পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা : ঢাকার কেরানীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র আব্দুল্লাহ হত্যার ঘটনায় পশ্চিম মুগারচর এলাকায় উত্তাল। গতকাল সকাল থেকে মুগারচর এলাকায় শত শত নারী-পুরুষ নিহত স্কুলছাত্র আব্দুল্লাহর বাড়িতে ভিড় জমায়। গতকাল বুধবার বিকেলে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে আব্দুল্লাহ’র লাশ তার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসলে স্থানীয়দের মধ্যে এক হৃদয়-বিদয়ক ঘটনা ঘটে। নিহতদের মা রিনা আক্তার ও বাবা মো. বাদল হোসেনের আহাজাড়িতে এলাকার বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। তাদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। এ ঘটনায় সকাল ১১টায় খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, কেরানীগঞ্জ উপজেলা ইউএনও আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় খ্যাদ্যমন্ত্রী পুলিশ ও জনতার উদ্দ্যেশে বলেন, স্কুলছাত্র আব্দুল্লাহ হত্যার বিচারের কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের যতো সম্ভব তাড়াতাড়ি গ্রেফতার করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যাওয়ার পর এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। মুগারচর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিকেলে আব্দুল্লাহ’র লাশ তার নিজ বাড়িতে নেওয়ার পর শত শত লোকজন হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে।
এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মো. ফেরদাউছ হোসেন বলেন, আব্দুল্লাহ’র চাচাতো দাদার বাড়ি থেকে ড্রামভর্তি লাশ উদ্ধারের পর পরই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার বিকেল থেকে দফায় দফায় হামলা চালিয়ে ঘাতকের বাড়ি ও মাকের্টে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালিয়েছে স্থানীয়রা। মূল ঘাতক দাদা মোতাহারকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও আটক ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে গতকাল সকাল থেকেই উত্তেজিত জনতা বিক্ষোভ মিছিল অব্যাহত রেখেছে। এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনার মূল হোতা খোরশেদ আলম, মোতাহারের ছেলে মেহেদী হাসান, তার মেয়ে মিতু আক্তার ও প্রতিবেশী আল আমীনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার পর মোতাহার হোসেন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। গতকাল সকালে মামলা তদন্তকারী অফিসার সফিকুল আলম ৪ জন আসামিকে ১০ দিন রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছেন। আদলাত আসামি মেহেদী হাসানকে ৭ দিন, খোরশেদ আলম, মিতু আক্তার ও আল আমীনের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
চার আসামি রিমান্ডে
কোর্ট রিপোর্টার জানান, ঢাকার কেরানীগঞ্জে শিশু আব্দুল্লাহ হত্যা মামলায় চার আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। তাদের মধ্যে গ্রেফতার মেহেদী হাসান শামীমকে সাতদিন এবং খোরশেদ আলম, আল আমীন মাহমুদ ও নীতু আক্তারকে পাঁচ দিন করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শামসুন্নাহার নিপু। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক শফিকুল আলম আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন করে রিমান্ড নেওয়ার আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, অপহরণকারীরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঠা-া মাথায় শিশু আব্দুল্লাহকে খুন করে। পরে লাশ গুম করার জন্য আসামি মেহেদীর বাড়ির দুই তলায় একটি নীল রঙের ড্রামের ভেতর লাশ ঢুকিয় ঢাকনা বন্ধ করে রাখে। এর আগে আসামি মেহেদী হাসান তার বাড়ির সমনে রাস্তার উপরে মৃত শিশু আব্দুল্লাহ ও তার ছোট ভাই খালেদকে নিয়ে ক্রিকেট খেলে। এর আগে আসামি মেহেদী হাসান মৃত শিশু আব্দুল্লাহকে ক্রিকেটের ব্যাট বল দিবে বলে বাসা থেকে বের করে আনে। তাই নৃশংস এ হত্যাকা-ের রহস্য উদ্ঘাটন ও অন্যদের গ্রেফতার করার জন্য এই আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।