টানা তিন জয়ে রীতিমত উড়তে থাকা সিলেট সিক্সার্সকে গতকাল মাটিতে নামালো খুলনা টাইটান্স। নাসির হোসেনের দলকে ৬ উইকেটে হারিয়ে এবারের বিপিএলের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দল।
লক্ষ্যটা ছিল মাত্র ১৩৬ রানের। কিন্তু এই মামুলি লক্ষ্যই খুলনার সামনে পাহাড়সম করে তোলেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। নিজের দ্বিতীয় ও ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তর ও চ্যাডউইক ওয়ালটনকেও ফেরান সরাসরি বোল্ড করে। আরেক মারকুটে রাইডু রুশোকেও যখন এই বাঁ-হাতি স্পিনার ফেরান খুলনার সংগ্রহ তখন ৪৩। কিন্তু লক্ষ্য ছোট হওয়ায় লক্ষ্যে পৌঁছাতে তেমন বেগ পেতে হয়নি খুলনাকে। অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহকে (২৩ বলে ২৭) নিয়ে ৫০ ও কার্লোস ব্রেথওয়েকটে (১৬ বলে ২৩) নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৪৮ রানের জুটিতে জয় নিশ্চিত করেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মিচেল ক্লিঙ্গার। ৩৬ বলে অপরাজিত ৪৭ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস উপহার দেন ৩৭ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান।
দুটি করে উইকেট ও ক্যাচের পাশাপাশি ব্যাটেও অবদান রাখায় ম্যাচসেরা হন মাহমুদুল্লাহ।
এর আগে রানের জন্য পিচে রীতিমত লড়াই করতে হয়েছে সিলেটের ব্যাটসম্যানদের। আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক উপুল থারাঙ্গার ২৪ বলে ২৬ এবং আরেক শ্রীলঙ্কান মারকুটে ব্যাটসম্যান দানুশকা গুনাথিলাকার ২৫ বলে ২৬ রানের ইনিংস দুটি কিন্তু সেকথায় বলে। গুরুত্বপূর্ণ উইকেট দুটি নেন খুলনা অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
২৩ বলে রস হুইটলির ২৭ রানেও চার ও ছয়ের মার মাত্র একটি করে। তবে এর মাঝেও ৩৫ বলে ৪৭ রানের দারুণ একটি ইংিস খেলে দলকে লড়াই করার পুঁজি এনে দেন অধিনায়ক নাসির। ধৈর্যশীল ইনিংসে ছক্কা নেই একটিও, বাউন্ডারি ৫টি। এনিও অবশ্য ফ্লেচার-থারাঙ্গা ওপেনিং জুটি প্রথম ২ ওভারেই ১৯ রান তুলে আগের তিন ইনিংসের আভাস দিচ্ছিল। কিন্তু সেই ছন্দে ব্যাঘাত ঘটান শফিউল ইসলাম। ক্যাবারীয়ান ওপেনারকে মিড অনে মাহমুদুল্লাহর ক্যাচে পরিনত করেন শফিউল।
ব্যর্থতার ধারা অব্যহত রেখে এদিন ৬ বলে কোন রান না করেই সাজঘরে ফেরেন সাব্বির রহমান। শুরুর এই ধাক্কা আর বন্ধুর পিচে সুবিধা করতে পারেনি সিলেট। ১২ রানে ২ উইকেট নেন মাহমুদুল্লাহ, বার্বোডোজের মিডিয়াম পেসার জোফরা আর্চারও ২৫ রানে নেন ২ উইকেট।
চার ম্যাচে সিলেটের এটি প্রথম হার। আগের তিন ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটস, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রাজশাহী কিংসকে হারায় নাসির হোসেনের দল। অপরদিকে প্রথম ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে হারের পর এবার জয়ের দেখা পেল খুলনা।