নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া শর্ট ভার্সন ক্রিকেটের জমজমাট আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পঞ্চম সংস্করণে খুলনা টাইটান্সকে ১৬১ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে চিটাগং ভাইকিংস। গতকাল রাতে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে চিটাগাং। দলের তারকা ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয়ের হাফ সেঞ্চুরির উপর ভর করে ৫ উইকেট ১৬০ রান সংগ্রহ করলেও শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে চিটাগাং। আগের দু’ম্যাচে রান পাওয়া লুক রঞ্চি খুলনার বিপক্ষে ব্যর্থ হন। প্রথম ওভারের শেষ বলে ব্যক্তিগত ৩ ও দলীয় ৬ রানে আবু জায়েদের শিকারে পরিণত হন নিউজিল্যান্ডের এই তারকা ব্যাটসম্যান। এরপর অবশ্য দলকে টেনে তুলেন বিজয়। তিনি আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নেমে কৃতিত্ব দেখান। তবে বিজয়ের সঙ্গে ৯৫ রানের জুটি গড়ে মাহমুদুল্লার শিকার হয়ে ফিরে যান সৌম্য। তিনি ৪৩ বল খেলে চার বাউন্ডারির সাহায্যে করেন ৩২ রান। এরপর অবশ্য বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি বিজয়। ৪৭ বলে পাঁচ চার ও তিন ছয়ের মারে ৬২ রান করে জায়েদের বলে আউট হন তিনি। ম্যাচে এটা জায়েদের দ্বিতীয় উইকেট শিকার। ম্যাচের শেষ দিকে আফগানিস্তানের নাজিবুল্লাহ জাদরানের ২৪ ও স্টিয়ান ভ্যান জিলের অপরাজিত ২৩ রানের ইনিংসে ১৬০ রানের ফাইটিং স্কোর তুলে চিটাগং। জাদরান রান আউট হন। তিনি ১৬ বলে এক চার ও দুই ছয়ের মারে করেন ২৪ রান। ভ্যান জিল ১৫ বল খেলে দুই ছয়ের মারে অপরাজিত ২৩ রান তুলে নির্ধারিত ওভার শেষ করলে খুলনার লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬১ রান। খুলনার জায়েদ ৪ ওভার বোলিং করে ২৬ রানে পান তিন উইকেট। এ রিপোর্টি লেখা পর্যন্ত খুলনা চিটাগাংয়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে নেমে ১০ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ৮৩ রান তুলেছে।
এদিকে মাইলফলক স্পর্শের হাতছানি ছিল চিটাগং ভাইকিংসের ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয়ের সামনে। খুলনার বিপক্ষে মাইলফলক স্পর্শ করে রেকর্ড বইয়ে নাম লেখাতে তার প্রয়োজন ছিল ৩৮ রানের। আর সেটা তিনি করতে পেরেছেন। ইনিংসের নবম ওভারেই বিজয় স্পর্শ করেন এক হাজার রানের মাইলফলক। এখন বিপিএল টি-টোয়েন্টিতে তিনি হাজারী ক্লাবের নতুন সদস্য। এই মাইলফলক স্পর্শ করতে মোট ৫৪ ম্যাচ ও ৪৯ ইনিংস সময় নিলেন বিজয়। বিপিএল ক্যারিয়ারে ৫টি অর্ধশতকের ইনিংস রয়েছে ২৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের। বিজয়ের আগে বিপিএলের ইতিহাসে হাজারী ক্লাবে পৌঁছেছেন চার ক্রিকেটার যথাক্রমে মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। চলমান বিপিএলেই এই মাইলফলক স্পর্শ করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
বিপিএলের ইতিহাসে সর্বাধিক রান সংগ্রাহক মুশফিকুর রহিম। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ১২৩৫ রান। দ্বিতীয়স্থানে ১১৭৩ রান নিয়ে রয়েছেন রিয়াদ। ১০৩৩ রান নিয়ে তালিকার তৃতীয়স্থানে অবস্থান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান সাকিবের। তার থেকে তিন রান কম নিয়ে তালিকার চতুর্থস্থানে অবস্থান দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালের। এরপরেই রয়েছেন ১০২৪ রান করা বিজয়।
হাজারি ক্লাবে প্রবেশের দিন আরো একটি অর্জন যুক্ত হয়েছে এই ক্রিকেটারের নামের পাশে। ৪৭ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলার পথে তিনটি ছক্কা হাঁকান বিজয়। এর মাধ্যমে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে পেছনে ফেলে বিপিএলের ইতিহাসে সর্বাধিক ছক্কার তালিকায় নিজের নাম তৃতীয়স্থানে উর্ত্তীণ করেন বিজয়। প্রসঙ্গত বিপিএলে সর্বাধিক ছয় মারার রেকর্ডের শীর্ষে রয়েছেন ক্যারিবিয়ান পোস্টার বয় ক্রিজ গেইল। এরপর তালিকার দ্বিতীয়স্থানে ৪৪ টি ছক্কা নিয়ে রয়েছেন বাংলাদেশের সাব্বির রহমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।