মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে শর্ত ছাড়াই ‘যে কোনো সময়’ আলোচনার প্রস্তাব দিলেও হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বলছেন, আচরণ উন্নত না করলে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা হবে না। গত বুধবার হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, স¤প্রতি একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া, তাই আলোচনার জন্য এটি সঠিক সময় হতে পারে না। টিলারসনের অবস্থান নিয়ে ট্রাম্পের কোনো মন্তব্য পাওয়া না গেলেও হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের ভাষ্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রস্তাবকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রথম থেকেই বলে আসছে, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যে কোনো আলোচনা শুরুর আগে পিয়ংইয়ংকে অবশ্যই তার ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করতে হবে। মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসিতে আটলান্টিক পলিসি ফোরামের সম্মেলনে টিলারসন উত্তর কোরিয়া বিষয়ে মার্কিন নীতি নমনীয় করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়া যা নিয়ে কথা বলতে চাইবে যুক্তরাষ্ট্র বিনা শর্তে যে কোনো সময় তা নিয়ে আলোচনায় প্রস্তুত। উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়ানো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পই মার্কিন নীতি বদলে অনুমতি দিয়েছেন কি-না, টিলারসনের বক্তব্যের পর এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি হোয়াইট হাউস। গত বুধবার হোয়াইট হাউসের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যে কোনো ধরণের কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে মার্কিন প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের পরিকল্পনার কথাই পুনারাবৃত্তি করলেন। প্রশাসন একতাবদ্ধ, যতক্ষণ পর্যন্ত (উত্তর কোরিয়ার) শাসকদের আচরণে মৌলিক উন্নতি দেখা না যায়, যে কোনো ধরনের আলোচনার জন্য ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে, বলেন তিনি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাবনাও বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানান এ কর্মকর্তা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে যেহেতু বলেছেন, এটিও যুক্ত হবে, তবে সেখানেই সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না, (উত্তর কোরিয়াকে) অবশ্যই পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ করতে হবে। মঙ্গলবারের বক্তব্যে টিলারসন আলোচনা শুরুর জন্য ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ স্থগিত রাখার কথা খোলাসা করেননি; যদিও তিনি বলেছেন, আলোচনার মধ্যেই পিয়ংইয়ং যদি আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে তাহলে ‘কথা বলা কঠিন হয়ে পড়বে’। কার্যকর আলোচনার জন্য উত্তর কোরিয়াকে ‘কিছু সময় নীরব’ থাকতে হবে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদার নয়ের্তও একই ধরণের ইঙ্গিত দেন। রয়টার্স, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।