বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুবি সংবাদদাতা : রাতের আধাঁরে কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফটকগুলোতে ‘গুড লাক স্টেশনারি’ নামক একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের বিলবোর্ড লাগানো হয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। এই বিলবোর্ড প্রতিস্থাপনে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল শাখাগুলো সংশ্লিষ্ট থাকার কথা তারা বিষয়টি জানে না বলে এড়িয়ে যায়। এদিকে এসব বিলবোর্ডের একটিতে ‘বিজসেন স্ট্যাডিজ’ অনুষদকে ‘বানিজ্য অনুষদ’ লিখে বিকৃত করা হয়েছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, প্রশাসনিক ভবন, উপাচার্যের বাসভবন, শিক্ষার্থীদের চারটি আবাসিক হলসহ বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ ভবনের সামনে ‘গুড লাক স্টেশনারি’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের অন্তত ১২টি বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে বিলবোর্ড গুলো দৃশ্যমান হওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিশ^বিদ্যালয়ের ফটকগুলোতে এমন দৃষ্টিকটু বিলবোর্ড স্থাপন করায় বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের রুচিবোধ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো বিলবোর্ডের কথা জানে না বলে সাংবাদিকদের জানায়। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অগোচরেই কি এ বিলবোর্ডগুলো লাগানো হয়েছে নাকি প্রশাসনের কেউ কেউ গোপনে ঐ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে এগুলো লাগানোর অনুমতি দিয়েছে এমন প্রশ্ন এখন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের। এ বিষয়ে অন্তত ২০ জন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সাথে কথা বললে তারা এ প্রতিবেদকের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে গতকাল শুক্রবার বিকাল চারটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ^বিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে স্থাপন করা বিলবোর্ডটি অপসারণ করলেও বাকিগুলো আপাতত অপসারণ করা হচ্ছে না বলে জানা যায়। এর আগে কাজী নজরুল ইসলাম হলের সামনে স্থাপন করা বিলবোর্ডটি ভাংচুর করেন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখার প্রধান মো: মিজানুর রহমান বলেন, ‘এই বিষয়টি আমার আওতাধীন হলেও আমি এই বিলবোর্ডগুলো লাগানোর ব্যাপারে অবগত নই।’ বিষয়টি না জানার ভান করে এড়িয়ে যান পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার উপ-পরিচালক দেলোয়ার হোসেন।
বিলবোর্ডগুলো স্থাপনের ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো: মজিবুর রহমান রহমান মজুমদার বলেন, ‘বেসরকারী প্রতিষ্ঠান যদি আমাদের ফ্রিতে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করে দেয় তাহলে আমাদের নিতে সমস্যা কোথায়? প্রতিষ্ঠানটি আমাদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করছে।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, ‘ভিসি শেষ সময়ে নিয়োগ বাণিজ্য করতে না পারায় ঐ বেসরকারী প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে অনুষদের নাম বিকৃত উপস্থাপনের মাধ্যমে তিনি এবং প্রক্টর শেষ মূহুর্তে বাণিজ্য করছেন।’
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ভিসি অধ্যাপক ড. মো: আলী আশরাফ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কিছু সৌন্দর্য্য বর্ধনের কাজ করার কথা। আমি এই বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।