নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
পাকিস্তান বোলারদের জুজু শেষ ওয়ানডেতেও আবিস্কার করতে পারল না শ্রীলঙ্কা। এবার তাদের পড়তে হয়েছে উসমান খানের পেস ধন্দে। লঙ্কানরা ১০৩ রানে গুটিয়ে ম্যাচ হেরেছে ৯ উইকেটে। বাঁ-হাতি পেসার উসমান একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট।
উসমানের ২১ বলের এক স্পেলেই মুলত ম্যাচ শেষ হয়ে যায়। স্কোরবোর্ডে ৮ রান যোগ হতেই নেই ৪ উইকেট! ২০ রানে ৫টি। সব কটিই উসমানের শিকার। ৩.৩ ওভারের স্পেলে ১২ রানে ৫ উইকেট। ২০০১ সালের পর এমন বিধ্বংসী বোলিং এর আগে দু’বার দেখেছে ওয়ানডে ক্রিকেটÑ ২০০৩ বিশ্বকাপে ১৬ বলের ব্যবধানে বাংলাদেশের ৫ উইকেট তুলে নেন শ্রীলঙ্কান পেসার চা¤িœ্দা ভাস, ২০১৩ সালে ২০ বলের ব্যবধানে কানাডার ৫ ব্যাটসম্যানকে ফেরান নেদারল্যান্ডসের ভ্যান ডার গুজতেন। ক্যারিয়ারের তৃতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচে উসমানের বোলিং ফিগার ৭-০-৩৪-৫।
উসমান তোপের পর প্রসন্ন-থিরিমান্নের ২৯ রানের জুটিতে ওয়ানডেতে সর্বনি¤œ রানের ঝুঁকি এড়ায় শ্রীলঙ্কা। এরপর দৃশ্যপটে আসেন ১৪ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হওয়া হাসান আলী ও ১০ উইকেট পাওয়া শাদব খান। দুজনেই নেন ২টি করে উইকেট। লঙ্কানদের লড়াই শেষ হয় ২৬.২ ওভারে।
জবাবে ইমাম-উল-হক ও ফখর জামানের ৮৪ রানের ওপেনিং জুটি। অর্ধশতক থেকে ২ রান দূরত্বে আউট হন ফখর। ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন এই সিরিজেই অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়া ইমাম-উল-হক। ইনিংস ব্রেকের আগেই শেষ হয় ম্যাচ।
দলে নতুনদের এমন কীর্তিমাখা আবির্ভাব কার না ভালো লাগে। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সফলতা বয়ে আনার পর এবার এমন পারফর্মান্স। উচ্ছ¡াসিত পাক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ বলেন, ‘এটা খুবই আনন্দের যখন আপনি নতুন কাউকে দলে সুযোগ দেবেন এবং তারা ভালো পারফর্ম করবে। প্রথম ৫ ওভারেই উসমান এদিন ম্যাচ শেষ করে দিয়েছে। আমরা দিনে দিনে আরো শক্তিশালী হচ্ছি।’
পাক দলে যখন অভাবনীয় প্রাপ্তিযোগের সুখ, প্রতিপক্ষ শিবিরে তখন একের পর এক ব্যর্থতার হতাশা। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৫-০ ব্যবধানে হেরে বছর শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানের কাছে একই ব্যবধানে হারার ঠিক আগে নিজেদের মাটিতে ভারতের কাছে একই লজ্জায় পড়েছিল উপুল থারাঙ্গার দল। দলের এমন দশা মেনে নিতে পারছেন না থারাঙ্গা, ‘আমরা আমাদের সামার্থ অনুযায়ী খেলতে পারছি না। চার ম্যাচ আমরা ২০০ স্কোরও করতে পারলাম না। চাপ সামলাতে পারিনি।’ উসমানের স্পেলের কোন উত্তর তার কাছে নেই বলে জানান থারাঙ্গা।
আসছে ডিসেম্বরে ভারত সফরে তাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে সেটা সময়ই বলে দেবে। তার আগে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া টি-২০ সিরিজ নিয়ে ভাবতে হবে থিসারা পেরেরাদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা : ২৬.২ ওভারে ১০৩ (থিরিমান্নে ১৯, থিসারা ২৫; উসমান ৫/৩৪, হাসান ২/১৯, শাদাব ২/২৪)।
পাকিস্তান : ২০.২ ওভারে ১০৫/১ (ইমাম ৪৫*, ফখর ৪৮, আশরাফ ৫*; ভ্যান্ডারসে ১/৩০)।
ফল : পাকিস্তান ৯ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ : ৫ ম্যাচ সিরিজে পাকিস্তান ৫-০তে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : উসমান খান।
সিরিজ সেরা : হাসান আলী (পাকিস্তান)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।