Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কিরকুকে আরবদের বাড়ি-ঘর ধ্বংস করে শহর ত্যাগে বাধ্য করছে কুর্দিবাহিনী

প্রকাশের সময় : ৯ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : কুর্দি বাহিনী মিশ্র জাতিগোষ্ঠী অধ্যুষিত কিরকুক শহরে আরবদের বাড়ি-ঘর ধ্বংস এবং তাদের শহর ত্যাগ করতে বাধ্য করছে বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ উত্তর ইরাকের কুর্দি কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে। খবর আল জাজিরা।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সোমবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলে, অক্টোবরে কিরকুকের উপর ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ব্যর্থ হামলার পর কুর্দি বাহিনী কয়েক দফা হামলা চালায়।
কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকার মানবাধিকার গ্রুপের অভিযোগ জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করে বলে, এটা পক্ষপাতমূলক দাবি।
অ্যামনেস্টি জানায়, আইএসের হামলার পর পেশমের্গা বাহিনী কোতান ও কোশকায়া গ্রাম থেকে ১৯০টিরও বেশি পরিবারকে বলপূর্বক গৃহহীন করে। তারা পাশর্^বর্তী গ্রামসমূহ অথবা ঐ এলাকার আইডিপি শিবিরগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।
অ্যামনেস্টির লিন মালুফ জানান, কিরকুক কর্তৃপক্ষ যে মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন তা অনস্বীকার্য। কিন্তু তার জন্য বুলডোজার দিয়ে ঘর-বাড়ি ধ্বংস এবং শত শত আরব অধিবাসীকে বলপূর্বক গৃহহীন করা অযৌক্তিক। তিনি বলেন, সামরিক প্রয়োজন ছাড়া ইচ্ছাকৃতভাবে ধ্বংস কান্ড হচ্ছে যুদ্ধাপরাধ। তাদের নিরাপত্তার প্রয়োজন ছাড়া সামরিক প্রয়োজন ব্যতীত বেসামরিক লোকদের ঘর-বাড়ি ছাড়া করাও যুদ্ধাপরাধ।
অ্যামনেস্টি সে সব বারবদের সাক্ষ্য নিয়েছে কুর্দি কর্মকর্তারা যাদের বিরুদ্ধে আইএসের হামলা শুরুতে সহায়তা করার জন্য অভিযুক্ত করেন ও পরে তাদের এলাকা থেকে বহিষ্কার করা হয়।
২০১৬ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত রিপোর্টে অ্যামনেস্টি কুর্দি বাহিনীর বিরুদ্ধে আরবদের হাজার হাজার বাড়ি ধ্বংস ও আরব সম্প্রদায়কে গৃহহীন করার চেষ্টার অভিযোগ করে।
কিরকুক হচ্ছে ইরাকের তেলসমৃদ্ধ এলাকা যেখানে মিশ্র জাতিগোষ্ঠী বাস করে। এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কুর্দি ও ইরাকি কর্তৃপক্ষের মধ্যে গোলমাল চলছে। আইএসের উত্তর ইরাক অভিযানের সময় ইরাকি সৈন্যরা কিরকুক থেকে পালিয়ে গেলে কুর্দিরা তার দখল নেয়। এ শহরে কুর্দি, আরব, তুর্কমেন ও অ্যাসিরিয়ানদের সাথে আইএস ও শিয়া মিলিশিয়াদের দ্বারা অত্যাচারিতরাও রয়েছে।
যুক্তরাজ্যে কেআরজি’র ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি কারওয়ান জামাল তাহির আল জাজিরাকে বলেন যে কুর্দিদের একটি খোলা দরজা নীতি আছে এবং আইএসের কাছ থেকে যে সব এলাকা পুনর্দখল করা হয়েছে শুধু সেখানকার লোকদেরই বাড়ি ফিরতে দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, এটা বিস্ময়কর যে এ ব্যাপারে আমরা পরবর্তীতে ভিন্ন রকম কথা শুনতে পাচ্ছি। কিরকুকের গভর্নরেট প্রায় ৬ লাখ আইডিপিকে আশ্রয় দিয়েছে। এ বিষয়টি এটাই প্রমাণ করে যে পালিয়ে আসা লোকদের প্রতি কোনো বৈষম্য না করে কেআরজি একটি খোলা নীতি পালন করছে।
তিনি বলেন, যাদের শহর বা গ্রাম মুক্ত করা হয়েছে নতুন এলাকাগুলোর মেয়র অথবা জেলা মেয়রের সুন্দর ব্যবস্থাপনায় তাদের সেখানে ফিরে যেতে হয়েছে।
তাহির আরো বলেন, কুর্দি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একই সঙ্গে আইডিপিদের বাড়ি ফিরতে না দেয়া ও তাদের বহিষ্কারের অভিযোগ করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কিরকুকে আরবদের বাড়ি-ঘর ধ্বংস করে শহর ত্যাগে বাধ্য করছে কুর্দিবাহিনী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ