Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বড় দু’টি দলের কঠোর অবস্থান : শুধু নির্বাচন নয়, গণতন্ত্রও বিপন্ন হওয়ার উপক্রম

মোবায়েদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধান মোতাবেক আগামী ১ বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে। এটি শুধুমাত্র সরকারের ওপর নয়, বরং সমগ্র জাতির ওপর সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। কিন্তু সেই বাধ্যবাধকতা পালন করার পথে রয়েছে বাস্তব অনেক অন্তরায়। যেমন, বিএনপি সহ ২০ দলীয় বিরোধী জোট এই সংবিধানের কোনো কোনো অধ্যায় বা অনুচ্ছেদ মানে না। উদাহরণ স্বরূপ, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী। বিএনপি তো প্রকাশ্যে বলে যে তারা নির্বাচিত হলে পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করবে। সেটি তো গেল নির্বাচিত হওয়ার পরের কথা। কিন্তু নির্বাচিত হতে গেলে তো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। কিন্তু বিএনপি সহ বিরোধী দলের অনেকেই পঞ্চদশ সংশোধনীর অধীনে নির্বাচন করবে না বলে এখনো বলে যাচ্ছে। পঞ্চদশ সংশোধনীর আগে সংবিধানে ছিল ত্রয়োদশ সংশোধনী। ত্রয়োদশ সংশোধনীতে ছিল নির্বাচনকালে কেয়ারটেকার সরকারের ব্যবস্থা। উচ্চ আদালতের রায়ে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয়। সকলেই জানেন যে, কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থায় নির্বাচনের ৩ মাস আগে যে দলের সরকার ক্ষমতায় থাকে সেই সরকারকে পদত্যাগ করতে হতো। আওয়ামী লীগই এক সময় কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে সারাদেশে প্রবল গণআন্দোলন গড়ে তোলে। তখন ক্ষমতায় ছিল বিএনপি সরকার। বিএনপি সরকার কেয়ারটেকার সরকার দাবির প্রবল বিরোধী ছিল। আওয়ামী লীগ এমন প্রবল গণ আন্দোলন সৃষ্টি করে যে তৎকালীন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকার কেয়ারটেকার সরকার দাবি মানতে বাধ্য হয়। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বে যে সরকার গঠিত হয় সেই সরকার কেয়ারটেকার বিল পাশ করে।
ঐ বছরই দেশের প্রথম কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এভাবে পরপর তিনটি কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সব শেষে ২০০৮ সালে দেশে যে সরকার আসে সেটি ছিল একটি অদ্ভুত সরকার। এটিকে কেয়ারটেকার সরকারও বলা যাবে না, আবার সামরিক সরকারও বলা যাবে না। ইতোপূর্বে তিনটি কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত তিনটি নির্বাচনের মধ্যে ২ টি তে বেগম জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি এবং ১টি তে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে। ২০০৮ সালে যে নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয় সেটি হয় জরুরী অবস্থার সরকারের অধীনে। এটিকে বেগম খালেদা জিয়া আখ্যায়িত করেছেন জরুরী সরকার নামে। সেই নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে এবং সরকার গঠন করে। সেটি ছিল নবম জাতীয় সংসদের নির্বাচন।
এই নির্বাচনে জয়লাভ করার পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সংবিধানের অনেকগুলি পরিবর্তন/সংশোধনী আনে। এর মধ্যে একটি হলো কেয়ারটেকার সরকারের পরিবর্তে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান। পঞ্চদশ সংশোধনীর আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো, জাতীয় সংসদ বহাল থাকা অবস্থাতেই আরেকটি জাতীয় সংসদের নির্বাচন। যাই হোক, ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পঞ্চদশ সংশোধনী মোতাবেক দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করে। এটি ছিল ১০ম জাতীয় সংসদের নির্বাচন। ৫ই জানুয়ারি যখন ১০ম জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তখন যুগপৎ ৯ম জাতীয় সংসদও বহাল ছিল। এসব বিধান বাতিলের দাবিতে এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ঐ নির্বাচন বয়কট করে। তখন দেশে ছিল ৪২টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। এই ৪২টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী সহ ৩০টি রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করে। পক্ষান্তরে জাতীয় পার্টি, মেননের ওয়ার্কার্স পার্টি, ইনুর জাসদ এবং দিলীপ বড়–য়ার সাম্যবাদী দল সহ কয়েকটি ছোট ছোট দলকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। বিএনপি এবং বিরোধী দলীয় জোট সমূহ এটিকে প্রহসনের নির্বাচন এবং এই নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত জাতীয় সংসদ এবং সরকারকে অবৈধ সরকার এবং অবৈধ সংসদ হিসেবে ঘোষণা করে।
\দুই\
শুরু হয় ১০ম সংসদের যাত্রা। বিরোধী দল এবং এক শ্রেণীর সুশীল সমাজ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচন মেনে নিতে পারেননি। একমাত্র ভারত ছাড়া আর কোন দেশ ঐ নির্বাচন সহজভাবে গ্রহণ করতে পারেনি। ঐ নির্বাচন বিতর্কিত হবে, সেই আশঙ্কা করে ভারতের মিত্র রাশিয়াও নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠায়নি। এসব মাত্র ৪ বছর আগের কথা। তাই সেই সময়কার অবস্থা এবং ঘটনাক্রম আমরা বিস্তারিত তুলে ধরতে যাচ্ছি না। বিজ্ঞ পাঠকদের হয়তো মনে আছে যে ঐ নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে যখন দেশ বিদেশের চতুর্দিকে প্রশ্ন উঠছিল তখন সেই সময়কার প্রধানমন্ত্রী এবং আজকেরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং একটি ওয়াদা করেছিলেন।
শেখ হাসিনা সেদিন ওয়াদা করেছিলেন যে, ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি তিনি যে নির্বাচন করছেন সেটি নেহায়েত সংবিধান রক্ষার নির্বাচন। সংবিধানে আছে ৫ বছর পর পর নির্বাচন হতেই হবে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুতরাং সংবিধান মোতাবেক ২০১৪ সালের জানুয়ারী মাসের মধ্যে, অর্থাৎ ৫ বছরের মধ্যে ১০ম সংসদের নির্বাচন হতেই হবে। যদি সংবিধান মোতাবেক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১০ম সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হয় তাহলে অসাংবিধানিক শক্তির উত্থান হতে পারে। তিনি ওয়াদা করেন যে, সংবিধান রক্ষার নির্বাচনটি হয়ে যাক, এরপর তিনি যত শীঘ্র পারেন আরেকটি নিয়মিত নির্বাচন, অর্থাৎ একাদশ সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠান করবেন।
তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই কথায় দেশি-বিদেশী মহলের কেউ কেউ আশ্বস্ত হয়েছিলেন। কারণ তারা আশা করেছিলেন যে প্রধানমন্ত্রীর ওয়াদা মোতাবেক তিনি বছর খানেকের মধ্যেই আরেকটি নির্বাচন দেবেন। সেটি হবে একাদশ সংসদের নির্বাচন, সেই নির্বাচনকে মধ্যবর্তী নির্বাচন বা যে নামেই ডাকা হোক না কেন। তারপর সময় গড়াতে থাকে। এভাবে ৪ বছর পার হয়ে গেছে। আরেকটি নির্বাচন আর অনুষ্ঠিত হয়নি।
২০১৫ সালের ৫ই জানুয়ারি আওয়ামী লীগের তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের দ্বিতীয় বছর। আওয়ামী লীগ এটিকে গণতন্ত্র দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। পক্ষান্তরে বিএনপি এটিকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসেবে পালন করার কর্মসূচী গ্রহণ করে। তারপরের ঘটনাবলী জনগণের সম্পূর্ণ জানা। বিএনপি এবং ২০ দল হরতাল এবং অবরোধ কর্মসূচী ঘোষণা করে। এসব কর্মসূচী পালন করতে গিয়ে বিএনপি এবং জামায়াত ইসলামীর হাজার হাজার নেতা ও কর্মী গ্রেফতার হন এবং পুলিশী জুলুমের শিকার হন। সরকারও কঠোর হস্তে বিরোধী দলের অবরোধ এবং হরতাল কর্মসূচীর মোকাবেলা করে। ধীরে ধীরে বিরোধী দলের কর্মসূচী নিস্তেজ হতে থাকে। এভাবে দেখতে দেখতে বিরোধী দলের কর্মসূচী শুধুমাত্র নিস্তেজই হয়নি, বিরোধী দল সমূহও ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
অবস্থা এমন পর্যায়ে আসে যে এক সময় দেশে যে বিরোধী দল আছে সেটির অস্তিত্বও অনুভ‚ত হয় না। জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ান। একাধিক নেতার মৃত্যুদন্ড হয় এবং তাদের মধ্যে অনেক নেতার ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। এছাড়া জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের অনেক নেতাকর্মী কারাগারে নিক্ষিপ্ত হন। অনেকে হুলিয়া মাথায় নিয়ে পলাতক জীবন যাপন করেন। অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি রাজপথ থেকে সরে আসে এবং চার দেয়ালের মাঝে নিজেদের আবদ্ধ রাখে। তাদের কর্মসূচী প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন এবং প্রেসক্লাব, নয়াপল্টন অফিস এবং গুলশানে চেয়ারপারসনের অফিসে সংবাদ সম্মেলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে।
\তিন\
এভাবেই চলছিল গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ৩ মাস ব্যাপী লন্ডনে চিকিৎসা গ্রহণের পর অক্টোবর মাসের ১৮ তারিখে বেগম খালেদা জিয়া ঢাকা প্রত্যাবর্তন করেন। ঠিক সেদিন থেকেই রাজনৈতিক দৃশ্যপটে অকস্মাৎ বিরাট পরিবর্তন ঘটে। ঐ দিন বেগম জিয়াকে সংবর্ধনা জানানোর জন্য ঢাকা বিমান বন্দরে লক্ষ মানুষের সমাবেশ ঘটে। এতদিন ধরে বিরোধী দল বিশেষকরে বিএনপি সরকার কোন মিছিল মিটিং বা সমাবেশ করতে দেয়নি। কিন্তু ১৮ অক্টোবর সরকারের এই কঠোর নিয়ন্ত্রণে শিথিলতা দেখা দেয়। অন্যদিকে সরকারের দমননীতির শিথিলতা দেখে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরাও হাজারে হাজারে রাস্তায় বেরিয়ে আসে।
দৃশ্যপটে আরেকটি বড় ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। ২৮ অক্টোবর শনিবার কক্সেবাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শনের জন্য সড়ক পথে গাড়ি বহর সহযোগে উখিয়া গমন করেন বেগম জিয়া। ঢাকা থেকে কক্সবাজার- এই সমগ্র সড়ক পথের দুই পাশে উপচে পড়েছিল লক্ষ লক্ষ মানুষ। ফিরতি পথেও মানুষের একই রকম ঢল দেখা যায়। এত লম্বা সড়ক পথে নোয়াখালী এবং চট্টগ্রামের মিরেরশ্বরাই ছাড়া সরকার অথবা সরকারি দল বাধা দেয়নি বা হামলা করেনি। বেগম জিয়ার এই বিশাল যাত্রা পথেও সরকার তার আড়াই বছরের কঠোর নিয়ন্ত্রণ শিথিল করেছিল।
দৃশ্যপটের তৃতীয় পরিবর্তনটি লক্ষ করা যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত বেগম জিয়ার বিশাল জনসভায়। গত ১২ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেগম জিয়ার যে জনসভা অনুষ্ঠিত হয় ঐ জনসভায় লক্ষাধিক লোক যোগদান করেন। জনসভার উল্লেখযোগ্য দিক হলো এই যে, জনসভায় আগত মানুষদের অধিকাংশই আসেন সাধারণ মানুষের ভেতর থেকে স্বতস্ফ‚র্তভাবে। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশকে অরগানাইজ করে নিয়ে আসতে হয়নি। এই সভাতেও সরকার দমন নীতির খড়গ অনেক অংশে শিথিল করে।
এসবের কারণে কিনা জানি না, চলতি মাসের প্রথম দিকে সরকারি দলের তরফ থেকেই আগাম নির্বাচনের আওয়াজ তোলা হয়। আওয়াজ তোলা হয় এই অর্থে যে ওবায়দুল কাদেরদের মতে, আগাম নির্বাচন দেওয়ার ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর। তিনি ইচ্ছে করলে যে কোন সময় নির্বাচন দিতে পারেন। তিনি কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে একথা বলেছিলেন কিনা জানি না, কিন্তু বিএনপি ওবায়দুল কাদেরের এই উক্তির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। বেগম জিয়া এর আগেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত জনসভায় স্পষ্ট ঘোষণা করেন যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। তিনি আরো দাবি করেন যে, নির্বাচনের আগে বর্তমান পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দিতে হবে। সাধারণ নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার সহ সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। তিনি আরো দাবি করেন যে, এই নির্বাচনে ইভিএম মেশিন ব্যবহার করা যাবে না।
যখন আগাম নির্বাচনের আওয়াজ শোনা গেল তখনও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্পষ্ট ভাষায় বললেন যে বেগম জিয়া উত্থাপিত ঐসব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আগাম নির্বাচন বা রেগুলার নির্বাচন কোনটাই হতে পারবে না। এসবের প্রতিক্রিয়ায় কম্বোডিয়া থেকে ফিরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দেন যে, বেগম জিয়াকে নাকে খত দিয়ে নির্বাচনে আসতে হবে। এর উত্তরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন যে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে প্রধান মন্ত্রীকে বাধ্য করা হবে।
আগাম নির্বাচন হোক বা না হোক, সেটি বড় কথা নয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই সরকার এবং বিরোধী দল উভয়েই নিজ নিজ অবস্থান কঠোর থেকে কঠোরতর করছে। বিএনপি বারবার সংলাপের কথা বলছে। কিন্তু বিএনপির সাথে সংলাপ তো দূরের কথা, বিএনপির নামও হাই কমান্ডের সামনে উচ্চারণ করতে বারণ করা হচ্ছে। সরকার এবং বিরোধী দল কেউ যদি তাদের অবস্থান থেকে ছাড় না দেয় তাহলে নির্বাচনের আগে তাদের অবস্থান পয়েন্ট অব নো রিটার্নে চলে যাবে। আর তেমন একটি পরিস্থিতির সত্যিই যদি উদ্ভব ঘটে তাহলে শুধু নির্বাচন নয়, গণতন্ত্রই হুমকির মুখে পড়বে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
[email protected]



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গণতন্ত্র

২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ