাদের প্রাণপ্রিয় স্বদেশ স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসের দিকে যদি আমরা তাকাই, তাহলে আমরা দেখব, আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনে গণতান্ত্রিক সংগ্রামের বিরাট অবদান ছিল। বৃটিশ-শাসিত ভারতবর্ষ থেকে আজকের স্বাধীন বাংলাদেশে উত্তরণের ইতিহাস পর্যালোচনা করতে গেলে আমরা দেখতে পাব, সেক্ষেত্রে গণতন্ত্রের বিরাট অবদান ছিল। গণতন্ত্র অর্থ জনগণের স্বাধীন মতামতের ভিত্তিতে দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা নির্ধারণ করার অধিকার। এ নিরিখে আমাদের বর্তমান রাজনৈতিক অর্জনের পেছনে দুটি সাধারণ নির্বাচনের ঐতিহাসিক অবদান ছিল।
এর একটা ছিল ১৯৪৬ সালের সাধারণ নির্বাচন। সে নির্বাচন ছিল আমরা অখÐ ভারতের নাগরিক হিসাবে বৃটিশ শাসনের কবল থেকে মুক্ত হতে চাই, না মুসলিম লীগের দাবী মোতাবেক ভারতবর্ষের মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলে স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিক হিসাবে বৃটিশ শাসনের কবল থেকে মুক্তি পেতে চাই সেটা নির্ধারণ করা। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, আমরা দ্বিতীয় অপশনের পক্ষে রায় প্রদান করে ছিলাম।
আমাদের আজকের বর্তমান রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতাও আমরা অর্জন করি আরেকটি সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে। সেটি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭০ সালে। সে নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূলভিত্তি ছিল ১৯৪০ সালের ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব, যেখানে উপমহাদেশের মুসলিম-অধ্যুষিত পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে একাধিক স্বতন্ত্র, স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা ছিল। লাহোর প্রস্তাবে উল্লেখিত মুসলিম অধ্যুষিত পূর্বাঞ্চলের সেই স্বাধীন রাষ্ট্রই আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ।
আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এই গণতান্ত্রিক বৈশিষ্ট্যের উপর এত বিশদ আলোচনার উদ্দেশ্য স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জনের মূলে গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ঐতিহাসিক অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া। কারণ আমাদের বর্তমান স্বাধীনতার ঐতিহাসিক পটভূমি ভুলে যাবার কারণেই আমাদের আশানুরূপ উন্নয়ন সম্ভবপর হচ্ছে না। দু:খের সাথে উল্লেখ করতে হয়ে যে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মূলে গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ঐতিহাসিক অবদান ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর প্রথম সরকারের আমলেই গণতন্ত্রের টুটি চেপে ধরে সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে একটি মাত্র সরকারী দল রেখে একদলীয় বাকশালী শাসন কায়েম করা হয়।
এর পর বহু দু:খজনক ঘটনার মাধ্যমে একদলীয় বাকশালী শাসনের অবসান ঘটিয়ে দেশে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুন:প্রতিষ্ঠিত হলেও এক পর্যায়ে তদানীন্তন সেনাপ্রধান জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সামরিক ক্যুর মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকার উৎখাত করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে বসে এখন সারা দুনিয়াকে অবাক করে দিয়ে দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনা এই মিলিটারী ক্যুর প্রতি সমর্থন দিয়ে বসেন। এটা হয়তো সম্ভব হয়েছিল এই বিবেচনায় যে উৎখাত হওয়া ঐ নির্বাচিত সরকারের নেতৃত্বে ছিল আওয়ামী লীগের নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি। এর-অর্থ হল নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের তুলনায় তাঁর কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়েছিল সামরিক ক্যুর মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী জেনারেলের শাসন।
এর পর শুরু হয় জেনারেল এরশাদের দীর্ঘ স্বৈরশাসন। বিএনপিসহ অন্যান্য দল এরশাদ-বিরোধী আন্দোলন শুরু করে দিলেও আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন সে আন্দোলনে যোগ দেয়নি। পরে সে আন্দোলনে আওয়ামী লীগ যোগ দিলেও ততদিনে রাজনীতিতে নবাগতা বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া একটানা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আপোষহীন নেত্রী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সমর্থ হন। তাঁর এ সাফল্যের এর প্রতিফলন দেখা যায় দেশে গণতন্ত্র পুন-প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এরশাদ আমলের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে। নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া জয়ী হয়ে সরকার গঠন করেন। আর শেখ হাসিনা হন সংসদে বিরোধী দলীয় নেত্রী।
খালেদা জিয়ার শাসনামলের মেয়াদ শেষে নতুন নির্বাচনের প্রশ্ন উঠলে প্রধানত শেখ হাসিনার দাবীর মুখেই দেশে সকল জাতীয় নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সংবিধান সংশোধন করা হয়। বাংলাদেশের বিশেষ পরিস্থিতিতে এটাই যে গণতন্ত্রের নিরিখে সবচাইতে উপযোগী ব্যবস্থা তা বাস্তবেই প্রমাণিত হয়। দেখা যায় এ পদ্ধতিতে পরপর কয়েকটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং তাতে দেশের দুই প্রধান দল জয়ী হয়ে পরপর দেশ চালনার সুযোগ লাভ করে। এরপর এক পর্যায়ে এই সুন্দর ব্যবস্থাটিকেও পচিয়ে ফেলা হয় এবং শেখ হাসিনার শাসনামলে পুনরায় দলীয়-সরকারের অধীনে নির্বাচনের লক্ষ্যে সংবিধান সংশোধিত হয়। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের স্বপক্ষে বর্তমান সরকার যে সংবিধানের দোহাই দিচ্ছেন। সে সম্পর্কে বলা যায়, সংবিধান পবিত্র কোরআনের মত কোন অপরবর্তনীয় বিষয় নয়। সেরকম হলে অতীতে প্রধানত শেখ হাসিনার দাবীর মুখেই সংবিধান সংশোধিত হত না। আসলে গণতন্ত্রের মূল কথা হচ্ছে জনগণের স্বাধীন ও অবাধ ইচ্ছার প্রতিফলন হয় এমন একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন হতে পারে এমন দল বা জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে দেশ পরিচালনার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। এর অন্যথায় নানা চতুরতার মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়া বা থাকা যায়। কিন্তু তাকে গণতন্ত্র অক্ষত থাকে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।