মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিডল ইস্ট মনিটর : সউদী কর্তৃপক্ষ দেশের দ্বিতীয় ধনাঢ্য ব্যক্তি মোহাম্মদ হুসেইন আল-আমৌদিকে গ্রেফতার করেছে। সউদী শীর্ষ ধনী প্রিন্স আল-ওয়ালিদ বিন তালালের পর তাকে বেশি সম্পদের মালিক বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। তিনি একই সাথে ইথিওপিয়ারও নাগরিক। চলতি মাসের শুরুর দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে খবর ছড়িয়ে পড়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল মিডল ইস্ট আইয়ের মতে, প্রিন্স বিন তালালের গ্রেফতারের বিষয়টি বিশ্বজুড়ে আলোচিত হয়েছে। আল-আমৌদির গ্রেফতারের ঘটনাটিও যথেষ্ট গুরুত্বের দাবিদার। কারণ তিনি অবরুদ্ধ হওয়ায় পুরো ইথিওপিয়ার অর্থনীতি অস্থিতিশীল হয়ে পড়তে পারে। ইথিওপিয়ায় কৃষি খাত ও হোটেল ব্যবসা থেকে শুরু করে মহাকাশ গবেষণা পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি খাতেই বিনিয়োগ রয়েছে ‘দ্য শেখ’ নামে পরিচিত আল-আমৌদির। আফ্রিকার দ্রæত উন্নয়নশীল এই দেশে তার বিনিয়োগ ঠিক কী পরিমাণ, তা ধারণা করা কঠিন।
এক বিশ্লেষকের মতে, ইথিওপিয়ায় আল-আমৌদি ৩৪০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছেন, যা দেশটির মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০১৩ সালে পরিচালিত শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, ইথিওপিয়ায় এই ধনাঢ্য সউদী নাগরিকের যে প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে, সেগুলোতে ১ লাখের মতো মানুষ কাজ করেন। দেশটির বেসরকারি খাতে মোট কর্মজীবী মানুষের সংখ্যার ১৪ শতাংশ। বিশ্বব্যাংকের বিশ্লেষকেরা বলেছেন, ইথিওপিয়ার উন্নয়নের গতি দ্রæততর হওয়ায় গত চার বছরে এই সংখ্যা আরও বেড়েছে।
গ্রেফতারের পর থেকেই ইথিওপিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রথম পাতার খবরে পরিণত হয়েছেন আল-আমৌদি।
বার্তা সংস্থাগুলো সামাজিক মাধ্যমে ওয়েবসাইটগুলোতে তার সম্পর্কে ছড়ানো গুজবসহ গ্রেফতারের খবর প্রকাশ করেছে।
ওয়াশিংটন ও ভার্জিনিয়া লি বিশ^বিদ্যালয় আইন স্কুলের ভিজিটিং একাডেমিক ফেলো ও ইথিওপীয় গবেষক হেনোক গাবিসা বলেন, তারা এখন আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। তিনি গ্রেফতার হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী হেইলেমারিয়াম দেসালেন সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে তিনি বলেন, আল-আমৌদি গ্রেফতার হওয়ায় ইথিওপিয়ায় তার বিনিয়োগে প্রভাব পড়বে না। তবে ইথিওপিয়ার বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা মনে করেন, তার দেশের অর্থনীতি শুধু আল-আমৌদির বিনিয়োগের ওপর নির্ভরশীল নয়। তিনি বলেন, ইথিওপিয়ার ১০ কোটি লোক একজনের বিনিয়োগের উপর কী করে নির্ভরশীল হতে পারে? যুক্তরাজ্যে আল-আমৌদির মুখপাত্র টিম পেনড্রি বলেছেন, তার গ্রেফতারে সউদী আরবের বাইরে তার বিনিয়োগে এখনো প্রভাব পড়েনি।
কিলি বিশ^বিদ্যালয়ের আইনের লেকচারার ড. আওল আল্লো বলেন, তিনি এমন এক ব্যক্তি যার উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি ইথিওপিয়ার অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে। এ দেশে তার একটি প্রভাব রয়েছে এবং এদেশে তার বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট সকল সমস্যার আলোকে এ প্রভাব তাকে প্রভাবশালী ব্যক্তিতে পরিণত করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।