মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সংখ্যালঘুরোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর নিপীড়নের দায়ে সেনাবাহিনীর উপর অবরোধ আরোপে মার্কিন সিনেটরদের এক অবরোধ প্রস্তাবে মিয়ানমার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দেশটি বলছে অবরোধে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে এবং মিয়ানমারের অপরিণত বেসামরিক সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশটির নেতা অং সান সু চির একজন মুখপাত্র একথা বলেন। খবরে বলা হয়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওপর প্রস্তাবিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে জেনারেলদের সঙ্গে নির্বাচিত বেসামরিক সরকারের ক্ষমতার দ্বিপাক্ষিক প্রক্রিয়া তথা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তেমনটা ঘটলে দেশটির গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে। খারাপ পরিণতির দিকে যেতে পারে দেশটির বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য। গত শুক্রবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চির দফতর থেকে মুখপাত্র জ্য হতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এসব আশঙ্কার কথা বলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দীর্ঘ ও প্রথম এশিয়া সফর শুরুর ঠিক আগের দিন বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে আইনপ্রণেতারা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কিছু নিষেধাজ্ঞা ও ভ্রমণ-সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরোপের প্রস্তাবসংবলিত একটি বিল উত্থাপন করেন। রোহিঙ্গা সংকটে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপের একটি হিসেবে দেখা হচ্ছে বিলটিকে। মার্কিন সিনেটরদের একাংশের উত্থাপিত এই বিল পাস হলে গত বছর মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় উত্তরণের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে প্রত্যাহারকৃত কিছু নিষেধাজ্ঞা আবার ফিরে আসতে পারে। এ ছাড়া বিল পাস হলে মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে দেওয়া মার্কিন সহায়তাও বন্ধ হয়ে যাবে। ওয়াশিংটনের এ পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় অং সান সু চির মুখপাত্র জ্য হতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, মিয়ানমারের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা দরকার। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে তা এ দেশের জনগণের ভ্রমণ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের বিনিয়োগে সরাসরি প্রভাব ফেলবে। এ ছাড়া আরও অনেক খারাপ পরিণতি বয়ে আনতে পারে সিদ্ধান্তটি। মুখপাত্র বলেন, এ দেশের পুনর্গঠন কাজ সু চি সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। রাখাইন নিয়ে যে পদক্ষেপই মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সরকার গ্রহণ করুক তাতে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করতে হবে। ২০০৮ সালের সংবিধানের অধীন সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমঝোতা করেই সব করা হচ্ছে। এ অবস্থায় নিষেধাজ্ঞা ও চাপ সরকারের কাজে ব্যাঘাত ঘটাবে। মুখপাত্র আরও বলেন, মিয়ানমারে ১৫ নভেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের আসার কথা। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।