(পূর্ব প্রকাশিতের পর) আল্লাহ পাক পয়গাম্বরগণকে ইমাম, পেশোয়া, হাদী ও পথ প্রদর্শক বলে উল্লেখ করেছেন। অর্থাৎ নবুওত ও অহীর দ্বারা মর্যাদাপূর্ণ হওয়ার পর তাদের পবিত্র সত্ত্বা হেদায়েত, পথ প্রদর্শন, ইমামত এবং নেতৃত্বের জন্য নির্দিষ্ট হয়ে যায়। তাদের আবির্ভাব এই জন্যই...
নবুওয়তির ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ মিশন হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাতে পূর্ণতা লাভ করে। তাঁর মিশনের লক্ষ্য ছিল জুলুমের অবসান ঘটিয়ে মানব জীবনের সর্বক্ষেত্রে ন্যায়বিচার ও ইনসাফ কায়েম করা। যে লক্ষ্য নিয়ে তিনি দুনিয়ায় আবিভর্‚ত হন, ২৩ বছরে প্রাণান্তকর প্রয়াস...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)ইসলামের জন্য সীনা খুলে দেয়ার মর্ম হচ্ছে এই যে, ইসলামের হাকীকত প্রাণবন্তরূপে তাঁর উপর এভাবে খুলে গিয়েছিল যে, ইসলামের সত্যতার পরিপূর্ণ একীন ও বিশ্বাস সাধিত হয়েছিল। এবং তিনি নিজেও এই বিশ্বাসের উপর পরিপূর্ণ সান্ত¦না লাভ করেছিলেন। এর ফলশ্রæতিতে...
এলেম শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে জানা। কিন্তু প্রত্যেকটি বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত জানা বা বুঝার শ্রেণীভেদ এবং মনীষার প্রকারভেদ পৃথক পৃথক হয়ে থাকে। আর আম্বিয়ায়ে কেরামের সহযোগে যখন এর ব্যবহার হয়, তখন প্রকৃতই আল্লাহর তৌহিদ, জাত ও সিফাত, দ্বীন ও শরীয়তের...
আল্লাহপাকের পছন্দনীয় ও মনোনীত জীবন বিধানকে বাস্তব ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার পথ নির্দেশনা ও শিক্ষাদানের জন্য যুগে যুগে বহু নবী এবং রাসূল পৃথিবীতে আগমন করেছিলেন। কিন্তুু আম্বিয়ায়ে কেরামের আগমনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যকে কাব্যের ভাষায় এবং সুললিত বর্ণনা বিন্যাসের দ্বারা যেভাবেই ব্যক্ত...
বক্ষমান নিবন্ধে আমরা এমন একটি সন্দেহের অপনোদন করতে প্রয়াস পাব, যা কোন কোন লোক রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর সিফাতে তাবলীগ বা প্রচারের স্বরূপ সম্বন্ধে পোষণ করে থাকে। আল-কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে এই অর্থপূর্ণ বাণী রয়েছে যে, ‘রাসূলগণের কাজ হচ্ছে শুধু কেবল পয়গাম পৌঁছে...
রাসূলুল্লাহ (সা:) যে শরীয়ত নিয়ে আগমন করেছিলেন, তা ছিল দুনিয়ার জন্য সর্বশেষ ও অবিনশ্বর শরীয়ত। এই চিরস্থায়ী ও চিরন্তন এবং সর্বশেষ শরীয়তের জন্য এটাও জরুরি ছিল যে, শরীয়তের এমন এক চিরস্থায়ী বিধানের মূল উৎস অবশ্যই থাকবে যা সবকিছুর নিয়ন্ত্রক বলে...
(২৮ আগষ্ট প্রকাশিতের পর )ছাফা ও মারওয়া তাওয়াফ এবং সাঈ শেষ করার পর রাসূলুল্লাহ (সা.) সেসব লোককে, যাদের সাথে কোরবানীর পশু ছিল না, উমরা শেষ করে এহরাম খোলার নির্দেশ দেন। কোন কোন সাহাবা অতীত প্রথার প্রতি আকৃষ্ট থাকায় এ নির্দেশ...
মক্কা হতে মদীনায় হিজরতের পর নামাজ-রোজার ন্যায় হজ্ব সঙ্গে সঙ্গে ফরজ হয়নি, হজ্ব ফরজ হয়েছে ৮ম হিজরীতে মক্কা বিজয়ের পর নবম সালে এবং ১০ম সালে রাসূলুল্লাহ (সা.) জীবনের প্রথম ও শেষ হজ্ব পালন করেন। দশম হিজরী সালের ২৬ জিলকদ তারিখে...
অধ্যাপক শাহ মোহাম্মদ আব্দুল মতিন(পূর্ব প্রকাশিতের পর)মিরাজের তৃতীয় পর্যায় : সিদরাতুল মোন্তহায় পৌঁছে জিব্রাইল (আ.) নবী করিম (সা.) থেকে বিদায় নিলেন এবং বললেন, ‘সিদরাতুল মোন্তাহা থেকে এক আঙ্গুল- অন্য রেওয়ায়তে চুল পরিমাণ অগ্রসর হলে আমার ছয়শত নূরের পাখা নূরের তাজাল্লিতে...
অধ্যাপক শাহ মোহাম্মদ আব্দুল মতিন (পূর্ব প্রকাশিতের পর)তাফসিরে রুহুল বয়ানে এ প্রশ্নের উত্তর এভাবে দেয়া হয়েছে- ‘জীবিত চারজন নবীকে আল্লাহতায়ালা স্বশরীরে এবং ইনতিকালপ্রাপ্ত আম্বিয়ায়ে কেরামগণকে মেছালী শরীরে বায়তুল মোকাদ্দাছে উপস্থিত করেছিলেন।’ কিন্তু অন্যান্য গ্রন্থে স্বশরীরে উপস্থিতির কথা উল্লেখ আছে। কেননা,...
অধ্যাপক শাহ মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মিরাজ বা ঊর্ধ্বগমন :নবী করিম (সা.)-এর ঊর্ধ্ব জগতের মোজেযাসমূহের মধ্যে মিরাজ গমন একটি বিস্ময়কর মোজেযা। এ জন্যই মিরাজের আয়াতের শুরুতেই আল্লাহপাক ‘সোবাহানাল্লাহ’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন, যা কেবল আশ্চর্যজনক ঘটনার ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সশরীরে...
অধ্যাপক হাসান আবদুল কাইয়ূম আল্লাহ্ জাল্লা শানহু কালাম মজীদে ইরশাদ করেন :“কুনতুম্ খায়রা উম্মাতিন্ উখরিজাত লিননাসি তা’মুরূনা বিল মা’রূফি ওয়া তান্হাওনা ‘আনিল মুনকার’।”তোমরাই সর্বোত্তম উম্মত, তোমাদের উদ্ভব ঘটেছে মানুষের জন্য, তোমরা সৎকাজের আদেশ করো ও অসৎ কাজ করতে বারণ করো। (সূরা...
এ, কে, এম, ফজলুর রহমান মুনশী : আল্লাহপাক পয়গাম্বরগণকে ইমাম, পেশোয়া, হাদী ও পথ প্রদর্শক বলে উল্লেখ করেছেন। অর্থাৎ নবুওত ও অহীর দ্বারা মর্যাদাপূর্ণ হওয়ার পর তাদের পবিত্র সত্তা হেদায়েত, পথ প্রদর্শন, ইমামত এবং নেতৃত্বের জন্য নির্দিষ্ট হয়ে যায়। তাদের...
মুহাম্মদ মনজুর হোসেন খান(পূর্ব প্রকাশিতের পর)এভাবে পরামর্শের ভিত্তিতে বিভিন্ন কাজের সিদ্ধান্ত নেয়া তাঁর কর্মের একটি মূলনীতি ছিল। তবে যে সব কাজ ওহী দ্বারা পরিচালিত হত তা তিনি ওহীর নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচালনা করতেন। মুসলিম রাষ্ট্রে রাসূলুল্লাহ স.-এর শাসনাধীনে অমুসলিমরা করলেও তাদের...
মুহাম্মদ মনজুর হোসেন খান(পূর্ব প্রকাশিতের পর)এখানে দুনিয়ার কল্যাণ বলতে দুনিয়ার সামগ্রিক কল্যাণকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ এর মাধ্যমে দুনিয়ার জীবন সর্বাঙ্গীন সুন্দর হবে। সমাজব্যবস্থা নিস্কলুষ ও নিখুঁত হবে স্থায়ী ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। রাসূলুল্লাহর (স.) উদ্দেশ্য ছিল সমাজের কর্তৃত্ব গ্রহণ করে সেখানে...
মুহাম্মদ মনজুর হোসেন খানবর্তমান পৃথিবীতে শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সামাজিক ন্যায়বিচার’ প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত প্রয়োজন। ‘সামাজিক ন্যায়বিচার’-এর মূল লক্ষ্য হলো প্রত্যেককে তার হক বা প্রাপ্য অংশ পরিপূর্ণভাবে দিয়ে দেয়া। এ ক্ষেত্রে ধনী-গরিব, উচু-নিচু, সাদা-কালো আরব-অনারব, সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু, দল-মত নির্বিশেষে কেউ কোন...