বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুষ্টিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তৌহিদুল ইসলাম ওরফে লিপুকে অপহরণ ও হত্যার দায়ে দুজনকে ফাঁসি, আটজনকে যাবজ্জীবন, চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত। বুধবার কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক এ বি এম মাহমুদুল হক দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে চাঞ্চল্যকর মামলাটির রায় দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন রাকিবুল ইসলাম ওরফে বাপ্পি (২২) ও মো. সুমন (৩৫)। এর মধ্যে সুমন পলাতক। আদালতে রাকিবুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন শুভ, হৃদয়, আলিফ, সাজেদুল, নয়ন, সজীব, মিনহাজ ও মিলন। সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামিদের মধ্যে আবু সাইদকে ১০ বছর এবং মাহাবুব, রিপন ও সুজনকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আদালত চারজনকে খালাস দিয়েছেন।
ফাঁসি ছাড়াও অপহরণ ও গুমের দায়ে সুমনকে যাবজ্জীবন ও সাত বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
কুষ্টিয়া আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বলেন, এ হত্যাকাণ্ডকে অত্যন্ত রোমহর্ষক বলে মন্তব্য করেছেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৩১ আগস্ট কুষ্টিয়া শহরের রেনউইক বাঁধ এলাকায় ওয়াহিদুল ইসলামের ছেলে তৌহিদুল ইসলামকে (২১) অপহরণ করা হয়। তৌহিদুল ঢাকার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্র ছিলেন। এ ঘটনার পর ওয়াহিদুল ইসলাম কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে এটি অপহরণ ও হত্যা মামলা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় মোট ১৮ জনকে আসামি করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তৌহিদুল ইসলামের চাচা ওবায়দুল ইসলাম রিপন বলেন, রায়ে তিনি মোটামুটি সন্তুষ্ট। আরও কয়েকজন আসামির ফাঁসি হলে তারা খুশি হতেন। বিষয়টি নিয়ে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।