বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মো ঃ খলিল সিকদার, রূপগঞ্জ (না’গঞ্জ) থেকে : এবার এক মাছ বিক্রেতা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসি আলম নীলার রোষানলের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাতের আঁধারে ওই মাছ বিক্রেতাকে পুলিশ দিয়ে তুলে এনে মিথ্যা মামলা ঠুকে দিয়েছেন ঐ ভাইস চেয়ারম্যান। গতকাল সোমবার দুপুরে মাছ বিক্রেতার বিরুদ্ধে পুলিশের উপড় হামলায় ঘটনায় আসামী দেখিয়ে তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। গ্রেফতারকৃত মাছ বিক্রেতার চাচা আশরাফুল আলমের উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর দেওয়া লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত এক বছর আগে রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বাড়িয়াছনি এলাকায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসি আলম নীলার ক্যাডার জামাল খন্দকার মদ পান করে বাজারের দোকানদারদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। এক পর্যায়ে কয়েকটি দোকানপাটে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় আশরাফুল আলম ও তার ভাতিজা সফিকুল বেপারি প্রতিবাদ করে। পরের দিন জামাল খন্দকার বাদী হয়ে ভাইস চেয়ারম্যানের ক্ষমতার প্রভাবে আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে। সে সময় সফিকুল প্রাণে বেঁচে গেলেও শেষ দফায় আর বাঁচতে পারেনি।
চাচা আশরাফুল ইসলাম জানান, রবিবার রাতের আঁধারে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাসুদ রানা শামীম সফিকুল বেপারিকে তুলে আনে। গত ১১ অক্টোবর পুলিশের উপড় হামলায় দায়ের করা মামলায় তাকে আসামী করে সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করে। উল্লেখ, ঐ মামলাটি বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছিলো। স্থানীয় এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সফিকুল বেপারি দীর্ঘ প্রায় ৬ বছর ধরে এলাকায় এলাকায় ফেরি করে মাছ বিক্রি করে আসছে। মাছ বিক্রির টাকায় তার পাঁচ জনের সংসার চলে। তার বিরুদ্ধে কোন থানায় মামলাতো দূরের কথা সাধারণ ডায়েরীও নেই। এ ব্যপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়, জেলা পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন স্থানে স্বারকলিপি পেশ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপ-পরিদর্শক মাসুদ রানা শামীম এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ওসি স্যারের নির্দেশক্রমেই তাকে তুলে আনা হয়েছে। এর বেশি কিছু বলতে পারবো না। বিনা মামলায় গ্রেফতার কেন-এ প্রশ্নের জবাবে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইসমাঈল হোসেন এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজি হননি।
এ প্রসঙ্গে জানতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসি আলম নীলার সঙ্গে তার সেলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। গ্রেপ্তারের বিষয়ে আমার জানা নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।