পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে আইনমন্ত্রীর অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ-সহিংসতা দমাতে রাজধানী ইসলামাবাদে সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। ইসলামবাদের গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক অবরোধকারী বিক্ষোভকারীদের সরাতে গত শনিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে সহিংসতায় প্রায় দুইশ’ মানুষ আহত হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নির্বাচনী শপথ থেকে হযরত মোহাম্মদ (স.) এর কথা বাদ দিয়ে আইনমন্ত্রী জাহিদ হামিদ ধর্ম অবমাননা (বøাসফেমি) করেছেন অভিযোগ তুলে তার অপসারণ দাবি করে কট্টর ইসলামপন্থি সংগঠন তেহরিক-ই-লাবাইক। সংগঠনের নেতাকর্মীরা কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসলামাবাদের মূল প্রবেশ দ্বার ফয়জাবাদে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে। শনিবার সকালে সেখান থেকে তাদের সরাতে কাঁদুনে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। ওই অভিযানে পাকিস্তানের এলিট পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর প্রায় সাড়ে আট হাজার সদস্য অংশ নেয়। তবে বিক্ষোভকারীদের দমাতে ব্যর্থ হয়ে ওই অভিযান স্থগিত করা হয়েছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম বলছে, বিক্ষোভকারীরা পাঞ্জাবে ওই মন্ত্রীর বাড়িতেও হামলা করেছে। তবে মন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা সে সময় সেখানে ছিলেন না। করাচিসহ অন্যান্য শহরেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে বলে পাকিস্তানভিত্তিক ডনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়। পাকিস্তানের আইনমন্ত্রীর অপসারণের দাবিতে গত দু’সপ্তাহ ধরেই রাজধানী ইসলামাবাদের মূল রাস্তাগুলি অবরোধ করে রেখেছেন তেহরিক-ই-লাবাইকের কর্মী ও সমর্থকরা। গত শনিবার সকালে পুলিশ তা ভাঙার চেষ্টা শুরু করতেই সংঘর্ষের সূত্রপাত। এ দিন পাক আইনমন্ত্রীর বাড়ির একাংশ ভাঙচুর করে বিক্ষোভকারীরা। টেলিভিশনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, গাড়িতে আগুন জ্বলছে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে। রাতের মধ্যে এই আন্দোলন অন্য শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। বেসরকারি টেলিভিশনগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিছু স্থানে বন্ধ রয়েছে ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবও। তবে আন্দোলনকারীরা দাবিতে অনড় বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। তেহরিক ই লাব্বাইকের মুখপাত্র এজাজ আশরাফি বলেন, আমরা হাজার হাজার মানুষ ফিরে যাবো না। শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবো। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, আইনমন্ত্রীর বাড়ি ভাঙার সময় তার পরিবার সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। নিজের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন আইনমন্ত্রী। বিবিসি, রয়টার্স, ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।