Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কর্মকর্তাদের রাখাইন ভ্রমণ স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র

রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধন চলছে, অচিরেই ব্যবস্থা

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মিয়ানমারের সংঘাতপূর্ণ এলাকা রাখাইনে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের ভ্রমণ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে ওয়াশিংটন। মূলত মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে জাতিগত নিধন চালাচ্ছে বলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের মন্তব্যের পর সে অঞ্চলে মার্কিন কর্মকর্তারা বিক্ষোভের মুখে পড়তে পারেন, এমন আশঙ্কা থেকে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন দূতাবাস থেকে এ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়া হয়। এর একদিন আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাদের পরিচালিত দমন অভিযানের তীব্র সমালোচনা করে একে জাতিগত নিধন বলে উল্লেখ করেন। এমনকি টিলারসন রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর ভয়ঙ্কর নৃশংসতার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা জারিরও হুমকি দেন। রোহিঙ্গাদের দুর্ভোগকে ‘অসহনীয় দুঃখকষ্ট’ বলে অভিহিত করেন তিনি এবং এই অবস্থার জন্য তিনি মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয় চরমপন্থী বৌদ্ধদেরকে দায়ী করেন। যদিও দেশটির সেনারা এই সঙ্কটের জন্য রোহিঙ্গা স্বাধীনতাকামীদের দায়ী করে। টিলারসন বলেন, কোনো উস্কানি ভয়ঙ্কর নৃশংসতার ন্যায্যতা প্রমাণ করতে পারে না। গত বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে চলমান সহিংসতাকে জাতিগত নিধন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। তিনি নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত বার্মার সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের শাস্তি প্রদানের হুমকি দেন। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও উগ্রপন্থী বৌদ্ধ মিলিশিয়াদের নির্যাতনে ৬ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। বিবৃতিতে টিলারসন বলেন, বিদ্যমান তথ্য থেকে সতর্ক এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণের পরে এটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত জাতিগত নিধন চলছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাখাইনে বিপুল সংখ্যক মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে এই দুর্ভোগ থেকে তাদের পরিত্রাণ দেয়া। উদ্ভূত ভয়াবহ পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহে আমি রাখাইনের সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অতিরিক্ত ৪৭ মিলিয়ন ডলার মানবিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছি। রয়টার্স, এপি।



 

Show all comments
  • ২৪ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:৫১ এএম says : 0
    Amrica will be taken big action against Burma, because Burmese army killing rapping Rahinga Muslim women and burning house. I hope that American administration will give them good punishment.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ