বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, ছাগলনাইয়া থেকে : ফেনীর ছাগলনাইয়ায় মুহুরী নদীর উপর ফুলছড়ি ঘাঁটে গ্রামাবাসীর উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে সেতু নির্মানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেতুটি দৈর্ঘ্য ১৬৫ ফুট এবং প্রস্থ সাড়ে ৪ ফুট। বাঁশ, দড়ি, লোহা ও কাঠের যোগান দেন এলাকাবাসী। আগামী ১ মাসের মধ্যে সেতুটি নির্মান কাজ সমাপ্ত হবে বলে স্থানীরা জানিয়েছেন। এ সেতু নির্মিত হলে স্থানীয় প্রায় ৬০ হাজার মানুষের যাতায়াত সহজ হবে। স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীরা স্বাভাবিকভাবে চলাচল ও স্থানীয় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পন্যগুলো সহজেই বাজার জাত করতে পারবেন। ছাগলনাইয়ার পূর্ব সোনাপুর, হরিপুর, দক্ষিন সতর, উত্তর সতর, মাটিয়াগোধা, গন্ধব্যপুর, পাঠানগড়, ফুলগাজী উপজেলার দক্ষিন শ্রীচন্দ্রপুর গ্রামসহ ৮ গ্রামের ৬০ হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের দূর্ভোগের অবসান হবে। এখন উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে তারা প্রয়োজনের সময় সহজেই জেলা ও উপজেলা সদরে আসা যাওয়া করতে সক্ষম হবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পূর্ব সোনাপুর ফুলছড়ি ঘাঁটে উক্ত সেতু নির্মান কাজের উদ্বোধন করেন ছাগলাইয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল। গতিয়া আজিজুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ব্রিজ বাস্তাবায়ন সাঁকো তৈরী ও রক্ষনাবেক্ষন কমিটির আহবায়ক আবদুল হাই ভূঁঞার সভাপত্বিতে সদস্য সচিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ মনির হোসেনের সঞ্চালনায় এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেণ, পাঠাননগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল হায়দার চৌধুরী জুয়েল, ছাগলনাইয়া বিআরডিবির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মুজিব, বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য আলহাজ্ব আমিনুর হক ফরায়েজী, বিদ্যুৎসাহী সদস্য মশিউর রহমান শিমুল, সদস্য বাচ্চু মিয়া, আবু তাহের, জাফর আহাম্মদ ও প্রবাসী এমরান শাহ রিপন প্রমুখ। এলাকাবাসী জানায়, শতবর্ষী ফুলছড়ি ঘাটে খেয়া নৌকার পরিবর্তে এক দশক আগে এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় বিশালাকৃতির ১৬৫ ফুট দীর্ঘ ও ৮ ফুট প্রস্থ বাঁশের সাঁকো তৈরি হয়েছিল। সম্প্রতি বাঁশের সাঁকোটি বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। চলাচলের একমাত্র সাঁকোটি ভেসে যাওয়ায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কৃষকসহ নদীর দু’পাশের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজে যেতে পারছেনা শিক্ষার্থীরা। সরকারের কাছে ছাগলনাইয়াবাসী বার বার মুহুরী নদীর উপর একটি সেতু নির্মানের দাবী করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কেউই তাতে কর্ণপাত করেননি। এ সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন গতিয়া আজিজুল হক উচ্চ বিদ্যালয়, পূর্ব সোনাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব সোনাপুর নূরানী মাদ্রাসা ও পূর্ব সোনাপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসা, কাচারি বাজার মাদরাসা, চাঁদগাজী মাদরাসা এবং হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, মির্জার বাজার মাদরাসা, নুরুন নেওয়াজ হাইস্কুল, জিএমহাট উচ্চবিদ্যালয়, সলেমা নজির উচ্চবিদ্যালয়, বাংলা বাজার শাহ মাহবুবুল আলম মাদরাসা, নুরুল হক উচ্চবিদ্যালয়সহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের কয়েক’শ শিক্ষার্থী ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হয়ে থাকে। হাট-বাজার, উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র অবলম্বনও এই সাঁকো। ছাগলনাইয়া পৌরসভা, পাঠাননগর, মহামায়া, ফুলগাজী উপজেলার জিএমহাট ইউনিয়নবাসীর মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে সেতুবন্ধ রক্ষা করে সাঁকোটি। গতিয়া আজিজুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ও ব্রিজ বাস্তাবায়ন সাঁকো তৈরী ও রক্ষনাবেক্ষন কমিটির আহবায়ক আবদুল হাই ভূঁঞা, সেতু না থাকায় দূর্ঘটনায় ভয়ে অভিভাবকরা সন্তানদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করাননা। লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়লে বড় বিপদে পড়তে হয়। এলাকাবাসীর সুবিধার্থে চাঁদা তুলে উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল চৌধুরীর সহযোগিতায় নদীর উপর সাঁকো তৈরীর উদ্যোগ নেয়া হয়। ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল জানান, মুহুরী নদীর জন্য পাঠাননগরের গতিয়া ও পৌরসভার নদীর কূলের এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী ঝুলন্ত ব্রিজ করে দেয়ার জন্য কারণ পৌরসভা নদীর কূলের শত শত ছাত্র ছাত্রী এ ব্রিজ না থাকার কারণে পূর্ব সোনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গতিয়া আজিজুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করতে সমস্যা হচ্ছে। এজন্য ছাত্র ছাত্রীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এ ব্রিজের মধ্য স্কুলে এসে পড়া লেখা তারা মানুষের মত মানুষ হবে ও পিতা মাতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে এবং সাধারণ মানুষের জন্য পৌরসভা এবং পাঠাননগরের লোকজনের মধ্যে যাতয়াত করতে না পারার কারণে যে দুরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি এ ঝুলন্ত ব্রিজের কার্যক্রম সমাপ্ত হলে নদীর দু’পাড়ের মানুষের মধ্যে এ সেতুটি সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।