Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী




আমার কিছু হরমোনের প্রব্লেমের জন্য আমার দাঁড়ি গোফ উঠছে না, উঠলেও ঝড়ে পড়ে যাচ্ছে। আমার তীব্র ইচ্ছা আমি দাঁড়ি রাখবো এবং সুন্নাত তরীকায় বাবরী রাখবো। এখন আমার প্রশ্ন হলো আমার দাঁড়ি উঠছে না জন্য কি আমি বাবরী রাখতে পারবো না? বাবরী রাখার জন্য দাঁড়ি রাখা কি বাধ্যতামূলক? উল্লেখ্য যে, আমি বাবরী চুল রাখলে সব সময় মাথায় পাগড়ি পরিধান করি।

উত্তর : দাঁড়ি স্বাস্থ্যগত কারণে না উঠলে আপনার কোনো আফসোসের কারণ নেই। যতটুকু দাঁড়ি থাকুক সুন্নাত আদায় হবে। দাঁড়ি না থাকা ব্যক্তিও বাবরী রাখতে পারে। তবে তা সুন্নাত মোতাবেক হতে হবে। নারীদের সদৃশ্য মনে হলে সবসময় টুপি পরে থাকবে। এমন মানুষ পাগড়িও পরে...







আমার এক নিকটাত্মীয় মদ-গাঁজা সেবন করত। স্বামী-স্ত্রী প্রায় সময়মই ঝগড়া হতো, স্বামী তার স্ত্রীর গায়ে অনেক সময় হাত তুলত। স্ত্রীও খুব বেশী একটা ছাড় দিত না। আবার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অন্য পুরুষের সাথে দীর্ঘ দিন রাতে-বিরাতে গোপন ফোনালাপের অভিযোগ ছিল। তাদের দুই ছেলে আছে। স্বামী তার স্ত্রীর নামে ব্যাংক একাউন্টে ১৫-১৮ লাখ টাকার সম্পদ রেখেছিল। স্ত্রী বাপের বাড়ি গিয়ে সেগুলো হাত করে নেয় এবং নেশাখোর স্বামীর সংসার করবেনা বলে জানায়। এ অবস্থায় কয়েকটি ব্যর্থ আলোচনা বা বৈঠক হয়। প্রায় এক বছরের বেশী সময় পর স্ত্রী ওই স্বামীকে এক উকিলের মাধ্যমে ডাকযোগে ডিভোর্সলেটার পাঠায়। স্বামী বলে সে ওই লেটার রিসিভ ও সাইন করেনি। এর প্রায় এক বছর পর তার স্ত্রী ওই গোপন ফোনালাপের অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই বিয়ে করে। প্রশ্ন হলো স্ত্রীর এ তালাক ও পরবর্তী বিয়ে ইসলামের বিধান মতে সঠিক ভাবে হয়েছে কি না? আর না হলে এখন করনীয় কি?

উত্তর : দেশের আইন অনুযায়ী এই তালাক হয়ে গেছে। পরবর্তী বিবাহও শুদ্ধ হয়েছে। আগে যেই ফোনালাপ বা দেখা সাক্ষাৎ করতো, একথাটি প্রমাণ করার জন্য শরীয়তসম্মত পদ্ধতিতে যথেষ্ট রশদ সাবেক স্বামীর হাতে নেই। তাদের মিল ছিল না কি অমিল এর সাথে...




আর্কাইভ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ