পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের জাতিগত পরিচয় দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউনাইটেড ন্যাশন হাইকমিশনার ফর রিফিউজিস (ইউএনএইচসিআর)। তারা জানায়, বিশ্বের ৩০ লাখেরও বেশি মানুষের কোনও রাষ্ট্রীয় পরিচয় নেই। তারা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত। গতকাল শুক্রবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে একথা জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, দিস ইজ আওয়ার হোম- স্টেটলেস মাইনোরিটিস এন্ড দেয়ার সার্চ ফর সিটিজেনশিপ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এই আহ্বান জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর। তারা আহ্বান জান্য়া, সরকার যেন ২০২৪ সালের মধ্যে এই বৈষম্য দূর করে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক প্রধান ফিলিপো গ্রান্ডি বলেছেন, রাখাইনে সামরিক অভিযানের মুখে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে নাগরিকত্ব দিয়েই মিয়ানমারকে ফিরিয়ে নিতে হবে। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ফিলিপো গ্রান্ডি বলেন, এসব মানুষ রাষ্ট্রহীন থাকতে পারে না। কারণ এই রাষ্ট্রহীনতার কারণে তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন, অতীতেও হয়েছেন। শরণার্থী বিষয়ক প্রধান বলেন, যেসব মানুষ ফিরে যাবে তাদের জন্য সবচেয়ে জটিল বিষয় নাগরিকত্ব দিতে হবে। কোনও ফিরে যাওয়াই স্থায়ী হবে না, যদি নাগরিকত্ব দেয়া না হয়। তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিয়ে রাখাইনের উন্নয়নে সরকারকে একমত হতে হবে। এছাড়া সহিংসতায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বন্ধ থাকা মানুষ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। গ্রান্ডি জানান, মিয়ানমার সরকার জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার সঙ্গে বৈঠকের আহŸান জানিয়েছেন। এর আগে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা পৃথক এক প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের জাতিগত পরিচয় দেওয়ার আহŸান জানিয়েছে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে তিনি মিয়ানমার সফর করবেন। আগস্টে রোহিঙ্গা সংকট শুরু হওয়ার পর টিলারসনই সবচেয়ে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা হিসেবে দেশটি সফর করবেন। গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে সহিংসতার পর রোহিঙ্গাদের ওপর নিধনযজ্ঞ চালানো শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা ও ধর্ষণ থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। জাতিসংঘ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনযজ্ঞের অভিযোগ এনেছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার আন্তর্জাতিক সুরক্ষা পরিচালক ক্যারোল ব্যাচেলর বলেন, আপনি এই পৃথিবীতে নাগরিকত্ব ছাড়া বসবাস করা মানে হচ্ছে আপনার কোনও পরিচয় নেই। কোনও নথি নেই। কোন অধিকার নেই। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর উচিত তাদের ভূখÐে জন্ম নেওয়াদের নাগরিকত্ব দেয়া। নাহলে তারা রাষ্ট্রহীন থাকবে এবং এভাবেই থেকে যাবে। অন্যান্য নাগরিকত্বহীন গোষ্ঠীদের মধ্যে সিরিয়ার কুর্দ, মাদাগাসকারের কারানা, সাবেক যুগোসøাভিয়া প্রজাতন্ত্রের রোমা ও কেনিয়ার পেমবাকে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। এএফপি, রয়টার্স, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।