পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
জম্মু-কাশ্মীরে সঙ্কট সমাধানে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা দীনেশ্বর শর্মার নিয়োগকে সময় ক্ষেপণের কৌশল বলে মন্তব্য করেছে হুররিয়াত কনফারেন্স। হুররিয়াতের যৌথ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সামরিক দমনপীড়ন ব্যর্থ হওয়ায় দীনেশ্বরকে নিয়োগ দিয়ে নয়া কৌশল নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার সঙ্গে সংলাপে বসে কোনো লাভ হবে না। সাইয়্যেদ আলী শাহ গিলানি, মীরওয়াইজ ওমর ফারুক এবং মুহাম্মদ ইয়াসিন মালিক এ নিয়ে আলোচনায় বসার পরে এক বিবৃতিতে বলা হয়, কাশ্মীর বিতর্কিত এলাকা তা আগে ভারত সরকারকে স্বীকার করতে হবে। তবেই আলোচনায় ফল হতে পারে। কাশ্মীরের যৌথ নেতৃত্বের দাবি, রাজ্য সরকারের চূড়ান্ত ব্যর্থতা ও সামরিক দমনপীড়নে আন্তর্জাতিক চাপ ও আঞ্চলিক পরিস্থিতির বাধ্যবাধকতার কারণেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি নিয়োগ করা হয়েছে, যা আসলে সময় ক্ষেপণের কৌশলমাত্র। হুররিয়াতের মতে, ভারতীয় সংবিধানেই কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের কথা আছে। সেই স্বায়ত্তশাসনের কথা বলার জন্য ভারতের অন্য একটি প্রধান দলের নেতাকেই বিজেপি টার্গেট করেছে। সুতরাং কাশ্মীর নিয়ে তাদের মনোভাব স্পষ্ট হয়েছে। কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি দীনেশ্বর শর্মা সিরিয়ার সঙ্গে কাশ্মীরের তুলনা টানায় তাতেও ক্ষুব্ধ হয়েছেন হুররিয়াত নেতারা। তারা বলছেন, সিরিয়ার সঙ্গে কাশ্মীরের তুলনা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। কাশ্মীরের মানুষের সাত দশকের সংগ্রাম সম্পূর্ণ বৈধ। ইতিহাসের প্রেক্ষিতে তার তাৎপর্য বুঝতে হবে। তাদের মতে, কাশ্মীর সমস্যার পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক ও মানবিক বিষয়। একটানা ৭০ বছর ধরে ওই সমস্যা জিইয়ে রয়েছে। কিন্তু সিরিয়ার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। সিরিয়ার সঙ্গে কাশ্মীরের কোনো তুলনাই চলে না। ইনডিয়ান এক্সপ্রেস, জিনিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।