পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীতে মোহাম্ম্দপুর এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাজী শাহাজাদা (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গত শনিবার দুপুরে মোহাম্মদপুরের তুরাগ হাউজিং রোডে করিমের রিকসার গ্যারেজ সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়ের করা হলেও গতকাল রাত পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশ জানায়, স্থানীয় ও স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, গত শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চা খেতে ওই এলাকার আলামিনের দোকানে যান শাহাজাদা। এ সময় হঠাৎ প্রচন্ড বাতাসে একটি ছাতা উড়ে রাস্তায় এসে পড়লে, শাহাজাদা দৌড়ে গিয়ে সেটি নিয়ে আসে। পরক্ষণেই ছাতার মালিক এসে ছাতাটি চাইলে আল্লাহ ছাতা দিয়েছে, আপনাকে দিবে কেন? বলেই সৌজন্যতার সঙ্গেই ছাতাটি তাকে দিয়ে দেন শাহাজাদা। এদিকে, আল্লাহ ছাতা দিয়েছে শাহাজাদার বলা এই কথা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক শুরু করেন চা দোকানি আলামিন। একপর্যায়ে চা দোকানি আলামিনসহ তার দুই ভাগিনা রুবেল ও আলমগীর মিলে শাহাজাদাকে কিল-ঘুষি দেয়। তাদের মারপিটে গুরুতর জখম হন শাহাজাদা। পরে স্থ’ানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় শাহজাদাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য শনিবার রাতে মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠায়। নিহত কাজী শাহাজাদা (৩৫) বরিশালের আগৈলঝারা উপজেলার বেলুহার গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি তার পরিবার নিয়ে মোহাম্মদপুরের তুরাগ হাউজিং এর ১ নম্বর রোডের ঝরনা গলির মোশারফের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। মোহাম্মদপুর থানার এসআই সজীব কোচ নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, মৃত শাহাজাদা’র ডান কানের নিচে আঘাতের কালো ফোলা দাগ দেখা যায়। মাথার পেছনে বাম দিকে রক্তাক্ত আঘাতের গুরুতর জখম রয়েছে। মাথায় গুরুতর রক্তাক্ত জখমের কারণে শাহাজাদা’র মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে। এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর বলেন, হাতাহাতির এক পর্যায়ে শাহাজাদা মাথায় আঘাত পান, স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়, সেখানে তার মৃত্যু হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই দেবাশ্বীস জানান, আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।