বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : নগীরতে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন চট্টগ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মোঃ ফারুক হোসেন ওরফে বাইট্টা ফারুক ওরফে বস ফারুক ওরফে বিচ্চু ফারুক (৪২)। গত বৃহস্পতিবার রাত ২টায় নগরীর আইস ফ্যাক্টরি রোডে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় ২ লাখ এক হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও দেশি-বিদেশী ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র। নিহত ফারুকের বিরুদ্ধে ১৫ লাখ ইয়াবা উদ্ধারের একটি মামলাসহ ১৮টি মামলা রয়েছে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তারা। তারা বলছেন সম্প্রতি দেশে যে হলুদ রঙের ইয়াবা ট্যাবলেট ধরা পড়ছে সে তার মূলহোতা। ফারুক চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ধলঘাট নন্দেরখীল গ্রামের সাইদুল হক ওরফে মোফাজ্জল হোসেনের পুত্র।
র্যাব জানায়, একদল মাদক ব্যবসায়ী বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য নিয়ে আইস ফ্যাক্টরী রোডের বরিশাল কলোনীতে অবস্থান করছে-এমন খবরের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় মাদক ব্যবসায়ীরা র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে র্যাবকে লক্ষ করে এলোপাথারি গুলি বর্ষণ শুরু করে। আতœরক্ষা ও সরকারি জানমাল রক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পিছু হটে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিক আহত ব্যক্তিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বন্দুকযুদ্ধে র্যাবের তিন সদস্য আহত হন, তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পরে সেখান থেকে ২ লাখ এক হাজার পিস ইয়াবা (এক হাজার পিস হলুদ ইয়াবা), ১৯ বোতল ফেন্সিডিল, ২টি ৭.৬৫ মিঃ মিঃ বিদেশী পিস্তল, ১টি ওয়ান শুটারগান, ২টি ম্যাগাজিন, ১০ রাউন্ড গুলি, ২ রাউন্ড খালি খোসা, মাদক বিক্রির নগদ ৫৩ হাজার ১৮০ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায় নিহত ব্যক্তি চট্টগ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মোঃ ফারুক হোসেন। র্যাব জানায়, নিহত ফারুক গত ২৩ জুন উদ্ধারকৃত ১৫ লাখ ইয়াবা ও ১৬ সেপ্টেম্বর উদ্ধারকৃত ১০ হাজার পিস হলুদ ইয়াবার মূল মালিক। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় ১৮ টির অধিক মামলা রয়েছে। এছাড়াও সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে নতুন ধরণের যে হলুদ ইয়াবার সন্ধান মিলেছে তার মূল হোতা এবং সরবরাহকারী হচ্ছে এই ফারুক হোসেন। উদ্ধারকৃত মাদকের আনুমানিক মূল্য ১০ কোটি ০৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। এনিয়ে চলতি বছরের প্রথম দিন থেকে গতকাল পর্যন্ত র্যাবের অভিযানে ২২১ টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রসহ মোট ৩৬টি ম্যাগাজিন এবং ২ হাজার ১৪৭ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গুলি এবং কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। একই সময়ে ৬৪ লাখ ৮৪ হাজার ৩১৮ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২২ হাজার ৫৩২ বোতল ফেন্সিডিল, ১ হাজার ৪৩৮ বোতল বিদেশী মদ ও বিয়ার, ২ লাখ ৯৪ হাজার ৯৩০ লিটার দেশীয় তৈরী মদ, ৬৫৫ কেজি ২৩০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করেছে র্যাব। প্রসঙ্গত র্যাবের সাথে মাদক পাচারকারিদের বন্দুকযুদ্ধে সম্প্রতি মিরসরাইয়ের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এলাকায় একজন মারা যায়।
নওয়াপাড়ায় প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে নদী দখল
আশাশুনি (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা : আশাশুনি উপজেলার নওয়াপড়া মৌজায় বেতনা নদীর চর জেগে ওঠার সাথে সাথে ভূমিদস্যু কর্তৃক অবৈধ দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রশাসন বাঁধ নির্মাণ কাজ বন্দ রাখার আদেশ করলেও সে নির্দেশ মানছেনা প্রভাবশালীরা। ভূমিদস্যু ও ডিসিআর পরিবার নামে খ্যাত মৃতঃ মনিরুদ্দিন সরদারের পুত্র মুনছুর, জিন্নাহ, এমদাদুল, ইউনুছ অবৈধ ভাবে চর বেঁধে দখল করে নিচ্ছেন। তাদের অত্যাচারে নদী শাসনের ফলে নদীটি দ্রæত ভরাট হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি চন্ডিতলা নামক স্থানে জেয়ারভাটার পানি প্রবাহিত হয় এমন নীচু চরে অবৈধ ভাবে বাঁধ দিতে থাকলে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানালে, ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা প্রতিনিধি পাঠিয়ে নিষেধ করলেও অমান্য করা হয়। তখন ইউএনও’র নির্দেশে স্থানীয় ইউপি সদস্যবৃন্দ চৌকিদার নিয়ে কাজ বন্দ করে দিলেও পরদিন ভোররাতে পুনরায় বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এবং তার পরদিন রাতের আঁধারে বহু কেওড়া গাছ রোপন করা হয়। এব্যাপারে ইউএনও বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৭/১০/১৭ তাং ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল বারী ভূমিদস্যু মুনছুর দিং এ বিরুদ্ধে অবৈধ ভূমি দখল করে নদীর পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও বৃক্ষ রোপন বন্ধ রাখা, অবৈধ বাঁধ ও রোপিত বৃক্ষ অপসারণ এবং ১৯ অক্টোবর উপস্থিত থাকতে নোটিশ প্রেরণ করেন। কিন্তু মুনছুর দিং নোটিশ গ্রহণ করেননি বলে জানাগেছে। এদিকে তাদের অবৈধ কর্মকান্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিতে দিশেহারা হয়ে তারা অভিযোগকারী শহিদুল ইসলামসহ অন্যদের বিরুদ্ধে নানান কল্পকাহিনী দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে। এর প্রতিবাদে শহিদুল ইসলাম পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, মুনছুর তাকেসহ অন্য ভূমিহীনদের প্রতি চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। এমনকি তার মৎস্য ঘেরে বিষ দিয়ে প্রতিপক্ষের নামে মামলা দায়েরসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর চেষ্টা চালাচ্ছেন। মুনছুর বহু সম্পদের অধিকারী হয়েও নিজের নামে, নিজের স্ত্রী, কন্যা, ভাই ইউনুছ, ইউনুছের স্ত্রী, কন্যাসহ অনেকের নামে ডিসিআর নিয়ে এলাকায় ডিসিআর পরিবার হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। তার চাতুরতায় এলাকার অসহায় ভূমিহীনরা খাস জমি ডিসিআর নিতে সুযোগ বঞ্চিত হচ্ছে। ভূমিহীনরা তাদের (ইউনুছ দিং) নামে একাধিক ডিসিআর বাতিল করে প্রকৃত ভূমিহীন পরিবারের মাঝে পুনরায় ডিসিআর প্রদানের ব্যবস্থা করতে এবং সরকারি নির্দেশ অমান্য করে অবৈধ বাঁধ নির্মাণসহ গাছ রোপনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।