পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
সিরিয়া থেকে রাশিয়ার সেনা সংখ্যা কমানো হবে বলে জানিয়েছেন রুশ সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল ভিলেরি গেরাসিমভ। তিনি আরো বলেছেন, সেনাসংখ্যা কমানো হলেও সিরিয়ায় দু’টি রুশ সামরিক ঘাঁটি অক্ষুণœ রাখা হবে। জেনারেল গেরাসিমভ মস্কোয় এক বক্তৃতায় বলেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসীরা নির্মূলের পথে রয়েছে বলে সেনাসংখ্যা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সিরিয়ায় চলমান যুদ্ধবিরতি তদারকি করার জন্য হামিমিম ঘাঁটির পাশাপাশি আরো দু’টি ঘাঁটিতে রুশ সেনা মোতায়েন থাকবে বলে তিনি জানান। অপর এক খবরে বলা হয়, মস্কো বলেছে, সিরিয়ায় মার্কিন সেনা উপস্থিতি দখলদারিত্বের পর্যায়ে পড়ে এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। সেনা উপস্থিতির বিষয়ে মার্কিন সরকার সিরিয়ার কাছ থেকে কোনো অনুমতিও নেয়নি। গত বৃহস্পতিবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা একথা বলেছেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে মার্কিন সেনারা সিরিয়ায় অবৈধভাবে অবস্থান করছে। তাদের কোনো সরকারি অনুমতি নেই কিংবা দামেস্ক সরকার তাদেরকে আমন্ত্রণও জানায়নি। তারা সেখানে আছে কোন আইনগত ভিত্তি ছাড়াই এবং সিরিয়ার বৈধ সরকারের ইচ্ছা বিরুদ্ধে। ফলে মার্কিন সেনাদের আচরণ বা অবস্থান একেবারেই দখলদার সেনাদের মতো। গত ১৩ নভেম্বর মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাট্টস বলেছেন, জেনেভায় সিরিয়া বিষয়ক শান্তি সম্মেলনের অগ্রগতি না হওয়ায় পর্যন্ত তার দেশের সেনারা সিরিয়া থেকে চলে যাবে না। তিনি সেসময় দাবি করেন, জাতিসংঘর অনুমোদন নিয়ে মার্কিন সেনারা সিরিয়ায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। ম্যাট্টিসের এ বক্তব্যে সিরিয়া ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে বলেছে, মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি আগ্রাসন হিসেবে বিবেচনা করছে দামেস্ক। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভও মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে একে আগ্রাসন বলে মন্তব্য করেন। তাস, আরটি,পার্সটুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।