Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রাখাইনে ধর্ষণ-হত্যার জন্য দায়ী বার্মিজ সেনারা

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতিতে সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

 

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ব্যাপক ধর্ষণের ঘটনায় বার্মিজ সেনাবাহিনীকেই দায়ী করেছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্থাটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত তিনমাস ধরে ওই অঞ্চলে জাতিগত নিধনের উদ্দেশে অভিযানের নামে নারী এবং কিশোরীদের ধর্ষণ, সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে মিয়ানমার সেনারা। বিবৃতিতে সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহŸান জানানো হয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে রাখাইনে সেনাবাহিনীর ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিষয়ে নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটির এক রিপোর্টে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাপক ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন যুদ্ধ-সংঘাতে যৌন সহিংসতা বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষ দূত প্রমিলা প্যাটেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারের সেনাদের নির্দেশে, পরিকল্পনায় এবং তাদের সক্রিয় অবস্থানেই সেখানে যৌন সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী সোমবার একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে রাখাইনে সব ধরনের হত্যা, ধর্ষণ এবং নিপীড়নের অভিযোগ অস্বীকার করেছে সেনাবাহিনী। গত ২৫ আগস্ট বেশ কিছু পুলিশ পোস্টে হামলার ঘটনাকে উছিলা করে রাখাইনে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। অভিযানের নামে সেনাবাহিনীর অত্যাচার, নিপীড়ন, ধর্ষণের ঘটনায় সেখান থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছে রোহিঙ্গারা। ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছে। এর আগে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী জাতিগত নিধন চালাচ্ছে বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ। কিন্তু এ ধরনের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার সরকার। পালিয়ে আসা ৫২ জন নারী এবং কিশোরীর সঙ্গে কথা বলেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এদের মধ্যে ২৯ জনই জানিয়েছেন, সেনারা তাদের ধর্ষণ করেছে। এদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সবাইকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাটি। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জরুরি নারী অধিকার গবেষক এবং সংস্থাটি থেকে প্রকাশিত রিপোর্ট প্রস্তুতকারী স্কি হোয়েলার বলেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বার্মিজ সেনাদের জাতিগত নিধনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এবং বিধ্বংসী বৈশিষ্ট্য ছিল ধর্ষণ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বার্মিজ সেনাদের বর্বর আচরণের কারণে অগণিত নারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে। রয়টার্স।

 

 

 



 

Show all comments
  • Zaman Ponir ১৭ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:১৪ পিএম says : 0
    জাতিসংঘের চাপে নয় জাতিসংঘের কোয়ালিশন ফোর্স পাঠিয়ে ওদের ঠান্ডা করতে হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাখাইন

১৮ অক্টোবর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ