শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
আকিব শিকদার অনূদিত
আমার পেছনে হিংস্রতার ছায়ায়
পাবলো নেরুদা
আমার পেছনে হিংস্রতার ছায়ায় তুমি যেন অভ্যস্ত হও,
হাত দুটো ধুয়ে নাও ফের
তোমার বাহুতে আসুক ভোরের নদীর সতেজ স্বচ্ছতা
লবণের কেলাসের মত সফেদ, দ্রাব্য যে তুমি, প্রিয়তমা।
ঈর্ষাকে ক্লান্ত, পরাস্ত করে আমার তাবৎ গান,
হিংসার নাবিকেরা একে একে ঢলে পড়ে নিদারুণ বেদনায়।
আমি যখন উচ্চারণ করি প্রেমের নাম, নীলিমা জুড়ে পারাবত ওড়ে,
প্রতিটি স্তবক আমার, জাগায় অরণ্যের কলি।
আর তুমি উন্মীল হও হৃদয়ে আমার
স্বর্গীয় অরণ্যের মত তোমাকে দেখি,
কেমন করে তুমি শুয়ে থাকো মৃত্তিকায়,
কেমন করে সূর্যের পাপড়ি বদলে দেয় তোমার অবয়ব,
অনুভব করি তোমার শান্ত পদক্ষেপ নীলিমায় নীলিমায়
মাতিল্দে, আমার সূর্য-মুকুট, স্বাগত তোমায়!
ক্রন্ধন
ফেদেরিকো গার্থিয়া লোরকা
আমি শুধু কান্নার আহাজারিই শুনতে পাই।
অট্রালিকার সব জানালা বন্ধ করে দিলাম
কান্নার ধ্বণী শুনতে চাইনি বলে।
কিন্তু ধূসর দেয়ালের ওপার থেকে
শুধু কান্নার আহাজারিই শুনতে পাই।
গুটিকয়েক দেবদূতই গায় গান,
নিস্তব্ধতা ফুঁড়ে ডাকে গুটিকয় কুকুর,
হাতের তালুতে আছে শতসহস্র বেহালা।
কিন্তু...
কান্না যেনো প্রকান্ড দেবদূত এক,
কান্না যেনো প্রকান্ড কুকুর এক,
কান্না যেনো বিকট সুরের বেহালা।
বাতাসের গলা টিপে ধরে চোখের জল।
আমি শুধু কান্নার আহাজারিই শুনতে পাই।
হুঁশিয়ার
মাও সেতুং
এই দুঃসময়ে
কোনো কথা বলতে নেই।
এই দুঃসময়ে
কারো ডাকে সাড়া দিতে নেই।
তাহলেই
তোমার ভাইভ্রাতাদের ভেতর থেকে
তোমাকে ছোঁ মেরে তুলে নিবে সেই কালো হাত
যা মানুষজনকে গুনতে চায়
একটার পর একটা মাথার খুলি সংখ্যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।