শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
অক্টাভিও পাজ (৩১ মার্চ, ১৯১৪ - ১৯ এপ্রিল, ১৯৯৮) ছিলেন একজন মেক্সিকান কবি, লেখক, ও কূটনীতিবিদ। বিংশ শতাব্দীর লাতিন আমেরিকান সাহিত্যের তিনি অন্যতম পুরোধা। ১৯৮০ সালে পাজ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। তার অসামান্য কাজের জন্য তিনি ১৯৮১ সালে মিগুয়েল ডি সার্ভেস্তেস পুরস্কার ও ১৯৮২ সালে নিউতস্তাদত পুরস্কার পান। তার ১৯৫৭ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত লিখিত কবিতাগুলোর একটি সংকলন বের হয় ১৯৯০ সালে । ১৯৯০ সালেই পাজ নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। অক্টাভিও পাজ ১৯৯৮ সালের ১৯ এপ্রিল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
ভাষান্তর : আকিব শিকদার
সেতু
মুহূর্ত আর মুহূর্তের মাঝে,
আমার এবং তোমার মাঝে,
সেতু নামের শব্দ।
সেখানে প্রবেশ করতেই
তোমার মাঝে তুমি অন্তরীন হও:
পৃথিবী যুক্ত হয় আর
অচল হয়ে আসে চাকার মত।
এক কূল হতে অন্যতে,
প্রতিবারই
প্রশস্ত এক দেহ:
এক রংধনু।
তার গহীন কোলে নেবো নিদ্রা আমি।
মেক্সিকোর গান
আমার পিতামহ কফি খেতে খেতে
করতেন গল্পÑ হুয়ারেজ আর পোরফিরিও,
জুয়াভ বাহিনী আর পাতেয়াদোর দস্যু দল।
টেবিলক্লথ থেকে আসতো ভেসে বারুদের গন্ধ।
আমার পিতা পানীয় পানের ফাঁকে
শোনাতেন জাপাতা আর ভিয়া
সোতো, গামা আর ফ্লোরেস মাগোন ভাইদের গল্প।
টেবিলক্লথ থেকে আসতো ভেসে বারুদের গন্ধ।
আমি নিশ্চুপ থাকতাম
আমি কার গল্প বলবো?
পথ
এই যে সুদীর্ঘ, স্থব্ধ পথ।
হাঁটি ঘোরের মধ্যে, হোঁচট খাই, গড়িয়ে পড়ি,
উঠে দাঁড়াই, চলি অন্ধের মতো, পায়ের তলা
মাড়িয়ে যায় নির্বাক পাথর আর শুকনো তৃণ।
আমার পেছনে কেউ এইরূপ পেরোলে পাথর আর ঘাস :
আমি থামতেই, থামে সেও;
দৌড়োতেই, সেও দৌড়োয়, ঘুরে দেখি : কেউ না।
সমস্তই ওড়নাজাল, দরজাহীন
শুধু পায়ের শব্দ অস্তিত্বের সাড়া দেয়,
এইসব প্রান্ত ধরে আমি ঘুরছি তো ঘুরছিই
যা চিরন্তন পথের দিকে চলে গেছে
যেখানে কেউ অপেক্ষা করে না, হাঁটে না পিছু,
যেখানে আমি এমন একজনকে পেয়েছি খুঁজে, যে হোঁচটের পর
উঠে দাঁড়িয়েছে, আমার দিকে ফিরে বলছে : কেউ না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।