Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এ ব্যর্থতার জবাব নেই বাশারের কাছেও- ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি খুঁজছেন সাকিব

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ফরম্যাটের প্রতিটি ম্যাচই বাজেভাবে হেরেছে বাংলাদেশ। অথচ গত কয়েক বছর ধরেই দেশে ও বিদেশে ভালো ক্রিকেট খেলেছে তারা। নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও ভারতে গিয়ে বেশকিছু ম্যাচ হারলেও সেখানে প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলেছে। কিন্তু সদ্য শেষ হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে সেই বাংলাদেশকে বিন্দুমাত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে কারোরই খুব একটা প্রত্যাশা ছিল না। তবে সফরজুড়ে এমন অসহায় আত্মসমর্পণও আশা করেনি কেউ। এমন এক সফরের পর দুশ্চিন্তার কালো মেঘ উড়তে দেখাই স্বাভাবিক। সেটা টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিবও মানেন। তাই বলে দলের ওপর আশা হারাচ্ছেন না অধিনায়ক। একটি জয়েই পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে বলে তাঁর ধারণা।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারলেও বাংলাদেশে ভালোভাবেই ম্যাচে ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই আবারও সেই পুরোনো বাংলাদেশ। ব্যাটিং ও বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় সারির কোনো দল বলে মনে হয়েছে। কিন্তু এতেই বাংলাদেশের ক্রিকেট পিছিয়ে গেছে, এমনটা ভাবতে নারাজ সাকিব আল হাসান। বরং একটি ম্যাচ জিতলেই যে আবারও প্রশংসা করে ভাসিয়ে দেওয়া হবে, সেটা মনে করিয়ে দিয়েছেন অধিনায়ক, ‘সামনে যদি শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভালো করি, আপনারাই বলবেন কত ভালো দল! এ জিনিসগুলো খুব কঠিন। আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়া উচিত ছিল।’
দলের সামর্থ্য নিয়ে কোনো সন্দেহ না থাকলেও পারফরম্যান্সে হতাশ অধিনায়ক। প্রত্যাশার তুলনায় যে সহজতর উইকেটে খেলার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ, ‘যে উইকেটে খেললাম, এখানে ভালো কিছুর সামর্থ্য আমাদের ছিল। গত সফরের মতো উইকেট কিন্তু ছিল না। উইকেট খুবই ব্যাটিংবান্ধব ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথাগত উইকেট দেখা যায়নি। নিউজিল্যান্ডেও একই রকম। ওখানে তবু কিছু প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছিলাম, যেটা এখানে করতে পারিনি।’
প্রতিপক্ষের মাঠ বলেই বাংলাদেশের এমন পারফরম্যান্সে খুব একটা হতাশ নন সাকিব। বর্তমানে অধিকাংশ দলই দেশের মাটিতে ভালো খেললেও সফরে গিয়ে কুপোকাত হচ্ছে। তবু এতটা বাজে ফল হবে ভাবেননি সাকিব, ‘বিদেশে খেলা খুবই কঠিন। অন্য দলগুলো দেখেন। গত তিন-চার বছরের রেকর্ড দেখেন, খুব একটা ভালো খেলছে না কেউ। তবে হয়তো প্রতিদ্ব›িদ্বতা হয়, যেটা আমরা করতে পারিনি। ওটাই হতাশার দিক। গত দুই-তিন বছরে দেশের মাঠে আমরা যতটা ভালো খেলেছি, তাতে আশা ছিল অন্তত ভালো কিছু করতে পারব। ফাইটিং স্পিরিটের অভাব ছিল।’
বাংলাদেশের অন্য সবার মতো এই ব্যর্থতার উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না হাবিবুল বাশারও। সফর নিয়ে গতকাল মিরপুর একাডেমিতে এক আলাপচারিতায় সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান নির্বাচক বলেছেন, ‘এই প্রশ্নটা আমার নিজের কাছেও। আমি নিজেও খুঁজছি এতটা খারাপ কেন করলো বাংলাদেশ? আমি নিশ্চিত আপনারা সবাই মানবেন, এটা বাংলাদেশের ক্রিকেট না। আমাদের কিন্তু এর চেয়েও ভালো খেলার সামর্থ্য আছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এর চেয়েও কঠিন টুর্নামেন্ট। ওখানে কন্ডিশন অনেক আলাদা ছিল। তাপরও সেখানে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। ওই হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে গেছে। তারপরও আমরা ভালো করতে পারিনি। কারণটা আসলে আমার কাছে পরিষ্কার নয়।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সাকিব

২৯ অক্টোবর, ২০২২
১৩ অক্টোবর, ২০২২
৯ অক্টোবর, ২০২২
৮ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ