পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জমি অধিগ্রহণের সঙ্গে নিজের এবং তার পরিবারের কোন সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেন, জমি অধিগ্রহণে অধিক মূল্য এবং তার পরিবার ও রাজনৈতিক পরিবারের সদস্যদের জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা অসত্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হেয়ার রোডে নিজের সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি কেনায় ৩৬০ কোটি টাকা লোপাটের প্রক্রিয়ার অভিযোগ করা হয় শিক্ষামন্ত্রীর আত্মীয়-ঘনিষ্টজনদের বিরুদ্ধে। বলা হয়, মাত্র ১৩ হাজার টাকা শতাংশের জমি ২ লাখ ৮১ হাজার টাকায়, ২৩ হাজার টাকার জমি ১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা, ৩৮ হাজার টাকার জমি ৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা, ৩৩ হাজার টাকার জমি ২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা দাম দেখিয়ে লোপাটের পথ তৈরি করা হয়েছে। যাদের কাছ থেকে বেশি দামে জমি কেনা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠজনেরা। তবে এই প্রক্রিয়াকে নাকচ করে দিয়েছেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে তিনি ভূমি মন্ত্রণালয়ে চিঠিও দিয়েছেন। গত ২৪ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দৈনিক ইনকিলাবে ছাপা হয়। এরপর আরও কয়েকটি গণমাধ্যমেও একই সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপ্রেক্ষিতে গতকাল সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষামন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, চাঁদপুরে কোথাও আমার ক্রয় সূত্রে কোন জমি নেই, উত্তরাধিকার সূত্রে হয়তো অধিকার থাকতে পারে। যে জমিটি নিয়ে কথা বলা হচ্ছে এবং আমার বড়ভাই ও রাজনৈতিক পরিবারের সদস্যদের বিষয়ে বলা হচ্ছে। আমার বড় ভাই চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, তিনি লক্ষীপুর ইউনিয়নে একটি হাসপাতাল ও বৃদ্ধাশ্রম করার জন্য কিছু জায়গা অল্প অল্প করে কেনেন। যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণ শুরু হয় তখন তিনি জমিটি হস্তান্তর করে দেন। কার কাছে হস্তান্তর করেছেন জানতে চাইলে দীপু মনি বলেন, তিনি জানেন না। তবে এতটুকু জানে, বেশ কিছুদিন ধরে তার ভাই জমিটি বিক্রি করার চেষ্টা করেন। বিক্রি করতে না পেরে পরে দলিল মূল্যে হস্তান্তর করে দেন।
তিনি বলেন, জমির মূল্য নির্ধারণ করে জেলা প্রশাসন। যা অভিযোগ এসেছে- প্রাক্কল প্রস্তুত করা হয়েছিল সে অনুযায়ী দাম দাঁড়ায় ৫৫৩ কোটি টাকা। তিন মাস পর ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি প্রাক্কল করা হয় সেখানে বলা হয় ১৯৩ কোটি টাকা।
তিনি আরও বলেন, আমার বা আমার পরিবারের এই জায়গা থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার কোনও সুযোগ নেই। এই অভিযোগ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্য প্রণোদিত। যারা এই বিষয়ে এমন তথ্য ছড়িয়ে হয়রানি বেড়াচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই জায়গায় আমার বা পরিবারের কারও জমি নেই। রাজনৈতিক কোনো সহককর্মীর জমি থাকতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, আমার পরিবারের কেউ কোনো ধরনের দুনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। তবে অন্য কেউ দুর্নীতি করেছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা উচিত এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চাঁদপুরে যখনই কোনো উন্নয়নকাজে হাত দেওয়া হয় একটি মহল এর প্রবল বিরোধীতা করে থাকে। তবে কোনো ষড়যন্ত্র কিংবা চক্রান্ত এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বাধা হতে পারবে না। উন্নয়ন কাজ ও একাডেমিক কার্যক্রম এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, দুর্নীতি তদন্ত ও অনুসন্ধানে সরকারের বেশ কয়েকটি সংস্থা রয়েছে। আমি আশা করবো ওইসব সংস্থা তদন্ত করে প্রকৃত তথ্য বের করবে। দুর্নীতি হয়ে থাকলে যারা জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।