Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইউরোপে মুসলমানের সংখ্যা বাড়বে : পিউ রিসার্চ

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলছে, ইউরোপে অভিবাসন আইন কঠোর করা হলেও অভিবাসন প্রত্যাশীরা আসতে থাকবে এবং মুসলমানদের সংখ্যাও বাড়তে থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টার এক প্রতিবেদনে বলেছে, ২০৫০ সালের মধ্যে ইউরোপের মোট জনসংখ্যার শতকরা দশ ভাগেরও বেশি হবে মুসলমান। পিউ রিসার্চ এ বছরই আরেক প্রতিবেদনে বলেছিল, ২০৭০ সাল নাগাদ বিশ্বে ইসলাম ধর্মাবলম্বী অর্থাৎ মুসলমানই সবচেয়ে বেশি থাকবে। ২০১৫ সালের পর থেকে ইউরোপে ব্যাপক হারে শরণার্থী আসা শুরু হলেও পরবর্তীতে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে শরণার্থীদের আগমন প্রায় বন্ধ। কিন্তু পিউ রিসার্চের গবেষকরা বলছেন, তারপরও ইউরোপের অভিবাসীদের সংখ্যা বৃদ্ধি হবে এবং সবচেয়ে বেশি বাড়বে মুসলমান। জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে বলেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৮টি দেশ এবং নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ডÑ এই ৩০ দেশকে নিয়ে গবেষণাটি করেছে পিউ। তারা দেখেছে, ইউরোপে জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধি, বাইরের মানুষদের লেখাপড়া বা কাজ করতে বৈধভাবে আসা এবং শরণার্থীÑ এই তিনভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে। ২০১৬ সালে ইউরোপে ছিল ৪ দশমিক ৯ ভাগ মুসলমান। ২০৫০ সালে তা বেড়ে হবে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। জার্মানিতে এ মুহূর্তে মুসলমান আছে শতকরা ৬ ভাগ, ২০৫০ সালে তা বেড়ে হবে মোট জনসংখ্যার শতকরা ৯ ভাগ। এমনিতে মুসলিমদের সন্তান জন্ম দেয়ার ক্ষমতা এ মুহূর্তে বেশি, কারণ ইউরোপে মুসলিমদেরই গড় বয়স সবচেয়ে কম। মুসলিমদের গড় বয়স এখন ৩০ দশমিক ৪ বছর এবং অমুসলিমদের গড় বয়স ৪৩ দশমিক ৮ বছর। ফলে গবেষকরা বলছেন, খ্রিস্টানদের মাঝে জন্মহার যেখানে ১ দশমিক ৬, মুসলমানদের তা ২ দশমিক ৬ ভাগ। মূলত গত কয়েক বছরে ব্যাপক হারে মুসলমানদের আগমনের কারণেই ইউরোপের জনসংখ্যায় এমন প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হিসাব বলছে, ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মোট ৭০ লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী এসেছে ইউরোপে, যার মধ্যে অন্তত ৩ দশমিক ৪ ভাগই মুসলমান। জার্মানিতে আসা শরণার্থীদের মধ্যে মুসলমানের সংখ্যা আনুপাতিকভাবে আরো বেশি। ২০১০ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে মোট প্রায় ৬ লাখ ৭০ হাজার শরণার্থী এসেছে জার্মানিতে, এর মধ্যে শতকরা ৮৬ ভাগই মুসলমান। ওয়েবসাইট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মুসলমান


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ