Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিরোধপূর্ণ কিরকুক ঘিরে উত্তেজনা

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কিরকুকের বিরোধপূর্ণ কয়েকটি এলাকা থেকে কুর্র্দি যোদ্ধাদের সরে যেতে ইরাক সরকারের দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর ওই এলাকাগুলো ঘিরে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল রোববার সকাল পর্যন্ত সরে আসার সময় আছে বলে দাবি করেছেন কুর্দি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা, অপরদিকে ইরাকি কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করেছে। স্থানীয় কিছু প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, সময়সীমা আরও ২৪ ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কাছে ইরাকি বাহিনীর পরাজয়ের মুখে ২০১৪ সালে কুর্দিস্তানের কাছের তেলখনিগুলো জিহাদিদের হাত থেকে সুরক্ষায় কিরকুকে অবস্থান নেয় কুর্দি বাহিনী। তখন থেকেই তারা শিয়া অধ্যুষিত শহরটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। গত মাসে স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় গণভোট করে কুর্দিস্তানের আঞ্চলিক সরকার। এরপর থেকেই বাগদাদের সঙ্গে তাদের দূরত্ব বাড়তে থাকে। গণভোটে স্বাধীনতার পক্ষে রায় এলেও ওই ভোটকে অবৈধ দাবি করে বাগদাদের কেন্দ্রীয় সরকার কুর্দিস্তানে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞাসহ নানান ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আরোপ করে। তখন থেকেই কিরকুকের তেলখনিগুলো কাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে তা নিয়ে হিসাবনিকাশ শুরু হয়। গত সপ্তাহে ইরাকি সরকারি বাহিনী ও কুর্দি পেশমেরগা যোদ্ধারা শহরটিতে নিজ নিজ পক্ষের শক্তি বৃদ্ধি করে। বিবিসি বলছে, কিরকুকের অনেক এলাকাতেই কুর্দি পেশমেরগা যোদ্ধারা ও সরকার সমর্থক শিয়া মিলিশিয়ারা মুখোমুখি অবস্থানে আছে। পেশমেরগা যোদ্ধারা বলছে, তারা ইরাকি বাহিনীর সম্ভাব্য হামলা প্রতিহতে প্রস্তুত। কুর্দিদের গণভোটের পর ইরাকের পার্লামেন্ট দেশটির প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদিকে কিরকুক এবং অন্যান্য বিরোধপূর্ণ এলাকায় সেনা পাঠানোর অনুরোধ জানায়। গত শনিবার কিরকুকের কাছে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় বলে বিবিসির এক প্রতিবেদক জানিয়েছেন; এর জন্য ইরাকি বাহিনী ও পেশমেরগা যোদ্ধারা একে অপরকে দায়ী করেছেন। গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী আবাদি জানিয়েছিলেন, বিরোধপূর্ণ এলাকাগুলো যৌথ প্রশাসনের অধীনে চালাতে রাজি আছেন তিনি। কিরকুকে সংঘাতে জড়াতে তাদের আগ্রহ নেই বলে বৃহস্পতিবার তিনি ও ইরাকি সরকারি বাহিনী জানিয়েছিল। সপ্তাহ কয়েক আগে আইএসের দখল থেকে হাওয়াইজা পুনরুদ্ধারে পর সেখানে অবস্থান দৃঢ় করতেই কিরকুকে তাদের অবস্থান জোরদার করা হয়েছে বলে দাবি ইরাকি বাহিনীর। ইরাকের এই বক্তব্য বিশ্বাস করছে না কুর্দি কর্তৃপকক্ষ; ‹যে কোনো মূল্যে› কিরকুকের অবস্থান না ছাড়তে পেশমেরগা যোদ্ধাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে কুর্দি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বিবিসি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ