Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ত্রাণকর্মীরা রাখাইন পরিদর্শনে যেতে পারেনি

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মিয়ানমারের উগ্রপন্থী বৌদ্ধদের বিক্ষোভের মুখে রাখাইনের প্রাণকেন্দ্রে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা মুসলিমদের আশ্রয় শিবির পরিদর্শনে যেতে পারেনি আন্তর্জাতিক একটি দাতা সংস্থার ত্রাণকর্মীরা। প্রায় দুই মাস আগে রাখাইনে শুরু হওয়া সহিংসতায় লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম গৃহহীন হয়ে পড়েছে। খবরে বলা হয়, বৌদ্ধদের প্রতিবাদের মুখে রাখাইনের মাইবনে খাদ্য সহায়তা স্থগিত করেছে আরআই। মাইবন শহরের প্রশাসক তিন শোয়ে বলেন, আরআইর ত্রাণকর্মীরা মাইবনের আশ্রয় শিবিরে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। তবে স্থানীয়রা তাদেরকে সেখানে যেতে বাধা দিয়েছে। বৌদ্ধদের বাধার মুখে গত বুধবার ত্রাণ কর্মীরা অফিসে ফিরে এসেছেন। রিলিফ ইন্টারন্যাশনালের মিয়ানমার পরিচালক সামির মালেহ এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, নৃশংসতার হাত থেকে জীবন বাঁচানোর জন্য পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা অসংখ্য শিশু, কিশোর-কিশোরী, মেয়ে শিশুরা ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ১০ বছরের নিচে বয়স এমন মেয়ে শিশুর ওপরও নৃশংসতা চালিয়েছে মিয়ানমারের নরপিশাচরা। দাতব্য সংস্থাগুলোর রিপোর্টে এমন সব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এ রকমভাবে নির্যাতনের শিকার অনেক মেয়েকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে শরণার্থী শিবিরে। জাতিসংঘ বলছে, গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে নিরাপত্তাবাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর ভয়াবহ সামরিক অভিযান শুরু করে মিয়ানমার। রাষ্ট্রহীন সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়েছে। রোহিঙ্গারা বলছেন, রাখাইনে সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় উগ্র বৌদ্ধরা গণহত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ করছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এই অভিযানকে জাতিগত নিধন হিসাবে চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘ। তবে এসব অভিযোগের অধিকাংশই অস্বীকার করে মিয়ানমার বলছে, পালিয়ে আসা শরণার্থীরা যদি প্রমাণ দেখাতে পারেন যে, তারা সেখানকার বাসিন্দা তাহলে তাদের ফেরত নেয়া হবে। আঞ্চলিক একজন প্রশাসক ও একজন মানবাধিকার কর্মী বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থা রিলিফ ইন্টারন্যাশনালে (আরআই) কাজ করেন এমন প্রায় ১০ জনের একটি দল রাখাইন থেকে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। রাখাইনের মাইবন শহরের কাছে জাতিগত রাখাইন বৌদ্ধদের প্রতিবাদের মুখে তাদের ফিরে যেতে হয়েছে। চলতি মাসে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উগ্র বৌদ্ধরা রাখাইনে বৌদ্ধ ও মুসলিমদের একঘরে করে রাখার প্রচেষ্টা জোরদার করেছে। জঙ্গিবাদের ভয় দেখিয়ে বৌদ্ধরা রাখাইনে মুসলিমদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য না করারও নির্দেশ দিচ্ছে। দ্য টাইমস, রয়টার্স, গার্ডিয়ান।



 

Show all comments
  • Murtuza Chowdhury ২৭ অক্টোবর, ২০১৭, ১:৫৪ পিএম says : 0
    রাখাইন এখন পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন একটি এলাকা সেখানে বর্বর মগ দস্যুরা নির্মম নির্যাতন, গনহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালাচ্ছে রোহিঙ্গাদের উপর। রোহিঙ্গারা সেখানে অবরুদ্ধ হয়ে আছে, তাদের ভাতে ও পানিতে মারতে চায় বর্বর মগরা। তাই তারা ঐ এলাকায় কোন ত্রান কর্মী ও ত্রান সামগ্রী ঢুকতে দিচ্ছেনা।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ