পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তৃণমূলকে ঐক্যবদ্ধ করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেছেন, দলে নেতৃত্বের প্রতিযোগীতা থাকতে পারে। কিন্তু কোন অন্তঃকোন্দল থাকা চলবে না। দলের স্বার্থে, নৌকার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সামনে নির্বাচনে মাদার অব হিউম্যানিটি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আনতে হবে। এ জন্য মানুষের কাছে যেতে হবে। ভোট বাড়াতে হবে। এ দায়িত্ব তৃণমূল আওয়ামী লীগকেই নিতে হবে। তৃণলমূল ঐক্যবদ্ধ থাকলে আওয়ামী লীগ হ্যাট্রিক জয় করবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, আগামী নির্বাচনে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে বিএনপি তৎপর হয়ে উঠেছে। তাই দলটির শীর্ষ নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগ নাকি ২৫টি আসন পাবে না। কিন্তু বিএনপির বন্ধুদের বলতে চাই, বাংলার গণমানুষের দল আওয়ামী লীগকে নিয়ে আপনারা যে ভবিষৎ বাণী করেন, তার উল্টো হয়। আপনাদের দলের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তো দুরের কথা বিরোধীদলীয় নেত্রীও হতে পারবে না। আর ৩০টির বেশি আসন পাবে না’। এই বাণী উল্টো হয়েছিল। ২০০৮ সালে বিএনপি ২৯টি আসন পেয়েছিল। সে কারণে বলছি, আমরা কতটি আসন পাবো না, পাব, সেটা নির্ধারণ করবে দেশের জনগণ। আপনারা নির্বাচনে আসুন, ষড়যন্ত্র করবেন না।
তৃণমূল আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করার নির্দেশ দিয়ে চট্রগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ঐক্যবদ্ধ হয়, তখন যেকোন পরিস্থিতি মোকাবিলা করেই বিজয়ী হয়। ২০০৮ সালে এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন তার প্রমাণ। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন ঘিরে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র ছিল। তৃণমূল আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ ছিলো বলেই আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে পেরেছি। এবারও অতীতের মতো ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দলকে টানা তৃতীয় বারের মতো ক্ষমতায় আনতে হবে। তৃণমূল ঐক্যবদ্ধ থাকলে হ্যাট্রিক জয় করবো।
শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজকে উন্নয়নের মহাসড়কে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তার মেধা, সততা, দক্ষতা ও পরিশ্রম দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি এখন বিশ্বনেত্রী। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকা মানেই গণতন্ত্র, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বজায় রাখা, বিশ্বের বুকে উন্নত বাংলাদেশ। কাজেই আগামী নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে। দেশকে এেিগয় নিয়ে যেতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা দেশকে স্বাধীন করেছি। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি যেন ক্ষমতায় না আসতে পারে সে জন্য কাজ করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ল²ীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট সফিক মাহমুদ পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আ ক ম রুহুল আমিন, আওয়ামী লীগ নেতা সহিদুল্লা, এম এ মমিন পাটোওয়ারী, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মেয়র আবুল খায়ের পাটোওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহম্মদ প্রমুখ।
যুবলীগের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ৫ দিনব্যাপী কর্মসূচি
এদিকে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন আওয়ামী যুবলীগের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ১১ নভেম্বর। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে সামনে রেখে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি এক জরুরি সভা করে। বঙ্গবন্ধু এভিনিউ যুবলীগ কার্যালয়ে এ জরুরি সভায় সভাপতিত্ব করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ১১ নভেম্বর ভোর সাড়ে ৬ টায় সংগঠনের সকল কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৮ টায় ধানমন্ডি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন। সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মনির কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও ফাতেহা পাঠ। ওইদিন সকাল ১১টায় সকল বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা সদরে আনন্দ র্যালি। ১২ থেকে ১৫ নভেম্বর সকল বিভাগীয় শহরে পূনর্মিলনী অনুষ্ঠান।
কেন্দ্রীয় পূনর্মিলনী অনুষ্ঠান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ কর্মসূচি সম্মতি সাপেক্ষে এবং নির্ধারিত তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।
পোস্টার-ম্যাগাজিন প্রকাশিত হবে। যুবজাগরণ কেন্দ্র প্রকাশিত পুস্তক প্রদর্শনীর আয়োজন করবে। সকল শহরে প্রচার কার্যক্রম রাজধানীসহ নেত্রীর বাণী প্রচার।
সভায় যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ষড়যন্ত্র্রের রাজনীতি করতে করতে বিএনপি নিজেই এখন ষড়যন্ত্রের চোরাবালিতে আটকে গেছে। দিক-নির্দেশনাহীন আবস্থায় দলটি ক্রমশ একটি ফ্যাসিস্টি জঙ্গী পরগাছা সংগঠনে পরিনত হয়েছে। বিএনপির জন্ম ক্যান্টনমেন্টে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। দলটি কখনোই জনগণের রায় নিয়ে ক্ষমতায় আসেনি, ক্ষমতায় এসেছে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। এখনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমেই বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করতে চায়। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমেই বাংলাদেশের উন্নয়নের গতি ধারা ধ্বংস করতে চায়। ২০০৮ সালে বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে। ২০১৪ সালে গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র করছে। এখনো ষড়যন্ত্র করছে। কখনো জুডিশিয়াল ক্যু‘য়ের ষড়যন্ত্র, কখনো লন্ডন ষড়যন্ত্র, কখনো আইএসআই‘র ষড়যন্ত্র। ফলে দলটি পরস্পরের মিথ্যাচার আর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কোর্টে বিএনপির দুপক্ষের আইনজীবীদেও হাতাহাতি তারই প্রমাণ। ষড়যন্ত্র ছাড়া বিএনপির কোনো রাজনীতি নেই। ষড়যন্ত্র সফল না হওয়ায় দলটি বিলুপ্ত প্রায়।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন যুবলীগ নেতা শহীদ সেরনিয়াবাত, মো. ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরন, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, মো. আতাউর রহমান, ইঞ্জি. নিখিল গুহ, অধ্যাপক এবিএম আমজাদ হোসেন, শেখ আতিয়ার রহমান দিপু, মহিউদ্দিন আহম্মেদ মহি, মঞ্জুর আলম শাহীন, সুব্রত পাল, মুহা. বদিউল আলম, আসাদুল হক আসাদ, এমরান হোসেন খান, কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, শুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, ইকবাল মাহমুদ বাবুল, শ্যামল কুমার রায়, জাকিয়া সুলতানা শেফালী, রওশন জামির রানা, ডা. মাহাফুজার রহমান উজ্জল, মহানগর উত্তর সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল, দক্ষিণ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনউদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।